তথ্যপ্রযুক্তির অপব্যবহার বন্ধ করতে হবে: শিক্ষামন্ত্রী

শিক্ষাঙ্গন

নিজস্ব প্রতিবেদক : শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি বলেছেন, ‘আমাদের এগিয়ে যেতে হলে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ব্যবহার করতেই হবে। সবকিছুরই ভালো-মন্দ দু’ দিকই থাকে। মাথাব্যথা হলে তো মাথা কেটে ফেলা হয় না। মাথাব্যথা হলে ওষুধ খেয়ে সারাতে হয়। আমাদের তথ্যপ্রযুক্তির অপব্যবহার বন্ধ করতে হবে।’ শুক্রবার দুপুরে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের মাঝে শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা প্রদান এবং আন্তঃধর্মীয় সংলাপ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারে আরও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘জ্ঞান-বিজ্ঞানের সহযোগিতা নিয়ে সুযোগ্য ও দক্ষ নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার জন্য এটি আমাদের লাগবেই। তবে এটির অপব্যবহার রোধে পরিবারিক ও সামাজিকভাবে, আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় এবং রাজনীতিতে সব ক্ষেত্রে সচেতনতা তৈরি করতে হবে। যাতে আমাদের নতুন প্রজন্ম যেন তথ্যপ্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার করে।
‘তথ্যপ্রযুক্তির যেন অনৈতিক কোনও ব্যবহার না হয় সেদিকে নজর দিতে হবে। অনেক কিছু লিখে ফেলা হয় চিন্তা না করেই। আমরা চাই, আমাদের শিক্ষার্থীরা সঠিকভাবে চিন্তা করবে এবং তারপরই তারা এই ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডে কথাবার্তা শেয়ার করবে।’
শিক্ষার্থীদের মানবিক মূল্যবোধ শেখানোর প্রতি গুরুত্ব দিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘নতুন কারিকুলামে আমরা চেষ্টা করছি, জ্ঞান ও দক্ষতার সঙ্গে মূল্যবোধের শিক্ষা দিতে। শিক্ষার্থীদের সফট স্কিলের সঙ্গে মূল্যবোধও শেখাতে হবে। তাদের যদি মানবিকতা, সততা, পরমত সহিষ্ণুতা শেখানো না হয়, তাহলে তো তারা সুযোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠবে না।’
এ সময় ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান, দিনাজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মুনিম হাসান, পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. নাছির উদ্দিন সরোয়ার, আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত পাল, অংকুর জীৎ সাহা নব, ট্রাস্টের সচিব ডা. দিলীপ কুমার ঘোষ, চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল, হাজীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী মাঈন উদ্দিন, পৌরসভার মেয়র আ স ম মাহবুব উল আলম লিপন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


বিজ্ঞাপন