আওয়ামী লীগের মধ্যমণি এবং মন্ত্রী হিসেবে আবির্ভাব

অন্যান্য এইমাত্র

আজকের দেশ ডেস্ক ঃ রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে আন্দোলনের প্রাথমিকপর্বেই, স্বৈরশাসন ও শোষণের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে প্রতিবাদের মূল কণ্ঠস্বরে পরিণত হওয়ায়, শেখ মুজিবের প্রতি ঈর্ষান্বিত হয় পাকিস্তানিরা। ফলে ১৯৫০ সালের ১ জানুয়ারি তাকে আবারো গ্রেফতার করে জান্তারা।


বিজ্ঞাপন

তিনি জেলে থাকা অবস্থাতেই নিয়মিত যোগাযোগ ও নির্দেশনা দিতে থাকেন ছাত্রলীগসহ সমমনা ছাত্রনেতাদের। ফলে তাকে ঢাকা থেকে ফরিদপুর কারাগারে স্থানান্তর করা হয়।

এর আগেই, ছাত্রনেতাদের সঙ্গে পরিকল্পনা করে, ১৯৫২ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে আমরণ অনশনে যাওয়ার ঘোষণা দেন শেখ মুজিবুর রহমান।

একইসঙ্গে বাংলা ভাষায় কথা বলার দাবি প্রতিষ্ঠার জন্য ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে বুকের রক্ত ঢেলে দেয় ছাত্র-জনতা।

অবশেষে জনদাবির মুখে ২৬ ফেব্রুয়ারি শেখ মুজিবকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয় পাকিস্তান সরকার। বাংলাকে অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে মেনে নিতে বাধ্য হয় সরকার।

এরপর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দেশজুড়ে গণমানুষের কাছে ছুটতে থাকেন তিনি।

১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সারাদেশের মানুষের কাছে আওয়ামী লীগের মধ্যমণি হিসেবে গ্রহণযোগ্যতা লাভ করেন শেখ মুজিবুর রহমান।

গোপালগঞ্জের প্রভাবশালী মুসলীম লীগ নেতা ওয়াহিদুজ্জামানকে বিশাল ভোটে হারিয়ে প্রথমবারের মতো জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হন। এরপরেই প্রাদেশিক সরকারের কৃষি, বন ও সমবায় বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান।