ক্রমেই স্পষ্ট হচ্ছে জাপার বিভক্তিরেখা

এইমাত্র জাতীয় ঢাকা রাজধানী রাজনীতি

নিজস্ব প্রতিবেদক : হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মৃত্যুর পর জাতীয় পার্টির বিভক্তি আরো স্পষ্ট হয়ে উঠছে। শনিবার জাতীয় পার্টির যৌথ সভায় উপস্থিত ছিলেন না রওশনপন্থী নেতারা। ৫২ প্রেসিডিয়াম সদস্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ৩১ জন। এর আগে পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে জিএম কাদেরের বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে রওশন এরশাদ চিঠি দিয়েছিলেন।
জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মৃত্যুর পর দলের বনানী অফিসে প্রথম যৌথ সভা ডাকেন দলের বর্তমান চেয়ারম্যান জিএম কাদের। এই সভায় দলের প্রেসিডিয়াম ও সংসদ সদস্যসহ শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। কিন্তু জি এম কাদেরের নেতৃত্বে সকাল এগারোটায় শুরু হওয়া এই যৌথসভায় যোগ দেননি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের স্ত্রী এবং দলের সিনিয়র কো চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ। অসুস্থতার কারণে তিনি সভায় উপস্থিত হননি বলে দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
এছাড়া, দেখা যায়নি দলের রওশনপন্থী নেতা হিসেবে পরিচিত আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, জিয়াউদ্দীন আহমেদ বাবলু, মুজিবুল হক চুনুসহ প্রেসিডিয়াম অনেক প্রভাবশালী নেতাকেও।
প্রায় সাড়ে চার ঘন্টা ব্যাপী অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে ২৩ আগস্ট জন্মাষ্টমী বিষয়টি বিবেচনায় রেখে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের কুলখানি ৩১ আগস্ট করার সিদ্ধান্ত নেয় পার্টির নীতিনির্ধারনী ফোরাম। এছাড়া, সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা কে হবেন সে বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হয়। এছাড়া, আলোচনা হয় সমসাময়িক বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে।
পরে, যৌথসভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন দলের মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা। তিনি জানান, সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা কে হবেন তা দলের সংবিধান অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
এছাড়া, তিনি কথা বলেন চামড়ার দাম নিয়েও। তিনি বলেন, যেভাবে চামড়ার দাম কমানো হয়েছে তা দূরভিসন্ধিমূলক।
তিনি বলেন, দলের সংবিধানে যেভাবে আছে সেভাবেই নেতা নির্বাচন করে সংসদে তিনিই আমাদের বিরোধীদলীয় নেতা হবেন।
গত ১৪ জুলাই জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ মারা যান। এরপর থেকেই গুঞ্জন উঠে দলের বর্তমান চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের নেতৃত্ব নিয়ে অসন্তোষ রয়েছে দলের রওশনপন্থীদের মাঝে।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *