গ্যাস সিলিন্ডার একেকটি তাজা বোমা

বিশেষ প্রতিবেদন

গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ থেকে বাঁচতে হলে কয়েকটি বিষয়ের ওপর বিশেষ নজর রাখতে হবে। রান্নার পর অবশ্যই গ্যাসের চুলা বন্ধ রাখতে হবে। লম্বা পাইপ ব্যবহার করে বারান্দায় বা খোলামেলা জায়গায় সিলিন্ডার রেখে ব্যবহার করতে হবে। চুলা জ্বালানোর আগে অবশ্যই রান্নাঘরের জানালা-দরজা খোলা রাখতে হবে। চুলা জ্বালিয়ে কাপড় শুকানো যাবে না। সিলিন্ডার বা পাইপে লিকেজ আছে কি না, তা নিয়মিত পরীক্ষা করতে হবে। রাতে ঘুমানোর আগে অবশ্যই চুলা বন্ধ করে ঘুমাতে হবে।
বেনজির আহমেদ, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ


বিজ্ঞাপন

 

 

নিজস্ব প্রতিবেদক : গ্যাসের ব্যবহার যত বাড়ছে, ততই বাড়ছে দুর্ঘটনা ও হতাহতের পরিমাণ। বিশেষ করে, তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) সিলিন্ডার বিস্ফোরণে প্রাণহানি দিন দিন বাড়ছে। বিস্ফোরক পরিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, গত ১০ বছরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ সংক্রান্ত ৯ শতাধিক দুর্ঘটনায় প্রায় দেড় হাজার লোক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কয়েক হাজার। এর মধ্যে কেবল গত বছরেই নিহত হয়েছেন শতাধিক মানুষ। ফায়ার সার্ভিস, তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড, বিস্ফোরক পরিদপ্তর ও বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
সরকারিভাবে বসতবাড়িতে গ্যাস সংযোগ বন্ধের কারণে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলপিজি) ব্যবহার কয়েক গুণ বেড়েছে। রান্নার কাজে এলপিজি ব্যবহার শুরু হয় ২০০৫ সালে। রেস্তোরাঁ, বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ও মোটরগাড়িতে দেদারসে এলপি গ্যাস ব্যবহার হচ্ছে। আগামীতে এলপি গ্যাসের ব্যবহার আরও বাড়বে বলেই ধারণা বিশেষজ্ঞদের।
রাজধানীর মুগদা থানার মাতব্বর গলির পাঁচ তলা ভবনের নিচ তলায় রান্না ঘরের গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে শিশুসহ একই পরিবারের চার জন দগ্ধ হয়েছে। সোমবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে বলে জানায় প্রত্যক্ষদর্শীরা। অগ্নিদগ্ধ ব্যক্তিরা হলেন সুধাংশু (৩৫), তার স্ত্রী প্রিয়াঙ্কা (৩২), তাঁদের ছেলে উরক (৫) ও শাশুড়ি শেফালি (৫৫)। গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়েছে।
শিশুসহ তিন জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানান শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. এসএম আইউব হোসেন। তিনি জানান, মুগদা থেকে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে একি পরিবারের শিশুসহ চার জন দগ্ধ হয়েছে।
এদের মধ্যে শিশু উরফের শরীরের ৬৭ শতাংশ, বাবা সুধাংশুর শরীরের ২৫ শতাংশ, মা প্রিয়াংকার শরীরের ৭২ শতাংশ এবং নানী সেফালীর শরীরের ৩৫ শতাংশ ফ্লেম বার্ন ও ইনহ্যালেশন ইনজুরি হয়েছে। জরুরি বিভাগে তাদের চিকিৎসা চলছে।
এঘটনায় মুগদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মীর জামিল উদ্দীন জানান, সকালে রান্না করতে গিয়ে বিস্ফোরণ ঘটে। অসাবধানতার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, গ্যাস লিকেজ হয়ে রান্নাঘরে ছড়িয়ে পড়েছিল। সকালে রান্নার জন্য চুলার আগুন জ্বালাতে গেলে বিস্ফোরণ হয়।
গত বছরের শুরুতে রাজধানীর পুরান ঢাকার চুড়িহাট্টা ট্র্যাজেডিতে প্রাণ হারান ৮১ জন মানুষ। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ৩ জন, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গ্যাসের লাইন বিস্ফোরণে ২ জন, রাজধানীর মিরপুরের রূপনগরে বেলুন তৈরির সময় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ৭ শিশু ও মানিকগঞ্জে একই পরিবারের ৩ জন নিহত হন।
২০১৯ সালে চট্টগ্রামের পাথরঘাটায় গ্যাস লাইনে বিস্ফোরণে নারী, শিশুসহ ৭ জন নিহত হয়েছিলেন। সে ঘটনায় মারাত্মকভাবে দগ্ধ হয়েছিলেন আরও কয়েকজন। একই বছরে নারায়ণগঞ্জের সাহেব পাড়ায় চুলার গ্যাস থেকে লাগা আগুনে একই পরিবারের ৮ জন ভয়ঙ্করভাবে দগ্ধ হন। তাদের মধ্যে ৩ জন মারা যান।
গ্যাস দুর্ঘটনায় হতাহতের বিষয়ে শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের প্রধান ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘সারা দেশ থেকে প্রতি মাসে গড়ে ৫০০ জনেরও বেশি আগুনে পোড়া রোগী ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে ভর্তি হচ্ছেন। তাদের মধ্যে মারা যাচ্ছেন প্রায় এক-পঞ্চমাংশ রোগী। এসব রোগীর মধ্যে ৪০ শতাংশই গ্যাসের আগুনে দগ্ধ হয়েছেন। আমরা একটু সচেতন হলে এ ধরনের দুর্ঘটনা কমিয়ে আনতে পারি।’
দেশে সরকারিভাবে গ্যাস সিলিন্ডারের মান নিয়ন্ত্রণে নির্ধারিত নীতিমালা থাকলেও তার সঠিক প্রয়োগ নেই বললেই চলে। কারিগরি ত্রুটি, ব্যবহারকারীদের অসচেতনতা ও অসতর্কতার ফলে নিয়মিত এসব দুর্ঘটনা ঘটছেই। দুর্ঘটনায় মৃত্যুর দিক থেকে গ্যাস সিলিন্ডার দুর্ঘটনা এখন অনেক ওপরের দিকে। এখন গ্যাস সিলিন্ডার যেন তাজা বোমা।
তিতাস গ্যাসের জেনারেল সার্ভিস ডিভিশনের মহাব্যবস্থাপক মো. মুনির হোসেন খান বলেছেন, ‘সরকারিভাবে বসতবাড়িতে নতুন গ্যাস সংযোগ দেওয়া বন্ধ থাকায় অনেকে গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করছেন। এ ক্ষেত্রে সিলিন্ডার ব্যবহারকারীদের তিনটি বিষয় অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে—সিলিন্ডার নিরাপদ ও খোলা জায়গায় রাখতে হবে, রান্নায় সতর্ক অবস্থায় গ্যাস ব্যবহার করতে হবে এবং রেগুলেটরসহ সিলিন্ডারের খুঁটিনাটি সব পরীক্ষা করার পাশাপাশি রান্নাঘরে পর্যাপ্ত ভেন্টিলেশনের ব্যবস্থা রাখতে হবে। তাহলেই দুর্ঘটনা কমবে।’
এলপিজি বিক্রিতেও আছে নানা সমস্যা। এলপিজি বিধিমালা ২০০৪-এর তৃতীয় অধ্যায়ে উল্লেখ আছে, লাইসেন্সধারী ছাড়া অন্য কেউ এলপিজি বিক্রি ও বাজারজাত করতে পারবে না। বাস্তবে লাইসেন্স ছাড়াই এলপি গ্যাস হরদম বিক্রি হচ্ছে। অলিগলিতে নিয়ম না মেনে গড়ে উঠেছে এলপি গ্যাসের দোকান।
গ্যাস সিলিন্ডার বিধিমালা ১৯৯১-এর চতুর্থ পরিচ্ছেদে বলা হয়েছে, গ্যাসপূর্ণ সিলিন্ডার কোনো দ্বিচক্রযানে পরিবহন করা যাবে না। কোনো যানে সিলিন্ডার পরিবহনের ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে, সিলিন্ডারের কোনো অংশ যেন ওই যানের বাইরে না থাকে। অথচ বিক্রি বা পরিবহনের ক্ষেত্রে এসব নিয়ম একদমই মানা হচ্ছে না। ফলে, বাড়ছে হতাহতের পরিমাণ।
এছাড়া, গ্যাস পাইপ লাইনের বিভিন্ন ত্রুটির কারণেও দুর্ঘটনা বাড়ছে। গ্যাস কোম্পানির অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাধ্যমে ঢাকা ও এর আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় টাকার বিনিময়ে অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগ দেওয়া হচ্ছে। এসব গ্যাস পাইপলাইনে কারিগরি ত্রুটি থাকে। এসব পাইপলাইনে লিকেজের কারণেও অনেক সময় ভয়াবহ দুর্ঘটনা হচ্ছে।
খরচ বাঁচানোর জন্য বিভিন্ন যানবাহনেও গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করা হচ্ছে। এসব সিলিন্ডার দুর্বল বা মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় ব্যক্তিগত গাড়ি, বাস বা ট্রাকে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা বেশি থাকে। যাত্রীবাহী বাস একং মালবাহী ট্রাকে সাধারণত ৬ থেকে ৮টি সিলিন্ডার ব্যবহার করা হয়। অনেক সময়ই কম দামে নি¤œমানের গ্যাস সিলিন্ডার কিনে গাড়িতে ব্যবহার করা হয়। এ কারণেও ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে।
গাড়িতে কম দামি, পুরনো, মেয়াদোত্তীর্ণ সিলিন্ডার ব্যবহার করা প্রসঙ্গে ইফাদ মটরসের মহাব্যবস্থাপক হাফিজুর রহমান বলেন, গাড়িতে ব্যবহৃত গ্যাস সিলিন্ডারের কারণে যাতে দুর্ঘটনা না ঘটে, সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। নির্দিষ্ট সময় পরপর প্রতিটি সিলিন্ডার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হবে। পুরোনো গাড়ি কেনার সময় সিলিন্ডার-সংক্রান্ত ডকুমেন্ট ঠিক আছে কি না, তা বুঝে নিতে হবে।
পাঁচ বছর পরপর গ্যাস সিলিন্ডার রি-টেস্ট করার বিধান থাকলেও বেশিরভাগ ব্যবহারকারী সেটা করেন না। ২০১৭ সালে বিস্ফোরক পরিদপ্তর রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের ১১ হাজার গ্যাস সিলিন্ডার পরীক্ষা করেছিল। তাতে দেখা গেছে, ৮ হাজার গ্যাস সিলিন্ডারই ব্যবহারের অনুপযোগী। এই হিসাব থেকেই বোঝা যায়, গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঝুঁকি কতটা ব্যাপক। বিস্ফোরক পরিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, সঠিক তদারকির অভাবে দেশে নিবন্ধিত ২৫ লাখ যানবাহনের মধ্যে গ্যাস সিলিন্ডার পরীক্ষার প্রতিবেদন জমা দেয় ১৪ থেকে ১৫ হাজার যানবাহন।
এখন রাজধানীর পাশাপাশি দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও রান্নার কাজে গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করা হচ্ছে। এসব ব্যবহারকারী টাকা বাঁচানোর জন্য অনেক সময় নি¤œমানের ও মেয়াদোত্তীর্ণ সিলিন্ডার ব্যবহার করেন। এর ফলে প্রায়ই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে। একটি গ্যাস সিলিন্ডারের মেয়াদ সাধারণত ১০ থেকে ১৫ বছর। ওই মেয়াদের পর সেগুলো ব্যবহার করা হলে বিস্ফোরণের আশঙ্কা থাকে। মেয়াদোত্তীর্ণ সিলিন্ডার ব্যবহার বন্ধ করতে সরকারকে আরও কঠোর নীতি গ্রহণ করতে হবে।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ বেনজির আহমেদ বলেন, ‘গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ থেকে বাঁচতে হলে কয়েকটি বিষয়ের ওপর বিশেষ নজর রাখতে হবে। রান্নার পর অবশ্যই গ্যাসের চুলা বন্ধ রাখতে হবে। লম্বা পাইপ ব্যবহার করে বারান্দায় বা খোলামেলা জায়গায় সিলিন্ডার রেখে ব্যবহার করতে হবে। চুলা জ্বালানোর আগে অবশ্যই রান্নাঘরের জানালা-দরজা খোলা রাখতে হবে। চুলা জ্বালিয়ে কাপড় শুকানো যাবে না। সিলিন্ডার বা পাইপে লিকেজ আছে কি না, তা নিয়মিত পরীক্ষা করতে হবে। রাতে ঘুমানোর আগে অবশ্যই চুলা বন্ধ করে ঘুমাতে হবে।’
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ফরহাদ মঞ্জুর বলেন, বাসায় কোনো কারণে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হলে প্রথমে বালি দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করতে হবে। কোনোভাবে পানি ব্যবহার করা যাবে না। শরীরে আগুন লাগলে কাপড়গুলো খুলে ফেলতে হবে। শরীরে ২০ মিনিট ধরে পানি ঢালতে হবে এবং মোটা কাপড় বা কাঁথা ভিজিয়ে শরীর ঢেকে দিতে হবে। হাতের কাছে এসব জিনিস না পাওয়া গেলে মাটিতে গড়াগড়ি দিতে হবে। যত দ্রুত সম্ভব আক্রান্ত মানুষকে হাসপাতালে নিতে হবে।
এলপি গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহারে অদক্ষতা ও অসচেতনতার কারণে সংঘটিত বিস্ফোরণে প্রাণহানি বাড়ছে। এ প্রসঙ্গে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আনিছুর রহমান বলেন, ‘গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহারের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বিধিমালা সুষ্ঠুভাবে পরিপালন করা হচ্ছে কি না, তা যাচাইয়ের জন্য সিলিন্ডার মজুত ও পরীক্ষাকেন্দ্র নিয়মিতভাবে পরিদর্শন করা হচ্ছে। অভিযান অব্যাহত রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে জনসচেতনতা গড়ে তুলতে দেশব্যাপী ব্যাপক প্রচারের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’
বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য মতে দেশে বসুন্ধরা, ওমেরা, যমুনা, লাফস, নাভানাসহ প্রায় ১৫টি প্রতিষ্ঠান বর্তমানে মাসে প্রায় ৪৫০ কোটি টাকার ৫০ হাজার মেট্রিক টন এলপি গ্যাস বাজারজাত করছে। এর মধ্যে বসতবাড়িতে ৮১ শতাংশ, ছোট-মাঝারি শিল্পে ১৪ শতাংশ, বড় শিল্পে ১ শতাংশ, পরিবহনে ১ শতাংশ ও অন্যান্য খাতে ৩ শতাংশ এলপি গ্যাস ব্যবহার করা হচ্ছে। এলাকাভেদে ১২ কেজির এলপি গ্যাসের সিলিন্ডার ১ হাজার ৩৫০ থেকে ১ হাজার ৪০০ এবং ৩৫ কেজির সিলিন্ডার ৩ হাজার ৮০০ থেকে ৩ হাজার ৮৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।