ভারত নিরাপদ না থাকলে বাংলাদেশও অনিরাপদ

জাতীয়

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ৫০ বছরের সম্পর্কের ভিত্তিতে আগামী দিনগুলোতে কীভাবে আরও সম্পর্কোন্নয়ন করা যায়—তা নিয়ে ঢাকা সফররত ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলার সঙ্গে আলোচনা করেছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। মঙ্গলবার ঢাকায় ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন দুই প্রতিবেশী দেশের পররাষ্ট্র সচিব। কোভিড পরিস্থিতি যৌথভাবে মোকাবিলার ওপর জোর দিয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘বাংলাদেশ কখনোই নিরাপদ থাকবে না, যদি ভারত নিরাপদ না থাকে এবং একই কথা ভারতের জন্যও প্রযোজ্য।’
মাসুদ বিন মোমেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে বহুমাত্রিক ইস্যু রয়েছে এবং পেন্ডিং ইস্যুগুলো কীভাবে দ্রুত সমাধান করা যায় তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সামনের দিনগুলোতে কীভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবো, তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি চলতি বছর মার্চে ঢাকা সফর করেছেন এবং ভারতের রাষ্ট্রপতিও এ মাসেই ঢাকা সফর করবেন। এটি (একই বছরে প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির কোনও দেশে সফর) একটি ‘রেকর্ড’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সোমবার বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী দিবস যৌথভাবে পালন করা হয়েছে। সব মিলিয়ে এখন স্বর্ণযুগ চলছে। সামনের দিনগুলোতে কানেক্টিভিটি, গ্রিন এনার্জি, টেকনোলজিসহ অন্যান্য বিষয় নিয়ে কীভাবে অগ্রসর হতে পারি সেটি নিয়েও আলোচনা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ সীমান্ত কীভাবে করা যায় এবং বাণিজ্য কীভাবে বাড়ানো যায় সেটি নিয়েও আলোচনা হয়েছে।’
এসময় ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষবর্ধন শ্রীংলা বলেন, ‘আমার সঙ্গে পররাষ্ট্র সচিবের কথা হয়েছে এবং আমি বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে দেখা করবো। এছাড়া আগামীকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গেও দেখা করবো।’
শেখ হাসিনার ভারত সফর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মার্চ সফরের সময়ে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। আমরা ডিপ্লোমেটিক চ্যানেলে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছি। বর্তমানে চলাচলে বাধা, কোভিড পরিস্থিতি বা ওমিক্রন (আলোচনায়) রয়েছে, তবে আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সফরের জন্য অপেক্ষা করছি।’
তিনি বলেন, ‘ডিসেম্বর মাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের সৈন্য ও বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধারা একসঙ্গে যুদ্ধ করেছেন। এ ধরনের ঘটনা সারা বিশ্বে বিরল ‘
শ্রিংলা বলেন, ‘আমরা আলোচনা করেছি এবং দেখেছি আমাদের মধ্যে তেমন মতবিরোধ নেই। আমরা যেসব বিষয়ে সহযোগিতা করতে পারি; যেমন গ্রিন এনার্জি, ডিজিটাল সহযোগিতাসহ অন্যান্য বিষয়— যা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কর্মসংস্থানে কাজে আসবে।
কানেক্টিভিটি নিয়ে এরইমধ্যে অনেক ভালো সহযোগিতা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি জানান, ইতোমধ্যে ভারতের সঙ্গে পুরনো ছয়টি রেল কানেক্টিভিটির মধ্যে পাঁচটি পুনঃস্থাপন করা হয়েছে এবং আরেকটি সামনের বছর হবে।


বিজ্ঞাপন