চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা (দক্ষিণ) বিভাগের অভিযানে ১৬০০ পিস ইয়াবা সহ ২ জন গ্রেফতার

অন্যান্য এইমাত্র

নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ মহানগর গোয়েন্দা (দক্ষিণ) বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার মোঃ দেলোয়ার হোসেন এর তত্ত্বাবধানে পুলিশ পরিদর্শক (নিঃ)/জনাব রমিজ আহমদ এর নেতৃত্বে ২নং টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল রবিবার ২ জানুয়ারী ৫ টা ১৫ মিনিটে চট্টগ্রামের চান্দগাঁও থানাধীন কাপ্তাই রাস্তার মাথার মোড় সংলগ্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ১৬০০ পিস ইয়াবা সহ মোঃ রাশেদ উদ্দিন (৩৫) ও মোঃ সুজন (২৫)’কে গ্রেফতার করেন। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে চান্দগাঁও থানায় নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে।


বিজ্ঞাপন

প্রসঙ্গত, ইয়াবা একধরনের নেশাজাতীয় ট্যাবলেট। এটি মূলত মেথঅ্যাম্ফিটামিন ও ক্যাফেইন এর মিশ্রণ।

কখনো কখনো এর সাথে হেরোইন মেশানো হয়। যুক্তরাজ্যের ড্রাগ ইনফরমেশন এর ওয়েব সাইট এবং উইকিপিডিয়ার তথ্য অনুযায়ী ইয়াবা ট্যাবলেটটি খেলে সাময়িক ভাবে উদ্দীপনা বেড়ে যায়। কিন্তু এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হেরোইনের চেয়েও ভয়াবহ। নিয়মিত ইয়াবা সেবন করলে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ, নিদ্রাহীনতা, খিঁচুনি, ক্ষুধামন্দা এবং মস্তিষ্ক বিকৃতি দেখা যেতে পারে।

ইয়াবা গ্রহণের ফলে ফুসফুস, বৃক্ক সমস্যা ছাড়াও অনিয়মিত এবং দ্রুতগতির হৃৎস্পন্দনের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। অতিরিক্ত হারে ইয়াবা গ্রহণ হাইপার থাইরয়েডিজম বা উচ্চ শারীরিক তাপমাত্রার কারণ হতে পারে। অভ্যস্ততার পর হঠাৎ ইয়াবার অভাবে সৃষ্টি হয় আত্মহত্যা প্রবণতা এবং হতাশা।

দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবা খেলে স্মরণশক্তি কমে যায়, সিদ্ধান্তহীনতা শুরু হয় এবং কারও কারও ক্ষেত্রে সিজোফ্রেনিয়ার লক্ষণ দেখা দেয়। অনেকে পাগল হয়ে যায়। ডিপ্রেশন বা হতাশাজনিত নানা রকম অপরাধ প্রবণতা বৃদ্ধি পায়, এমনকি অনেকে আত্মহত্যাও করে থাকে।

এছাড়া হার্টের ভেতরে ইনফেকশন হয়ে বা মস্তিষ্কের রক্তনালী ছিঁড়েও অনেকে মারা যান। অনেকে রাস্তায় দুর্ঘটনায় পতিত হন। কেউ কেউ টানা সাত থেকে ১০ দিন জেগে থাকেন।