বয়স্ক ভাতার টাকা লালমনিরহাট সমাজ সেবা অফিসারের পেটে, রেলওয়ে রাজশাহী বিভাগে মালামাল ক্রয়ে অনিয়মের অভিযোগ

অন্যান্য এইমাত্র

!! দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট হতে সোমবার ৯ টি অভিযোগের বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে এবং ২টি অভিযান পরিচালনা করা সহ ৭ টি দপ্তরে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে !!


বিজ্ঞাপন

নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ উপজেলা সমাজসেবা অফিস, আদিতমারী, লালমনিরহাট-এর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মোবাইল নাম্বার জালিয়াতির মাধ্যমে বয়স্ক ভাতা প্রকৃত ব্যক্তিদের প্রদান না করে আত্মসাতের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, রংপুরের সহকারী পরিচালক মোঃ হোসাইন শরীফের নেতৃত্বে সোমবার ১০ জানুয়ারি, একটি অভিযান পরিচালনা করেছে এনফোর্সমেন্ট টিম। দুদক টিম অভিযোগ যাচাই ও সত্য উদঘাটনে জন্য সমাজসেবা কার্যালয় পরিদর্শন করে এবং সুবিধাভোগীদের তালিকা সংগ্রহ করেছে।

অভিযানকালে অভিযোগকারীর সাথে যোগাযোগের করা হয়েছে এবং তার বক্তব্য গ্রহণ করা হয়েছে এবং প্রাথমিক অনুসন্ধানে তার বক্তব্যের সত্যতা পাওয়া গিয়েছে।

সরেজমিন পরিদর্শনকালে উপস্থিত সেবা গ্রহিতাদের বক্তব্য নেয়া হয়। তাদের কেউ কেউ বয়স্কভাতা, প্রতিবন্ধিভাতাসহ অন্যান্য ভাতা পূর্বে পেলেও বর্তমানে পাচ্ছেন না।

এসকল বিষয়ে সেবা গ্রহিতাগণ সমাজসেবা অফিসে আসলে কোন প্রতিকার তাে করা হতােই না উল্টো তাদের সাথে দুর্ব্যবহার করা হয় মর্মে ভূক্তভােগীরা জানান। এ বিষয়ে সমাজসেবা অফিসারকে প্রশ্ন করা হলে তিনি যথাযথ উত্তর দিতে পারেন নি।

তিনি এক্ষেত্রে ইউপি মেম্বার, চেয়ারম্যানসহ অন্যান্য ব্যক্তি নিজে লাভবান হওয়ার জন্য বিকাশ নম্বর ইচ্ছাকৃতভাবে পরিবর্তন করে থাকতে পারেন মর্মে জানান। দুদক টিম এ ব্যাপারে বেশ কয়েকজন জনপ্রতিনিধির সাথে কথা বলে।

তারা টিমকে জানায়, উপকারভোগীরা তাদের আত্মীয় ও পরিচিত। ভাতাগ্রহীতাদের নিজস্ব কোন মোবাইল নাম্বার না থাকার কারণে তাদের নাম্বারগুলো ওখানে দেওয়া হয়েছে।

এ বক্তব্য দুদক টিমের কাছে গ্রহণযোগ্য মনে হয়নি বিধান অভিযানে প্রাপ্ত নথিপত্র যাচাইপূর্বক অভিযোগসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশসহ কমিশন বরাবর বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করবে এনফোর্সমেন্ট টিম।

অপর এক অভিযোগে জানা গেছে, বাংলাদেশ রেলওয়ে (পশ্চিমাঞ্চল), রাজশাহী-এর ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বিভিন্ন মালামাল ক্রয়ে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, রাজশাহীর সহকারী পরিচালক মোঃ আমীর হোসাইনের নেতৃত্বে আজ অপর একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালিত হয়েছে।

টিম সরেজমিনে রেলওয়ে কার্যালয়ে এ অভিযান পরিচালনা করে এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত মহাব্যবস্থাপকসহ অন্যান্য কর্মকর্তার সাথে দেখা করে অভিযোগ সম্পর্কে তাদের বক্তব্য রেকর্ড করে।

তারা দুদক টিম জানায়, অভিযোগের বিষয়ে ইতোমধ্যে মন্ত্রণালয় ও অডিট অফিস কর্তৃক আলাদা দুটি অডিট করা হয়েছে। দুদক টিম সত্য উদঘাটনে জন্য উক্ত অডিট প্রতিবেদন ও টেন্ডারে ডকুমেন্ট দ্রুত সরবরাহের জন্য অনুরোধ জানায়।

টিম কর্তৃক চাহিত তথ্য প্রমাণ বিশ্লেষণপূর্বক সুপারিশসহ বিস্তারিত প্রতিবেদন কমিশন বরাবর দাখিল করবে সংশ্লিষ্ট এনফোর্সমেন্ট টিম।

এছাড়াও দুদক অভিযোগ কেন্দ্রে (হটলাইন-১০৬) আগত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক কমিশনকে অবহিত করার জন্য ০৭টি দপ্তরে দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট হতে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে।