বৃহস্পতিবার ৩০ ডিসেম্বর, রাজধানীর বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে ডিএনসিসি আয়োজিত মহান স্বাধীনতা ও বিজয়ের সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বাঙালির আজ কোথাও আত্মপরিচয়ের সঙ্কট নেই। আমরা মাথা উঁচু করে বলতে পারি, আমি বাঙালি, বঙ্গবন্ধু আমাদের জাতির পিতা। আমার দেশ বাংলাদেশ।
তিনি আরও বলেন, ‘এক সময় এই দেশে বীর মুক্তিযোদ্ধারা ছিল অবহেলিত। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সেই মর্যাদা ফিরিয়ে দিয়েছেন। রাজাকার, আল-বদরদের বিচার করেছেন।’
মোঃ আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘নতুন প্রজন্মের কাছে আমরা মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানাতে বদ্ধপরিকর। কয়েকদিন আগে মিরপুরে একটি গণপরিসর উদ্বোধন করেছি। গণপরিসরের সামনে রয়েছে জল্লাদখানা বধ্যভূমি। যেখানে পাকিস্তানিরা শতশত নিরীহ মানুষকে মেরে অন্ধকার কুপে ফেলে রেখেছিল। অনেক বছর পর তাঁদের মাথার খুলিসহ অনেক হাড় উদ্ধার করা হয়।’
এসময় তিনি বলেন, এই ইতিহাসগুলো আমরা সবাইকে জানাতে চাই। নতুন প্রজন্মকে মহান মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে হবে।
বক্তৃতার শুরুতেই তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মহান মুক্তিযুদ্ধে জীবনোৎসর্গকারী ৩০ লক্ষ শহীদ ও ২ লক্ষ মা-বোনের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এ সময় তিনি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন জাতীয় চার নেতা ও ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট শাহাদাৎ বরণকারী বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যদের।
উপস্থিত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের একটি করে উত্তরীয়, ক্রেস্ট, সার্টিফিকেট ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী প্রদান করা হয়।
ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ জোবায়দুর রহমানের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
এছাড়াও আরও বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম, সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক ও সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস, বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুব উদ্দিন বীর বিক্রম, সাবেক সেনাপ্রধান হারুন আর রশিদ বীর প্রতীক, ঢাকা মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আমির হোসেন মোল্লা, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সেলিম রেজা প্রমুখ।