অভয়নগরে পরাজিত সদস্য প্রার্থীর সমর্থকের দোকান-বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাট থানায় অভিযোগ

অন্যান্য এইমাত্র

অভয়নগর প্রতিনিধি ঃ
যশোরের অভয়নগরে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে জয় পেয়ে পরাজিত সদস্য প্রার্থীর সমর্থকের দোকান ও বাড়িতে হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। চলিশিয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জয়ী প্রার্থী হাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করা হয়েছে।


বিজ্ঞাপন

বিগত রোববার দিবাগত রাত পোনে ৮টার দিকে উপজেলার চলিশিয়া ইউনিয়নের একতারপুর গ্রামের শিকদার পাড়ার মোঃ নজরুল ইসলাম এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগে নজরুল ইসলাম উল্লেখ করেন, ‘নির্বাচনে ফুটবল প্রতিকের ইউপি সদস্য প্রার্থী হাফিজুর রহমান বিজয়ী হন। এরপর রাত পোনে ৮টার দিকে তার প্রায় অর্ধশতাধিক সমর্থক একসঙ্গে এসে আমার দোকান ঘরে ভাঙচুর চালান। এসময় হামলাকারীরা দোকানে বসে থাকা আমার স্ত্রীকে মারধর এবং শ্লীলতাহানীর চেষ্টা করেন। পরে আমার বাড়িতে গিয়ে হামলা চালানো হয়।’

মোঃ নজরুল ইসলাম তার অভিযোগে আরও উল্লেখ করেন যে , তার স্ত্রীকে মারধর করার সময় তাদেরকে ঠেকাতে গেলে আমার দুই ছেলের বউকেও মারধর এবং শ্লীলতাহানীর চেষ্টা করেন। এসময় ছেলের বউয়ের গলায় থাকা স্বর্ণের চেইনও লুট করে নিয়ে যান হাফিজুর রহমানের সমর্থকেরা।

ক্ষতিগ্রস্থ দোকানী নজরুল ইসলাম বলেন, আব্দুর রাজ্জাকের মোরগ মার্কার কর্মী হয়ে ভোট চাওয়ার কারনে হাফিজুর রহমানের সমর্থকেরা আমার বাড়ি-দোকান ভঙচুর করে নিয়ে গেছে। এসময় আমার স্ত্রী এবং ছেলের বউদের শ্লীলতাহানীও ঘটিয়েছে। আমি দিন মজুর মানুষ, এর বিচার চাই।

পরাজিত ই্উপি সদস্য প্রার্থী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, নির্বাচনে আমাকে সমর্থন করার কারনে হাফিজুর রহমানের লোকজন এই হামলা চালিয়েছে। আমি এ ঘটনার তদন্ত পুর্বক সঠিক বিচার চাই।

বিজয়ী ইউপি সদস্য হাফিজুর রহমান বলেন, নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার কারনে আব্দুর রাজ্জাক আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছেন।

অভয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এ কে এম শামীম হাসান এর বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি জানান, বর্তমান সময়ে একটি সমস্যা হলো, মানুষ নিজের পায়ে পাড়া দিয়ে অপরকে দোষারোপ করেন।

নির্বাচন পরবর্তী কিছু সমস্যা হয়েছে। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। দোষীদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।