চিকিৎসার ভার নেবে ডিএনসিসি

অর্থনীতি এইমাত্র জাতীয় জীবন-যাপন জীবনী ঢাকা রাজধানী রাজনীতি

নিজস্ব প্রতিবেদক : ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে সব হারিয়ে পথে বসেছে হাজার হাজার বস্তিবাসী। রাজধানীর মিরপুর-৭ নম্বর সেকশনের ঝিলপাড় বস্তিতে অগ্নিকান্ডে আহতদের সমস্ত চিকিৎসা ব্যয় বহন করার ঘোষণা দিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, যতদ্রুত সম্ভব তাদের ঘর করে দেবে স্থানীয়রা। এই মুহূর্তে যারা আহত হয়ে হাসপাতালে আছেন বা যারা এখানে আছেন তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। চিকিৎসার যত খরচ সিটি করপোরেশন বহন করবে।
শনিবার বিকেলে মিরপুরের-৭ নম্বর সেকশনের ঝিলপাড় বস্তিতে সরেজমিনে পরিদর্শন শেষে মেয়র একথা বলেন।
মেয়র বলেন, আগুন কীভাবে লাগল তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে। আমার মনে হয় বস্তিতে যারা থাকেন তাদের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটা জায়গা দিয়েছেন বাউনিয়াবাঁধে। ওখানে প্রায় ১০ হাজার পরিবারকে পর্যায়ক্রমে স্থানান্তর করা হবে। এটি একটি ভাল উদ্যোগ।
আতিকুল ইসলাম বলেন, যাদের স্থায়ী নিবাস বস্তিবাসী হিসেবে তারাই সেখানে পর্যায়ক্রমে চলে যেতে পারবেন। প্রধানমন্ত্রীও বস্তিবাসীদের জন্য স্থায়ী বাসস্থান করে দিতে চান। বাউনিয়াবাঁধে কাজ শুরু হয়ে গেছে। ওখানে ১০ হাজার বস্তিবাসীর জায়গা হবে।
মেয়র বলেন, এই মুহূর্তে যাদের খাদ্যের প্রয়োজন আমরা তার ব্যবস্থা করছি। এটা অব্যাহত থাকবে। এই বস্তিতে যারা থাকেন, তারা কিন্তু ভাড়ায় থাকেন। অর্থাৎ যারা স্থানীয় আছেন তারা ঘরবাড়ি উঠিয়ে ভাড়া দেন। আমরা কথা বলেছি শিগগিরি এখানে ঘর নির্মাণ করে দেবেন।
তিনি বলেন, যদি কোনো ধরণের সহযোগিতা প্রয়োজন হয় আমরা অবশ্যই তা দেব। আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিচ্ছি। বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করেছি। আহতদের চিকিৎসার সব খরচ সিটি করপোরেশন বহন করবে। এই মুহূর্তে কাজ হলো প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া।
মেয়র আরও বলেন, বস্তিতে যাদের ঘর পুড়েছে তারা যেন থাকতে পারে সেজন্য ৫-৬টি স্কুলে তাদের রাখার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। যতক্ষণ পর্যন্ত তারা বাসাবাড়িতে না যেতে পারেন ততক্ষণ স্কুলেই থাকবেন। অবশ্য স্কুল খোলার আগেই তাদের থাকার ব্যবস্থা করবে। এখানে যদি আর্থিক সহযোগিতা প্রয়োজন হয় আমরা অবশ্যই করব।
বস্তিবাসীদের ৮ মাসের আল্টিমেটামে ওই এলাকা থেকে সরে যাবার কথা হয়েছিল এমন প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। এমন কোনো তথ্যও আমার কাছে নেই।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *