নিজস্ব প্রতিবেদক : মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত নাগরিক রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়া ভাসানচরের উন্নয়নে সৌদি আরব সহযোগিতা দেবে। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ইসসা ইউসেফ ইসসা আল দুহাইলান এ আশ্বাস দেন। পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
নির্যাতনের শিকার হয়ে ১১ লাখের মতো মিয়ানমারের নাগরিক (রোহিঙ্গা) বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছে। নোয়াখালীর ভাসানচরে সরকার এক লাখ রোহিঙ্গার আবাসনের ব্যবস্থা করেছে।
আলোচনার মাধ্যমেই মিয়ানমারের সঙ্গে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান করা হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘যুদ্ধ কোনদিনই শান্তি বয়ে আনে না। দীর্ঘমেয়াদি শান্তির জন্য অবশ্যই আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করতে হবে। এটাই আমাদের অভিমত। এটাই আমরা জানিয়ে দিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘আমি বলেছি, রোহিঙ্গা ইস্যুতে তোমরা যথেষ্ট সহযোগিতা করছ। তারা জানালো, রোহিঙ্গা ইস্যুতে ওআইসি থেকে আরম্ভ করে সবকিছু….ভাসানচরের ব্যাপারেও তারা সব ধরনের সহযোগিতা করছেন। রোহিঙ্গারা যাতে শান্তির সঙ্গে থাকতে পারে, এটাও তারা চান।’
রোহিঙ্গাদের বিষয়ে আরও কী আলোচনা হয়েছে- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘তারা প্রথম দিন থেকেই বলছেন, রোহিঙ্গাদের তাদের জন্মভূমিতে ফিরে যেতে হবে। এজন্য তারা সব কাজ করছেন। ওআইসিতে তাদের স্ট্রং সাপোর্ট সেটাও রাখছেন এবং আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও তারা এজন্য কথা বলছেন।’
রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে সরকার যে সুবিধা দিয়েছে, ‘এজন্য তারা সরকারের প্রশংসা করেছেন। তারা বলেছেন, সেখানেও তারা সহযোগিতা করবেন, ভাসানচরকে আরও ডেভেলপ করার জন্য। তার সঙ্গে আমাদের ভাসানচর যাওয়ার কথা ছিল, সেটাও তিনি মনে করিয়ে দিয়ে গেলেন। একদিন তিনি ভাসানচর দেখতে যাবেন।’
জনশক্তি রপ্তানির বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না- এ বিষয়ে আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘হ্যাঁ, জনশক্তির ব্যাপারে তারা বলেছেন… পুলিশ ক্লিয়ারেন্সটা যাতে ত্বরান্বিত করা হয়। তারা বলেছেন, যথেষ্ট পরিমাণ ভিড় এখন তাদের দূতাবাসের ওখানে দেখা যাচ্ছে। সে বিষয়ে তারা কিছু ব্যবস্থা নিয়েছেন। সেখানে যাতে কোরো ধরনের ভুল বোঝাবোঝি না হয়। আমরা বলেছি, পুলিশ বাহিনী সেখানে সতর্ক থাকবে। যা কিছু প্রয়োজন তারা খেয়াল রাখবেন।’
‘ফোকাল পয়েন্ট তৈরি করার জন্য তারা বলেছেন। আমরা বলেছি প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের যিনি কাজ করছেন, সেখানে একজন এবং আমাদের এখানে অতিরিক্ত সচিব (রাজনৈতিক) ফোকাল পয়েন্ট হিসেবে থাকবেন। তাদের একজনকে তারা ফোকাল পয়েন্ট করার কথা বলেছেন।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘৫০ হাজার বাংলাদেশিকে আমরা এখনো পাসপোর্ট দিতে পারিনি। তারা সেগুলো তাড়াতাড়ি দেওয়ার কথা বলেছেন। তারা বলেছেন, আমরা এদের ফেরত পাঠাবো না, যাতে তারা অবৈধ না হয়, সেজন্য ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলেছেন। আমরা সেগুলোর ব্যবস্থা করছি।’