নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে চলাচল করা যাত্রীদের গত দশ দিনের দুর্ভোগের অবসান হচ্ছে আজ রাতে। গাজীপুরের তুরাগ নদীর ওপরের টঙ্গী ব্রিজের ঝুঁকিপূর্ণ অংশের সংস্কারকাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। শনিবার দিবাগত রাত ১২টার পর ব্রিজটি চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে। বিআরটি প্রকল্পের সেতু বিভাগের প্রকল্প পরিচালক মহিরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মহিরুল ইসলাম বলেন, ‘নতুন সেতুর নির্মাণকাজ সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত মেরামত করা সেতু দিয়ে যান চলাচল করবে। পাশাপাশি নতুন সেতুর নির্মাণকাজ চলমান থাকবে।’
সেতু এলাকা পরিদর্শন করে দেখা গেছে, ঢাকামুখী যানবাহনগুলো কামারপাড়া রোডের মোড় ঘুরে রাজধানীতে প্রবেশ করছে। ব্রিজের একপাশ দিয়ে সাধারণ মানুষ পায়ে হেঁটে পার হচ্ছেন।
ময়মনসিংহ থেকে আসা মাইক্রোবাস চালক রবিউল ইসলাম বলেন, ‘প্রায় এক সপ্তাহ যাবৎ এ সড়ক দিয়ে চলাচলকারী যাত্রী ও যানবাহনের চালকরা ব্রিজের জন্য দুর্ভোগে আছেন। থেমে থেমে যান চলাচল ও যানজটের কারণে মানুষ সময়মতো অফিস-আদালত ও গন্তব্যে পৌঁছতে পারেনি। দ্রুত চলাচল উপযোগী করার চেয়ে সেতুটিকে ভালোভাবে সংস্কার করে ঝুঁকিমুক্ত করাই জরুরি ছিল। এটি যেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিবেচনা করেন।’
ঢাকাগামী ইসলামীয়া পরিবহনের চালক আবুল কালাম জানান, ব্রিজটির সংস্কার কাজের জন্য বেশ কয়েকদিন যাবৎ যাত্রী ও চালকদের ধুলোবালি আর যানজটের মধ্যে চলাচল করতে হচ্ছে। ব্রিজটি চালু হলে মানুষের দুর্ভোগ কমবে।’
গাজীপুরের শ্রীপুরের একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন আল-আমিন। ঢাকা থেকে প্রতিদিন তিনি সেখানে যাতায়াত করেন। আল-আমিন বলেন, ‘ব্রিজটি ভেঙে যাওয়ায় প্রতিদিন সকালে এক ঘণ্টা এবং অফিস থেকে ফেরার সময় দুই থেকে তিন ঘণ্টা টঙ্গী ব্রিজের কাছে এসে জ্যামে বসে থাকতে হয়।’
প্রসঙ্গত, গত ৯ নভেম্বর টঙ্গী ব্রিজে ঝুঁকিপূর্ণ অংশটি চিহ্নিত হয়। ১০ নভেম্বর রাতে ব্রিজের ঢাকামুখী চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। ঢাকামুখী যানবাহনগুলো কামারপাড়া রোডের মোড় ঘুরে রাজধানীতে প্রবেশের বিকল্প ব্যবস্থা করা হয়। ১২ নভেম্বর থেকে ব্রিজটি চলাচল উপযোগী করার জন্য সংস্কারকাজ শুরু হয়।