ভারতের রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় সফরে আসায় সু-স্বাগতম

জাতীয়

নিজস্ব প্রতিবেদক : ভারত বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু। ভারতের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মি. নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বন্ধুত্ব আরো উন্নতি পেয়েছে। এই বন্ধুত্বকে সুদৃঢ় করার লক্ষ্যে ভারতের মহামান্য রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দ বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ এর আমন্ত্রণে ১৫ ডিসেম্বর ২০২১ বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় সফরে আসায় সু-স্বাগতম অভিনন্দন জানিয়ে বাংলাদেশ জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগ ১৩ ডিসেম্বর ২০২১ সকাল ১০:৩০ টায় বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদ কনফারেন্স হল দ্বিতীয় তলা, ঢাকায় এক আলোচনা সভার আয়োজন করেছে।


বিজ্ঞাপন

অভিনন্দন সভায় সভাপতিত্ব করেন- বাংলাদেশ জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগের সভাপতি এম এ জলিল।


বিজ্ঞাপন

অভিনন্দন সভায় প্রধান অতিথি সাবেক রাষ্ট্রদুত ও হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ এর সভাপতি অধ্যাপক ড. নিম চন্দ্র ভৌমিক ।

প্রধান আলোচকঃ বঙ্গবন্ধু গবেষনা পরিষদ এর সভাপতি লায়ন গণি মিয়া বাবুল।

বিশেষ অতিথি, ডাকসুর সাবেক এজিএস ও উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুবুল আলম ভূইয়া, কাজী আরেফ ফাউন্ডেশন এর সভাপতি কাজী মাসুদ আহমেদ, ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান এম এ ভাসানী, কে এস পি এর চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম, জাতীয় স্বাধীনতা পার্টির চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজু, বাংলাদেশ আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের সাধারণ সম্পাদক রোকন উদ্দিন পাঠান, বাংলাদেশ জাসদ নেতা হুমায়ুন কবির, বরিশাল বিভাগ সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ স ম মোস্তফা কামাল, বাংলাদেশ জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগের সহ-সভাপতি ফাতেমা খাতুন, সাধারণ সম্পাদক সমির রঞ্জন দাস ও দপ্তর সম্পাদক কামাল হোসেন।

প্রধান অতিথির ভাষনে অধ্যাপক ড. নিম চন্দ্র ভৌমিক বলেন- ভারত বাংলাদেশের পরীক্ষিত অকৃত্রিম বন্ধু। এই বন্ধুত্বকে উন্নতির শিখরে নিয়েছেন ভারতের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই বন্ধুত্বকে অব্যাহত রাখার জন্য বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ এর আমন্ত্রণে ভারতের মহামান্য রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দ বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় সফরে আসছেন। সেই কারণে মহামান্য রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দ কে সু-স্বাগতম অভিনন্দন জানিয়ে নিম চন্দ্র ভৌমিক আরো বলেন মুক্তিযুদ্ধের সময় তৎকালীন ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী মুক্তিযুুদ্ধের পক্ষ অবলম্বন করেন বাংলাদেশের স্বীকৃতি দেন এবং মুক্তিবাহিনীর সাথে ভারতীয় বাহিনী যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন এবং ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের বিজয় অর্জন করে। এই বিজয় অর্জনের মাধ্যমে ভারত বাংলাদেশের বন্ধুত্ব হয়েছে এবং এখন চিরস্থায়ী আছে। আমরা ভারতের কাছে চির ঋণী। নিম চন্দ্র ভৌমিক আরো বলেন আগামীতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী মাননীয় শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী মাননীয় নরেন্দ্র মোদী যৌথ ভাবে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে এই দুই দেশকে সম্প্রীতির দেশ, সন্ত্রাস মুক্ত দেশ গঠন করবে এবং উন্নত পরিবেশের দেশ গড়বেন এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

প্রধান আলোচক হিসেবে গণি মিয়া বাবুল বলেন- ভারত যে বাংলাদেশে অকৃত্রিম বন্ধু তার প্রমাণ বাংলাদেশের সাথে ভারত পানি চুক্তি করেছে সীমান্ত সমস্যা সমাধান করেছে এবং বাংলাদেশের সমুদ্র সীমাকে ছাড় দিয়েছে তাতেই প্রমান হয় বাংলাদেশ ভারতের বন্ধুত্ব চীরস্থায়ী। আমরা ভারত বাংলাদেশের বন্ধুত্বের মাধ্যমে এই দুইটি দেশের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ মুক্ত উন্নত পরিবেশের দুইটি দেশ গড়তে চাই।