বেতারের শিল্পীদের সম্মানীর অর্থ আত্মসাত

অপরাধ

দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট হতে মঙ্গলবার ৭ টি অভিযোগের বিষয়ে ২টি অভিযান পরিচালনা করে এবং ৫ টি দপ্তরে পত্র প্রেরণের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে


বিজ্ঞাপন

বিশেষ প্রতিবেদক : বাংলাদেশ বেতারের বিভিন্ন কেন্দ্র ইউনিটের সম্মানী/পারিতোষিকের খাত হতে অনিয়মের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন।

দুদক প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ফয়সাল এর তত্ত্বাবধানে সহকারী পরিচালক তানজির হাসিব সরকারের নেতৃত্বে একটি এনফোর্সমেন্ট টিম বেতার ভবন এবং বাংলাদেশ বেতার, ঢাকা কেন্দ্রে মঙ্গলবার ২৬ অক্টোবর এ অভিযান পরিচালনা করে।

অভিযানকালে দুদক টিম চুক্তিভিত্তিক শিল্পীদের সম্মানী প্রদান সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করে।

বিভিন্ন প্রোগ্রামের নামে ভুয়া ভাউচারের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে নথিপত্র সংগ্রহ করে দুদক টিম।

এ অভিযানের প্রেক্ষিতে অভিযোগের বিষয়ে বিস্তারিত অনুসন্ধানের সুপারিশ করে টিম কমিশনে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন উপস্থাপন করবে।

উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা, লক্ষ্মীপুর সদর এর বিরুদ্ধে প্রশিক্ষণার্থীদের জন্য বরাদ্দকৃত সম্মানী ভাতার অর্থ প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাতের অভিযােগের ভিত্তিতে দুদক সজেকা, নোয়াখালী-এর উপসহকারী পরিচালক আরিফ আহমেদ-এর নেতৃত্বে আজ অপর একটি অভিযান পরিচালনা করেছে দুদক এনফোর্সমেন্ট টিম।
দুদক টিম সরেজমিনে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, লক্ষ্মীপুর কার্যালয় পরিদর্শন করে এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নিকট অভিযোগের বিষয়ে জানতে চান।

এ সংক্রান্ত নথিপত্র যাচাই-বাছাই করে জানা যায়, উক্ত প্রশিক্ষণটি সম্পূর্ণ আবাসিক এবং এটি পরিচালনা ও প্রশিক্ষণার্থী খাবার ও অন্যান্য খরচ বাবদ এ খাতে অর্থ বরাদ্দ রয়েছে যা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক খরচ করা হয়। এ অর্থ প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে বিতরনের সুযোগ নেই। টিম এ বিষয়ে কমিশন বরাবর পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করবে।

এছাড়াও দুদক অভিযোগ কেন্দ্রে (হটলাইন-১০৬) আগত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক কমিশনকে অবহিত করার জন্য ৭ টি দপ্তরে দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট হতে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে।