সেনাসদস্য সাইফুল ইসলাম হত্যা মামলা
নিজস্ব প্রতিবেদক : তিন বছর আগে ঝিনাইদহে চাঞ্চল্যকর সেনাসদস্য সাইফুল ইসলাম সাইফ হত্যা মামলায় আটজনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে দ-প্রাপ্ত প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা অর্থদ-ও করা হয়। বুধবার দুপুরে খুলনা বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. নজরুল ইসলাম হাওলাদার এই রায় ঘোষণা করেন। দ- পাওয়া আসামিদের মধ্যে রায়ের সময় তিনজন ছিলেন না। তারা পলাতক। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. আহাদুজ্জামান।
মৃত্যুদ-প্রাপ্ত আসামিরা হলেন, হাকীমুল ইসলাম, মিজানুর রহমান, ফারুক হোসেন, মতিয়ার রহমান ওরফে ফইন (পলাতক), কাশেম, আব্বাস, ডালিম (পলাতক) ও মোক্তার (পলাতক)।
এর আগে বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কারাগার থেকে আসামিদের আদালতের হাজত খানায় নেয়া হয়। ১২ নভেম্বর আদালতে যুক্তিতর্ক শেষ হয়।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৮ সালে ১৮ আগস্ট রাতে ঝিনাইদহের বংকিরা পশ্চিমপাড়া এলাকার হাফিজ উদ্দীনের দুই ছেলে সাইফুল ইসলাম সাইফ (সেনাসদস্য) ও মনিরুল ইসলাম (নৌ সদস্য) বড় ভাইয়ের শ্বশুর সামসুল মোল্লাকে আনতে বদরগঞ্জ বাজারে যান। রাত সাড়ে ৯টার দিকে বাড়ি ফেরার সময় বেলতলারদাড়ি নামক স্থানে পৌঁছালে রাস্তার ওপর গাছ ফেলা দেখে বুঝতে পারেন সংঘবদ্ধ ডাকত দল গাছ ফেলেছে।
তারা তিনজন মোটরসাইকেল থেকে নেমে চিৎকার করলে ডাকাত দলের একজন সাইফকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। পরবর্তীতে ছোট ভাই মনির বংকিরা বাজার সংলগ্ন পুলিশ ও স্থানীয় জনতার সহায়তায় তাকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিলে সেখানকার চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনার পরদিন নিহতের বাবা অজ্ঞাতনামা আসামিদের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করেন। মামলাটির তদন্তে নেমে পুলিশ আটজন আসামির সম্পৃক্ততার খবর জানতে পারে। এদের অধিকাংশের বিরুদ্ধে থানায় ডাকাতিসহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে। এ মামলায় মো. আকিমুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হলে জড়িতদের নাম প্রকাশ করে আদালতে জবানবন্দি প্রদান করে।
২০১৯ সালের ৩০ জুন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঝিনাইদাহ থানার পুলিশ পরিদর্শক মো. মহসীন হোসেন ৮ জনের নাম উল্লেখ করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলায় ২০ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।