ভাড়া সংক্রান্ত জটিলতা নিরসনে সিএমপি

অপরাধ

নিজস্ব প্রতিনিধি : গতকাল এ বিষয়ে চট্রগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের ফেইসবুক পেইজের পোস্টের কমেন্ট সেকশনে সম্মানিত জনগণ নানা বিষয়ে জানতে চেয়েছেন। উত্থাপিত এ সকল বিষয়াদি সংক্রান্তে মন্তব্য ফ্রিকোয়েন্টলি আসকড কোয়েশ্চেন্স হিসেবে নি‌ম্নে উপস্থাপন করা হলোঃ


বিজ্ঞাপন

১। MD Harun এর মন্তব্যঃ স্যার… আজকে এইরকম একটি গাড়িতে করে আন্দরকিল্লাহ থেকে চট্টগ্রাম কলেজের সামনে নামলে আমার থেকে ১০ টাকা ভাড়া নেয়। আমি যখন জিঙ্গেস করি তখন চালক বললো ভাড়া নাকি ১০টাকা। আমার প্রশ্ন হলো আন্দরকিল্লাহ থেকে চট্টগ্রাম কলেজের দূরত্ব কত? আর ভাড়া কত হওয়া উচিত?? দয়া করে জানাবেন স্যার।

জবাবঃ- ডিজেল চালিত গাড়িতে ভাড়া ১-২ টাকা বাড়তে পারে তবে সিএনজি চালিত গাড়িতে পূর্বের ভাড়া থেকে বেশি ভাড়া নিতে পারবে না। কাজেই সিএনজি চালিত গাড়িতে পূর্বে যে ভাড়া ছিল সে ভাড়াই দিবেন। তার পরেও এ সংক্রান্তে আপনার কোন অভিযোগ থাকলে যাতায়াত কালীন টোল ফ্রি নাম্বার ৯৯৯ বা সিএমপি কন্ট্রোল রুম নাম্বার 30352/639022/630375 এ অভিযোগ জানালে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

২। Delwar Hossain এর মন্তব্যঃ অনেক গাড়িতে স্টীকার নাই, আপনার খুব দৃঢ় ভাবে কার্যকর ভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ করুন।

জবাবঃ- কার্যক্রম অব্যাহত আছে।

৩। Faisal Rabby এর মন্তব্যঃ টাইগারপাস থেকে আমবাগান হয়ে অলংকার যাওয়া গণপরিবহণগুলোর দিকে নজর দিলে উপকৃত হতাম। আরেকটি অনুরোধ: আইসফেক্টরী রোডস্থ রেলওয়ে স্টেশন কলোনীতে পুনরায় আবার মাদক বেচাকেনা শুরু হয়ছে। বাঁধা প্রধান করা হলে উল্টো হুমকি দেওয়া হয়। আপনাদের সদয় দৃষ্টিপাত করছি। ধন্যবাদ।

জবাবঃ- টাইগারপাস থেকে আমবাগান হয়ে অলংকার গামী গণপরিবহণ গুলোর দিকে নজরদারী অব্যাহত রাখা হয়েছে। মাদক সংক্রান্ত অভিযোগটি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।

৪। Galib Uz Zaman এর মন্তব্যঃ Apnader chart unojai e maximum bus vara nite chai na. Ashole apnara huge jorimana na korle and 2nd bar korle 2-1 ta gari dump na korle tara may be aita manbe na. Akta example ak khan thek 4 no bus ar gec vara 8 tk by chart but tara 10-12 taka nei. 8 dile bus a gala gali plus falai dite chai. Ar disel chalito taxi r bepar a jodi podokkhep niten aro valo hoi, tader jonno kono niti mala na thakai tara ja ta vara nicche pura ctg te
জবাবঃ- অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিরুদ্ধে সিএমপি ট্রাফিক পুলিশের কার্যক্রম অব্যাহত আছে। এ সংক্রান্তে আপনার কোন অভিযোগ থাকলে যাতায়াত কালীন টোল ফ্রি নাম্বার ৯৯৯ বা সিএমপি কন্ট্রোল রুম নাম্বার 30352/639022/630375 এ অভিযোগ জানালে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

৫। Shrabon Dhar এর মন্তব্যঃ ভাড়ার এই চার্ট কি গাড়ির সিট ক্যাপাসিটির যাত্রী নিয়ে চলাচলের ক্ষেত্রে দেয়া হয়েছে? বাসের সাইজ ভেদে ১৫-৩০ জন যাত্রী দাড় করিয়ে নেয়া হয়। দাড়িয়ে যাওয়া যাত্রীতে বাস পূর্ণ না হলে বাসওয়ালা চলতে চায় না, একেক জায়গায় অনেকক্ষণ দাড়িয়ে থাকে। ভাড়া সিট ক্যাপাসিটির হলে এরকম আচরনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা কি নেয়া হবে?

জবাবঃ- অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহণ ও অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিরুদ্ধে সিএমপি ট্রাফিক বিভাগের অভিযান অব্যাহত আছে। এ সংক্রান্তে আপনার কোন অভিযোগ থাকলে যাতায়াত কালীন টোল ফ্রি নাম্বার ৯৯৯ বা সিএমপি কন্ট্রোল রুম নাম্বার 30352/639022/630375 এ অভিযোগ জানালে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

৬। Junayed Uddin এর মন্তব্যঃ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা সিএমপি’র প্রতি। আজ সন্ধ্যায় আমার একটা অভিযোগের কয়েক মিনিটের মধ্যে প্রতিকার পেয়েছি। শুধু তাই না। সমস্যা সমাধানের ঘন্টা খানেক পর সিএমপি ট্রাফিক কন্ট্রোল রুম থেকে আমাকে ফোন দেওয়া হয় যে সমস্যা সমাধান হয়েছে কিনা এবং পথিমধ্যে কোনো ঝামেলা হয়েছে কি না। এমন সেবাবান্ধব পুলিশিং অব্যহত থাকুক এই প্রত্যাশা। ভালোবাসা রইল।

জবাবঃ- সিএমপি সবসময়েই আপনাদের পাশে রয়েছে। ধন্যবাদ আপনার মতামতের জন্য।

৭। EM Osman Goni এর মন্তব্যঃ এটা কোন সমাধান না ২দিন পর উঠে যাবে স্টিকার গুলো অভিযান ও ততদিনে শেষ হয়ে যাবে।নগরীর টেকনিক্যাল মোড় থেকে খুলশি রেল গেইট পর্যন্ত প্রতিদিন শত শত সি এন জি চলাচল করে কিন্তু পুলিশের চোখে পড়ে না। জিজ্ঞাস করা হলে বলে অভিযান অব্যহত আছে। এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়কে অব্যহত অভিযানের মধ্যে কেমনে চলে –? অথছ এই সড়কের মধ্যেও একটা পুলিশ বিট আছে টেকনিক্যালে দূর্রভাগ্য তাদের চোখে পড়ে না। সব শেষে বলতে চাই কাজ করুন মানুষের সেবক হয়ে।

জবাবঃ- স্টিকার উঠানোরে প্রমান পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ হবে। টেকনিক্যাল মোড় থেকে খুলশি রেল গেইট পর্যন্ত সিএনজি চলাচল নিষিদ্ধ নয়।

৮। Ataul Rashid এর মন্তব্যঃ জানতে চাওয়া, মেট্রোপলিটান এরিয়া থেকে ছেড়ে যাওয়া আন্তঃনগর বাসগুলোর কি আপনাদের আন্ডারে পড়ে না?? নাকি রাগব বোয়ালদের বিরুদ্ধে কিছু করতে পারবেননা তাই নীরব আপনারা??

জবাবঃ- অভিযোগ সুনির্দিষ্ট হলে হয়তো মতামত দেওয়া যেতো।

৯। Rajesh Kumar Dey এর মন্তব্যঃ মার্কেট থেকে ফইল্লাতলী বাস স্টেন্ড পর্যন্ত যাওয়া ৩ চাকা ওয়ালা ডাকসো টেম্পুগুলো স্টিকার লাগিয়ে দিলে সাধারণ মানুষেরা অনেক উপকৃত হতো।

জবাবঃ- স্টিকার লাগানো হয়েছে।

১০। Md Ali এর মন্তব্যঃ অনেক গাড়ির এই স্টিকার ছিঁড়ে ফেলছে, তার জন্য আইন অনুযায়ী ব্যবস্থতা নেওয়া দরকার।

জবাবঃ- আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ অব্যাহত আছে।

১১। SB Doly এর মন্তব্যঃ নারী যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য আগে বাস-মিনিবাস এর ভেতর গাড়ির নাম্বার যুক্ত স্টিকার লাগানো ছিল । এখন তা আর দেখা যাচ্ছে না। আপনাদের কাছে অনুরোধ আবারো যাতে প্রত্যেকটা গাড়ির ভেতরে যেন গাড়ির নাম্বার দেওয়া হয় । কারণ কয়েকদিন আগে আমি এমন একটা বাসে উঠেছিলাম যেটার ড্রাইভার বাজে আচরণ করছিল। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর অনেক কর্মজীবী নারীরা বাসে করে আসা-যাওয়া করে তাদের নিরাপত্তার খাতিরে আবারো গাড়ির ভেতরে গাড়ির নাম্বার দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।

জবাবঃ- আপনার পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ। এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মহলের সাথে আলোচনা করে বাস্তবায়নের চেষ্টা করা হবে।

১২। Muhammad Shakil Rahman এর মন্তব্যঃ আজ দেখলাম নগরীর চট্টগ্রামের ১ ও ৩ নং গ্যাস চালিত রেইন্জারে অবৈধভাবে বাড়তি ভাড়া আদায় করছে। কেউ কিছু বললেই খারাপ ব্যবহার করছে। সাধারণ জনগণের কথা চিন্তা করে আপনারা যদি দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ নিন তবে সাধারণ জনগণ আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকবে। আশা করি আপনারা কার্যকরী পদক্ষেপ নিয়ে চট্টগ্রামের সাধারণ জনগণকে সহায়তা প্রদান করবেন।

জবাবঃ- অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিরুদ্ধে সিএমপি ট্রাফিক বিভাগের অভিযান অব্যাহত আছে। এ সংক্রান্তে আপনার কোন অভিযোগ থাকলে যাতায়াত কালীন টোল ফ্রি নাম্বার ৯৯৯ বা সিএমপি কন্ট্রোল রুম নাম্বার 30352/639022/630375 এ অভিযোগ জানালে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

১৩। হৃদয় চৌধুরী এর মন্তব্য:স্যার ২নং গেইটের দিকে একটু দেখলে ভালো হতো, দিনের গুরুত্বপূর্ণ সময় গুলাতে এই রাস্তা পার হতে ২০ থেকে ৩০ মিনিট সময় লাগে।এতে সাধারণ যাত্রী অনেক বেশি ভোগান্তির শিকার হয়।

জবাব: বায়েজিদ লিংক রোড হওয়ার পর থেকে শহরে প্রবেশের জন্য দুই নাম্বার গেট অত্যন্ত ব্যস্ততম ও গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে পরিণত হয়েছে । ফ্লাইওভারের উপর দিয়ে কোন ধরনের ভারী যানবাহন প্রাইম মুভার,ট্রাক, কভার ভ্যান চলাচল করতে পারে না ফলে বাধ্য হয়ে ফ্লাইওভারের নিচে দিয়ে চলাচল করতে হয় বিশেষ করে রাত আটটার পর থেকেই এই সিগন্যাল দীর্ঘ হয় । ভারী যানবাহনের চলাচলের জন্য ফ্লাইওভারের উপরে অংশ ব্যবহার করা যায় কিনা সেজন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

১৪। সজীব বড়ুয়া এর মন্তব্য :বহদ্দারহাট থেকে কাপ্তাই রাস্তার মাথা চলাচলকারী টেম্পু গুলো ওঠানামা ১০/- টাকা ভাড়া দাবি করে। এছাড়াও আমার জানামতে বহদ্দারহাট থেকে কাপ্তাই রাস্তার মাথা এত স্বল্প দৈর্ঘ্যের কোন রুট নেই। এ ধরণের অনিয়ম বন্ধে অভিযানসহ জরিমানা করা প্রত্যাশা করছি।

জবাব : তিন চাকার ম্যাক্সিমা এবং সবুজ টেম্পু গুলোর বিআরটিএ থেকে এখনো ভাড়ার লিস্ট পাওয়া যায়নি তবে সিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগ অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের জন্য মামলা ও সংশ্লিষ্ট গাড়ি আটক অব্যাহত রেখেছে।

১৫। Minhajul Abedin এর মন্তব্যঃ ট্রাফিক সিস্টেম ডিজিটালাইজেশন করা উচিত, ২০২১ সালে এসেও এখনো হাতের ইশারায় গাড়ি থামে। যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং যানজটের অন্যতম কারণ। ট্রাফিক বিভাগের এই বিষয়ে আরো দক্ষতার পরিচয় দেওয়া উচিত। কঠোর আইনের প্রয়োগেই এর সমাধান রয়েছে। মধ্যপ্রাচ্য বা পশ্চিমা উন্নত দেশ গুলোর দিকে তাকালেই তা আমরা বুঝতে পারি।

জবাবঃ- ডিজিটাল ট্রাফিক সিস্টেম স্থাপনের দায়িত্ব সিটি কর্পোরেশনের। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন একাধিক বার এই উদ্যোগ বাস্তবায়ন করলেও নানাবিধ টেকনিক্যাল কারণে তা বেশিদিন টিকিয়ে রাখা যায়নি। তাছাড়া সেই সময় সড়কে চলাচলকারী যানবাহন কর্তৃক ডিজিটাল ট্রাফিক সিগন্যাল অমান্যের অভিজ্ঞতাও রয়েছে, যে কারণে ডিজিটাল ট্রাফিক সিগন্যাল এর পাশাপাশি তখন একই সাথে বর্তমানের মত ম্যানুয়ালি হাত দিয়ে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রন করা হত। কাজেই আমাদেরকেও উন্নত দেশের নাগরিকদের মত উন্নত মানসিকতাসম্পন্ন, দায়িত্বশীল ও সচেতন হওয়া জরুরী।

১৬। Sorwar Ahmad Tamim এর মন্তব্যঃ সল্টখোলা ক্রসিং বন্দর মেইন ফটকের সামনে এর মোড়ে অবৈধ ভাবে ২/৩ লেন হয়ে লরি পার্ক করে রাখে বন্দরের গেইটে সামনে।এতে ফ্লাইওভার এর কাজ+ লরি পার্ক সহ রাস্তা একদম সরু হইয়ে ভয়ংকর যানজট সৃষ্টি হই। ফ্রিপোর্ট থেকে ক্রসিং যেতেই ১ঘন্টা বা তার বেশি সময় লেগে যায় অনেক সময় মুমুর্ষ রোগীর এম্বুলেন্স সময় মত হাসপাতাল পৌছাতে পারে না। এম্বুলেন্স তাদের ইমারজেন্সি সাইরেন বাজালেও তাতে কোন কাজ হই না। ট্রাফিক পুলিশ রা সেইখানে উপস্থিত থাকলেও তারা এই সমস্যার সমাধান করতে রীতিমত হিমসীম খাচ্ছে।তাই এই লরি পার্ক এর বিষয় টা অতি জরুরি সমাধান করা প্রয়োজন এবং বিকল্প ব্যবস্থা করে এই অযথা যানজট এর সমাধান করা প্রয়োজন ।

জবাবঃ- সল্টগোলা ক্রসিং মেইন ফটকের সামনের মোড়ে গাড়ির লাইন অনেক সময় হয়ে থাকে যখন বন্দরে গাড়ী প্রবেশ ধীর গতিতে হয় অথবা বন্দরের গেট খুলতে বেশী সময় লাগে এ ছাড়া এতো বড় বড় গাড়ীর ঢোকার জন্য সামনের রাস্তার আরও প্রশস্ততা এবং নিকটবর্তী স্থানে বড় পার্কিং স্থান প্রয়োজন। আমরা প্রতিনিয়ন কাজ করে যাচ্ছি যাতে করে মানুষের চলাচলের বিঘ্ন না হয়।

১৭। Farid Rana এর মন্তব্যঃ এই অবৈধ পার্কিং এর জন্য চউক, রাজউক এবং ট্রাফিক শাখা সমান ভাবে দায়ী বলে আমি মনে করি কেননা উচ্চ ভবন ও শপিং সেন্টারের নকশা চউক বা রাজউক কতৃক অনুমোদন হয় তখন যদি তারা পার্কিং ব্যবস্হার প্রতি নজর দিতেন তাহলে এই সমস্যা অনেকটাই লাঘব হতো দ্বিতীয়ত নতুন গাড়ির রোড পারমিট দেওয়ার দ্বায়িত্ব ট্রাফিক বিভাগের, ট্রাফিক বিভাগ যদি নিজস্ব গ্যারেজ বেতিরেক কোনো গাড়িকে রোড পারমিট না দেয়ার আইন করে তাহলেও যত্রতত্র পার্কিং বন্ধ করা সম্ভব।

জবাবঃ- নতুন ভবন করার সময় পার্কিং দেখিয়ে অনুমোদন নিলেও পরবর্তীতে ভবন মালিক তা অন্য কাজে ব্যবহার করে। ফলে ভবনের গাড়ি গুলি রাস্তায় পার্কিং করে যানজট সৃষ্টি করে। ট্রাফিক বিভাগ কোন গাড়ীর রুটপারমিট দেয় না। আরটিসি(রিজিওনাল ট্রান্সপোর্ট কমিটি) এর অনুমোদন সাপেক্ষে বিআরটিএ রুট পারমিট প্রদান করে থাকে।

১৮। Tousif Nur এর মন্তব্যঃ যত্রতত্র পার্কিং আর ফুটপাত দখল করা একই না? পুরো শহররের ফুটপাতই তো দখল করা। সেগুলো কবে উদ্ধার করবে সিএমপি?

জবাবঃ- ফুটপাত দখলমুক্ত রাখার ক্ষেত্রে একাধিক পক্ষীয় কার্যক্রম, কর্মপরিকল্পনা, দায়িত্বশীলতা ও সচেতনতা জরুরী। তথাপিও সিএমপি সাধ্যমত চেষ্টা করে সম্ভাব্য ক্ষেত্রে ফুটপাত এবং রাস্তার কার্পেটিং এরিয়া পরিস্কার রেখে যানবাহন ও জনসাধারণের নিরবচ্ছিন্ন চলাচল নিশ্চিত করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।

১৯। মোঃ আজমল হুদা পাভেল এর মন্তব্যঃ চট্রগ্রামএ ঢাকার মত যাত্রী দাড়িয়ে নেওয়া নিষেধ করেন। আর ইপিজেড এই সন্ধ্যার পর বেশি ভাড়া নেই, এইগুলা একটু দেখেন

জবাবঃ- অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহণ ও অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিরুদ্ধে সিএমপি ট্রাফিক বিভাগের অভিযান অব্যাহত আছে। এ সংক্রান্তে আপনার কোন অভিযোগ থাকলে যাতায়াত কালীন টোল ফ্রি নাম্বার ৯৯৯ বা সিএমপি কন্ট্রোল রুম নাম্বার 30352/639022/630375 এ অভিযোগ জানালে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

২০। Omar Iqbal এর মন্তব্যঃ নিমতলা বিশ্বরোড় হতে অলংকার পর্যন্ত পুরা রাস্তা পার্কিং জোন হয়ে গেছে আপনাদের সু দৃষ্টি কামনা করছি

জবাবঃ- বিগত কয়েকটি বছর ধরে নিমতলা থেকে অলংকার পর্যন্ত সড়কটি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দুর্বল ব্যবস্থাপনার কারণে এবং মেরামতের অভাবে সড়কটি প্রায় যান চলাচলের অনুপযোগী অবস্থায় পড়েছিল। ট্রাফিক বিভাগ অনেক শ্রমের বিনিময়ে গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কে যানবাহন চলাচল অব্যাহত রেখেছে। অলংকার থেকে বড়পুল পর্যন্ত বর্তমানে কাজ শুরু হয়েছে। নিত্য আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।সড়কটি নির্মাণ সম্পন্ন হলে নগরবাসীর প্রত্যাশা পূরণ হবে। বানিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রাম শহরে একটি ও বাস কিংবা ট্রাক স্ট্যান্ড নেই। বন্দর কর্তৃপক্ষ পণ্যবাহী যানবাহনের জন্য কোন স্ট্যান্ড তৈরি করেনি। পণ্যবাহী যানবাহনগুলো বন্দরে খুব ধীর গতিতে প্রবেশ করার কারণে পণ্যবাহী অসংখ্য ট্রাক,লরি, কাভার্ডভ্যান,লং ভেহিকেল ইত্যাদি বন্দরে প্রবেশ করার জন্য কোন স্ট্যান্ড না থাকার কারণে বন্দরমুখী এই সব যানবাহন নিমতলা সড়কে অবস্থান করতে বাধ্য হয়।তবে ট্রাফিক বিভাগ আইন প্রয়োগের পাশাপাশি অক্লান্ত পরিশ্রম করে এইসব যানবাহন এক সারিতে রাখার ব্যবস্থা করছে। আশাকরি অদূর ভবিষ্যতে বন্দর কর্তৃপক্ষ কিংবা সিটি কর্পোরেশন যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
শত সমস্যার মাঝে জনকল্যাণে এবং জনদুর্ভোগ লাগবে ট্রাফিক বিভাগ সাধ্যের সবটুকু চেষ্টা অব্যাহত রাখবে।