নিজস্ব প্রতিনিধি : ভারত সফররত তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বৃহস্পতিবার বিকেলে পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় ঐতিহ্যবাহী প্রেসক্লাবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে প্রতিষ্ঠিত এই সংবাদ কেন্দ্র উদ্বোধনকালে প্রেসক্লাবের প্রেসিডেন্ট স্নেহাশিস সুর, সাধারণ সম্পাদক কিংশুক প্রামাণিক, বাংলাদেশের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, কলকাতায় বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনার তৌফিক হাসান, উপ-দূতাবাসের প্রথম সচিব (প্রেস) রঞ্জন সেন এবং প্রেসক্লাবের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
তথ্যমন্ত্রী তার বক্তৃতায় বলেন, বাংলাদেশ যে সময়ে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বাংলাদেশ-ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছরপূর্তি উদযাপন করছে, সে সময়ে বঙ্গবন্ধুর নামে কলকাতা প্রেসক্লাবে সংবাদ কেন্দ্র স্থাপন দু’দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের আরেকটি মাইলফলক।
ড. হাছান মাহমুদ এসময় ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের জনগণ ও সরকারের অকুণ্ঠ সহায়তা এবং ভারতীয় হাজার হাজার সেনাসদস্যের প্রাণদানের কথা উল্লেখ করেন। সেই সাথে তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের খবর সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে কলকাতা প্রেসক্লাব যে বিশাল ভূমিকা রেখেছে, তা ভুলবার নয়।
কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-দূতাবাসের সহায়তায় স্থাপিত এই সংবাদ কেন্দ্রে কম্পিউটার, প্রদর্শনী হল, লাইব্রেরি এবং প্রজেক্টরসহ আধুনিক ডিজিটাল সুবিধাদি রয়েছে। এর আগে সেপ্টেম্বরে নয়াদিল্লিতে প্রেসক্লাব অভ ইন্ডিয়ায় বঙ্গবন্ধু মিডিয়া সেন্টার উদ্বোধন করেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
কলকাতা প্রেসক্লাব প্রেসিডেন্ট স্নেহাশিস সুর বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে এ সংবাদ কেন্দ্র স্থাপন আমাদের জন্য গর্বের বিষয়। বঙ্গবন্ধু স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য দীর্ঘদিন আন্দোলন ও সংগ্রাম করায় ভারতে বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গে অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিলেন। এ সংবাদ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার অর্থ বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানানো। বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে প্রকৃত ইতিহাস জানতে নতুন প্রজন্মের জন্য এই কেন্দ্র উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে।’
বিধানসভার স্পিকারের সাথে তথ্যমন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাত
এদিন দুপুরে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দোপাধ্যায়ের সাথে তার কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হন। এসময় দু’দেশের পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়নসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন তারা।
তথ্যমন্ত্রী এসময় স্পিকারকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান। বৈঠক শেষে বাংলাদেশে কিংবদন্তি অভিনেত্রী সুচিত্রা সেনের বাড়িটি সংরক্ষণ নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় পাবনা জেলায় অবস্থিত বাড়িটিসহ সেখানে সুচিত্রা সেনের স্মৃতি সংরক্ষণের দায়িত্ব পালন করেন। চার দিনের সরকারি সফরশেষে শুক্রবার তথ্যমন্ত্রীর ঢাকায় ফেরার কথা।