দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট হতে রবিবার ৩১ অক্টোবর ১০টি অভিযোগের বিষয়ে ১টি অভিযান, ৯ টি দপ্তরে পত্র প্রেরণ সহ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে
বিশেষ প্রতিবেদক : নাটোর জেলার গুরুদাসপুরের সদ্য বদলীকৃত সাব-রেজিস্ট্রার-এর বিরুদ্ধে ঘুষের বিনিময়ে জমির শ্রেণি পরিবর্তন করে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দেয়ার অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, রাজশাহী-এর সহকারী পরিচালক মোঃ আল আমিন-এর নেতৃত্বে রবিবার ৩১ অক্টোবর একটি অভিযান পরিচালনা করেছে এনফোর্সমেন্ট টিম।
প্রাপ্ত অভিযোগ মতে মূল পরিকল্পনাকারী দলিল লেখক সুজন আহমেদ সাক্ষীদের সাথে পারস্পরিক যোগসাজশে জমির শ্রেণি জালিয়াতির মাধ্যমে ধানী শ্রেণির জমিকে পুকুর শ্রেণি দেখিয়ে রেজিস্ট্রি করে মোট ১,৬৮,৬৭৫ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়েছে। দুদক টিম সরেজমিনে রেজিস্ট্রি অফিস পরিদর্শন করে এবং অভিযোগ সংশ্লিষ্ট রেকর্ড যাচাই করে।
টিম এ সময় দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাথে দেখা করে অভিযোগের বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চায়।
এনফোর্সমেন্ট টিম প্রাথমিক অনুসন্ধানে অভিযোগের শ্রেণি পরিবর্তনের মাধ্যমে অর্থ ফাঁকির সত্যতার প্রমাণ পেয়েছে।
অভিযুক্ত দলিল লেখক ইতোমধ্যে ভুল স্বীকার করে অঙ্গীকারপত্র দিয়েছে এবং গত ২৩ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখে ব্যাংকের মাধ্যমে উক্ত অর্থ জমা দিয়েছে। দুদক টিম সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে মাধ্যমে এর সত্যতা যাচাই করেছে।
অভিযানে প্রাপ্ত তথ্য-প্রমাণ বিস্তারিত যাচাইপূর্বক কমিশন বরাবর পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করবে দুদক এনফোর্সমেন্ট টিম।
এছাড়াও দুদক অভিযোগ কেন্দ্রে (হটলাইন-১০৬) আগত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক কমিশনকে অবহিত করার জন্য ৯টি দপ্তরে দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট হতে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে।