নিজস্ব প্রতিবেদক : কড়াইল বস্তিসহ ঢাকার তিন বড় বস্তি তথা কড়াইল, ভাসানটেক ও মোহাম্মদপুর বস্তিতে টিকাদান কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে বস্তিতে টিকা কার্যক্রম। সকাল থেকেই নির্ধারিত কেন্দ্রগুলোতে দেখা গেছে টিকা নিতে আসা মানুষের ভিড়।
মঙ্গলবার দুপুরে কড়াইল বস্তিতে গিয়ে দেখা যায় সারিবদ্ধভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে টিকা নিচ্ছেন সেখানকার অধিবাসীরা। বস্তির লোকেরা আনন্দ প্রকাশ করে বলেছেন, এতদিন আমরা শঙ্কায় ছিলাম, টিকা নিতে পারবো কিনা, আমাদের টিকা দিবে কিনা। আজ সে শঙ্কা কেটে গেছে। আমরাও টিকা পাচ্ছি।
টিকা দিতে আসা নাজমা বলেন, আমরা একটু পর হলেও টিকা পেয়েছি এটাই স্বস্তি। বড় বড় হাসপাতালে গিয়ে লাইনে দাঁড়াতে হয়, সহজে টিকা পাওয়া যায় না। এখানে খুব সুন্দর পদ্ধতিতে টিকা দেয়া হচ্ছে।
এদিকে টিকা নেয়ার জন্য আগ থেকে আবেদন করাও এখানে মূখ্য না। দেখা গেছে যারা টিকার জন্য কোন কার্ড নিয়ে আসেন নি, তাদের এখানেই টিকা কার্ড দিয়ে টিকা দিচ্ছেন স্বেচ্ছাসেবকরা।
এদিকে একদিনে ১৫ হাজার টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা হাতে নিয়ে টিকা দিচ্ছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।
টিকাদানে নিয়োজিত রেড ক্রিসেন্টের একজন স্বেচ্ছাসেবক কর্মীর সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, এখানে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দেওয়া হচ্ছে। তাছাড়ানারী পুরুষ আলাদা টিকা দেয়া হচ্ছে। পুরুষদের তুলনায় নারীদের উপস্থিতি বেশি। এখানে কেউ যদি আগে টিকার রেজিস্ট্রেশন না করে থাকে, তাহলে আমরা এখানেই রেজিস্ট্রেশন এবং টিকা একসাথেই দিয়ে থাকি। সোমবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, আমরা প্রথমে মহাখালীর কড়াইল বস্তি থেকে টিকাদান কর্মসূচি শুরু করব। ওখানে প্রায় ৩ লাখ মানুষ বাস করে। তাদের দিয়েই কর্মসূচি শুরু করা হবে। ধীরে ধীরে অন্যান্য বস্তিতে এ কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানান মন্ত্রী। এই মাসের মধ্যে তিন কোটি টিকা প্রয়োগের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। সেই লক্ষ্যে দৈনিক ১৫ থেকে ২০ লাখ টিকা দেওয়া হচ্ছে।