সংলাপ নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে বিএনপি

জাতীয়

নিজস্ব প্রতিবেদক : স্বচ্ছতার মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে রাষ্ট্রপতি সংলাপের আয়োজন করেছেন। বিএনপির কোনো বক্তব্য থাকলে সেটি রাষ্ট্রপতির কাছে গিয়েই বলতে পারে তারা। বাইরে বলে সংলাপ নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে বিএনপি।
এমন মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। মঙ্গলবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মানুষ আওয়ামী লীগের সঙ্গেই আছেন, সেটি আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিলেই বিএনপি বুঝতে পারবেন।
তিনি আরও বলেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনে তৈমুর আলম খন্দকার নির্বাচনে হেরে যাবেন এবং পরাজয়ের গ্লানি মানতে পারবেন না বলেই তাকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
তথ্যমন্ত্রী জানান, স্বাধীনতা অর্জনসহ দেশ গঠনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে ছাত্রলীগের অবদান রয়েছে। সংগঠনটিতে যেন অনুপ্রবেশকারীরা স্থান না পায়। কোন কারনে যেন ছাত্রলীগের ওপর কালিমা লেপন করা না হয়।
গত বছরের ২০ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে জাতীয় সংসদের প্রধান বিরোধীদল জাতীয় পার্টির সঙ্গে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সংলাপ দিয়ে শুরু হয় এ কর্মসূচি। ওইদিন বিকেলে বঙ্গভবনে এ নিয়ে আলোচনা হয়।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের নেতৃত্বে ৮ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল বিকেল ৪টায় বঙ্গভবনে প্রবেশ করে।
সূচি অনুযায়ী-২২ ডিসেম্বর বিকেল ৪টায় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), ২৬ ডিসেম্বর বিকেল ৪টায় বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি, সন্ধ্যা ৬টায় বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
পরে ২৭ ডিসেম্বর বিকেল ৪টায় বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন, একই দিন সন্ধ্যা ৬টায় খেলাফত মজলিশ, ২৮ ডিসেম্বর বিকেল ৪টায় বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি, ২৯ ডিসেম্বর বিকেল ৪টায় বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ) এবং একই দিন সন্ধ্যা ৬টায় ইসলামী ঐক্যজোট রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেয়।
প্রসঙ্গত, কেএম নুরুল হুদার নেতৃত্বে বর্তমান ইসির মেয়াদ ১৪ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে। সংবিধান অনুযায়ী এ সময়ের মধ্যেই রাষ্ট্রপতি নতুন কমিশন গঠন করবেন। ওই কমিশনের অধীনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।


বিজ্ঞাপন