আসন্ন ডিইউজে নির্বাচনে সাংগঠনিক সম্পাদক পদপ্রার্থী জিহাদ

জাতীয়

বিশেষ প্রতিবেদক : বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) এর সিনিয়র সাংবাদিক জিহাদুর রহমান জিহাদ। তিনি বর্তমানে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) এর সাংগঠনিক সম্পাদক পদে কর্মরত রয়েছেন। আসন্ন ডিইউজে নির্বাচনে তিনি গত বছরের মতো এবারও একই পদে প্রার্থী হবেন বলে জানা যায়।


বিজ্ঞাপন

গোপালগঞ্জের কৃতি সন্তান জিহাদুর রহমান জিহাদ। উক্ত জেলার একটি সম্ভ্রান্ত পরিবারে জিহাদের জন্ম হয়। ছোটবেলা থেকেই সাংবাদিক জিহাদ বেশ শান্ত প্রকৃতির ছিলেন। লেখাঝোকা, পর্যবেক্ষণ ও ভাব প্রকাশের বৈশিষ্ট্যগুলো কিশোর বয়সে তারমধ্যে পরিলক্ষিত হয়।

সেজন্যই এ পরিণত বয়সে তার সেই বৈশিষ্ট্যগুলোর বহিঃপ্রকাশ ঘটছে। সাংবাদিক পরিমণ্ডলে একটি ধারণা প্রচলিত রয়েছে শান্ত, সহজ-সরল, মেধাবী, পরোপকারী, মিষ্টভাষী, বিচক্ষণ ইত্যাদি বৈশিষ্ট্যের অধিকারী সাংবাদিক জিহাদুর রহমান জিহাদ।

বাস্তবিকপক্ষে, এ বৈশিষ্ট্যের নিদর্শনগুলো সাংবাদিক সমাজসহ সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষেরা জিহাদের কাছ থেকে কিছুটা এর স্বাদ-আস্বাদন গ্রহণ করেছেন।

এমনকি, তিনি স্ব-উদ্যোগী হয়ে এ ধরনের কাজ করতে উৎসাহিত বোধ করেন। বলাচলে, নিঃস্বার্থভাবে তিনি এ ধরনের কাজ সহকর্মী ও সাধারণ মানুষের জন্য করে থাকেন।

আরো জানা যায়, সাংবাদিকতায় কাজ করতে গিয়ে তিনি তিনি অনেক সময় প্রতিপক্ষের রাজনৈতিক রোষানলে পড়েছেন।

এমনকি, কিছু কিছু সময় ঈর্ষাকাতর সহকর্মীদের ষড়যন্ত্রের শিকার হন। তবে, দৃঢ়প্রত্যয়ী সাংবাদিক জিহাদ সবকিছুকে পিছনে পেলে সামনের দিকে এগিয়ে গেছেন।

আর এজন্যই চলতি সেশনে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের পরিচালনা পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে জিহাদুর রহমান জিহাদ বেশ সুনাম ও সফলতার সাথে তার উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করে গেছেন। এক্ষেত্রে, তিনি স্ব-জ্ঞ্যানে কোন কার্পণ্যতা দেখাননি।

সাংবাদিক সমাজ আশা করেন, আগামী ডিইউজে নির্বাচনে নির্বাচিত হলে অনুরূপভাবে সাংবাদিক জিহাদ তার অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করবেন।

পাশাপাশি, তার অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করবেন। এমনকি, দেশের প্রতিষ্ঠিত সকল মিডিয়ার সাংবাদিকদের একই ছায়াতলে আবদ্ধ করবেন।

তারা মনে করেন, দীর্ঘদিন ধরে পেশাদার-অপেশাদার ও মূলধারা-অমূলধারা এ শব্দগুলোর বিতর্কিত অধ্যায় মুছে দিয়ে দেশের প্রতিষ্ঠিত প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক্স ও অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিকদের সহজশর্তে ডিইউজের ছায়াতলে যুক্ত করবেন।

এমনকি এ সংগঠনে তরুণদের আরো বেশি বেশি করে সুযোগ দিবেন। এমনকি, সাংবাদিকতায় বিভাজন তিনি দূর করবেন।

তারা আরো মনে করেন, সাংবাদিক পরিমণ্ডলে বর্তমানে তারুণ্যের প্রতীক সাংবাদিক জিহাদুর রহমান জিহাদ। এ তারুণ্যকে পুঁজি করে তিনি তরুণের জয়গান গেয়ে উক্ত সংগঠনটিকে তারুণ্যনির্ভর করে গড়ে তুলবেন।

পাশাপাশি, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাদের মেধা ও মনন দিয়ে সর্বস্তরের মানুষের জন্য ন্যূনতম উপকার ও উপহার স্বরুপ কার্যক্রম এগিয়ে নেবেন।

সাংবাদিক সমাজ মনে করেন, সাংবাদিকদের শুধুমাত্র লেখনি দিয়ে দায়িত্ববোধের পরিসমাপ্তি নয়। লেখার পাশাপাশি দেশ ও দশের জন্য সাংবাদিকদের আরও বহু কাজ করার সুযোগ রয়েছে।

আর এ সুযোগটি এবার আসন্ন ডিইউজে নির্বাচনে সাংবাদিক জিহাদুর রহমান জিহাদ সকল সাংবাদিকদের জন্য সে পরিবেশ সৃষ্টি করে দিবেন।

দেশের সর্বস্তরের সাংবাদিকগণ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সকল ভোটারদের প্রতি অনুরোধ ও আহবান করছেন এজন্য যে, যদি এ সংগঠন থেকে বাংলাদেশে একটি উদ্দীপ্ত সাংবাদিক সংগঠন হিসেবে গড়ে তুলতে হয়।

তাহলে, তারুণ্যের প্রতীক সাংবাদিক জিহাদুর রহমান জিহাদকে আবারো ভোট দিয়ে নির্বাচিত করে তারুণ্যের জয়গান গাওয়ার সুযোগ করে দিবেন বলে তারা দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

প্রসঙ্গত, সাংবাদিক জিহাদুর রহমান জিহাদ একজন কলম যোদ্ধা হিসেবে মাঠে-ঘাটে বিটিভির প্রতিনিধি হয়ে যুদ্ধ করতে গিয়ে কয়েক মাস আগে সড়ক দুর্ঘটনায় মারাত্মকভাবে আহত হন।

আল্লাহর অশেষ মেহেরবানি, তার হাজারো সহকর্মী, দেশবাসী ও তার বাবা-মা’য়ের দোয়ার বরকতে তিনি আবারও তার ভালবাসার জায়গা সাংবাদিক পরিমণ্ডলে ফিরে আসেন।

এজন্য তিনি আল্লাহর শুকরিয়া আদায় ও সবার প্রতি করজোড়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এমনকি যারা তাঁর সেই চরম বিপদের মুহূর্তে তাকে শারীরিক,মানসিক, সামাজিক ও পারিবারিকভাবে সমর্থন করে গেছেন।

তাদের সকলের প্রতি তিনি বিনম্রচিত্তে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। পাশাপাশি, এমনিভাবে ভবিষ্যতেও সবাই তার পাশে সবসময় থাকবেন বলে আশা ব্যক্ত করেন।

পাশাপাশি, করোনাকালীন সময়ে সাংবাদিক জিহাদুর রহমান জিহাদ একজন সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে করোনায় বিপর্যস্ত মানুষের পাশে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। এমনকি, বিপর্যস্ত সাংবাদিকদের আর্থিক ও মানসিক শক্তি হিসেবে তাদের প্রতিও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন।

সাংবাদিক জিহাদ মানবিক কার্যক্রমগুলো অন্যদের মতো ফলাও করে প্রচার করার বিষয়ে অনীহা প্রকাশ করেন।

তারমতে, তিনি যদি ভালো কাজ করেন। তাহলে সেটি সবাই দেখবেন ও জানবেন। সর্বোপরি তিনি বিশ্বাস করেন সৃষ্টিকর্তাই সবকিছু অবগত রয়েছেন।
অতএব, এ ধরনের কাজ প্রচার করার কিছু নয়। শুধুমাত্র কাজগুলো সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করাই আসল কাজ।