নিজস্ব প্রতিবেদক : বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারস ইনস্টিটিউটের (আইডিইবি) ৪২তম জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠান হয়। অনুষ্ঠানে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ বলেন, বিএনপি নেতা আলালের বিরুদ্ধে যে মামলা হয়েছে সে মামলা প্রত্যাহার করার দাবি জানানোর মধ্য দিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রমাণ করেছেন তাদের নেতাদের অশালীন ও অশোভন কথা প্রশ্রয় দেয়। এতে আরও প্রমাণ হয় তাদের ইন্দনেই বলছেন এবং তারা প্রশ্রয় দিচ্ছেন। তা না হলে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মামলা প্রত্যাহারের দাবি করতে পারতেন না।
ড. হাসান মাহমুদ সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়া যে নিষ্ঠুরতা দেখিয়েছে তা ইতিহাসের পাতায় কালিমা লেপন করেছে। জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু হত্যার সাথে জড়িত ছিলো। পরর্বতী সময়ে তারা বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের পুর্নাবাসন করেন। খালেদা জিয়াও খুনিদের পুনার্বাসন করেছে। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীকে খালেদা জিয়া বিরোধী দলের নেতা বানিয়েছিলেন। খালেদা জিয়ার স্বামী জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার যাতে না হয় সেজন্য ইমডেমনিটি অধ্যাদেশকে আইনে রূপান্তরিত করেছিলেন। জিয়াউর রহমান যখন ক্ষমতায় ছিলেন হাজার হাজার সেনাবাহিনীর জওয়ান এবং অফিসারকে বিনা বিচারে হত্যা করেছিলেন এবং লাখ-লাখ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীর ওপর নির্যাতন চালিয়ে ছিলেন। এছাড়া হাজারো নেতাকর্মীকে হত্যা করেছিলেন।
খালেদা জিয়াও কম করেননি। খালেদা জিয়ার সময় আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার ছেলের পরিচালনায় ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করা হয়। আমাদের দলের হাজারো নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়। খালেদা জিয়ার নেতৃত্বেই অগ্নি সন্ত্রাস ও অগ্নি বোমার রাজনীতি করেছেন। খালেদা জিয়া যে পরিমাণ নিষ্ঠুরতা দেখিয়েছেন সেটি দেশের ইতিহাসের কালো অধ্যায় হিসেবে লেখা থাকবে। এরকম নিষ্ঠুর আচরণ খালেদা জিয়া করা সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী তার প্রতি যে সহানুভূতি ও মহানুভবতা দেখিয়েছেন এবং দেখিয়ে যাচ্ছেন এটি দেশের ইতিহাসে আগে কখনো ঘটেনি। খালেদা জিয়ার প্রতি প্রধানমন্ত্রী যে সহানুভূতি দেখিয়ে যাচ্ছেন বিএনপির জন্য কৃতজ্ঞ হওয়া উচিত।
আরও এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়া তো আদালত কর্তৃক দ-িত আসামি। তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইলে ক্ষমা প্রসঙ্গ আসবে। তিনি ক্ষমা চাইলে রাষ্ট্রপতি ক্ষমা করতেও পারেন নাও করতে পারেন।