” ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কর্তৃক একসাথে দুর্নীতি’র বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা গ্রহণ করার প্রতিশ্রুতি ”
!! দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট হতে গতকাল বুধবার ৮ টি অভিযোগের বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে এবং ৩ টি অভিযান পরিচালনা করা সহ ৫ টি দপ্তরে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে !!
নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর, মহাখালীতে লাইসেন্স নবায়ন, নতুন প্রতিষ্ঠানে ছাড়পত্র প্রদান, রেসিপি অনুমােদন, ঔষধ নিবন্ধন, ঔষধ রপ্তানি নিবন্ধন, নমুনা পরীক্ষা ও মান নিয়ন্ত্রণসহ অন্যান্য বিষয়ে সরকার নির্ধারিত ফি’র অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের
অভিযোগে দুদক, প্রধান কাযালয়ের সহকারী পরিচালক আফরোজা হক খানের নের্তৃত্বে একটি টিম গতকাল বুধবার ২ মার্চ একটি অভিযান পরিচালনা করেন।
উক্ত অভিযোগের বিষয়ে অভিযানকালে দেখা যায়, ইতােপূর্বে এনফোর্সমেন্ট অভিযান ও সুপারিশেরপরিপ্রেক্ষিতে নতুন লাইসেন্স সরবরাহ ও নবায়নের ক্ষেত্রে “ওয়ান স্টপ সার্ভিস” ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে।
এতে করে উক্ত বিষয়ে দুর্নীতি অনেকটা কমে এসেছে। এছাড়া নতুন লাইসেন্স সরবরাহ ও নবায়নের ক্ষেত্রে অধিদপ্তর অনলাইন সিস্টেমের ব্যবস্থা করেছে।
অনলাইন সার্ভিসের পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে ঢাকার দুটি স্থানে কাজ চলমান রয়েছে এবং ১/২ মাসের মধ্যে সারা দেশব্যাপী তা চালু হবে মর্মে মােস্তাফিজুর রহমান পরিচালক (প্রশাসন) জানান। এনফোর্সমেন্ট টিম সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবিলম্বে সিটিজেন চার্টার টানানাের সুপারিশ প্রদান করেন।
এছাড়া টিমের সুপারিশে লাইসেন্স নবায়নের সাথে দাখিলকৃত কাগজপত্র সেবাগ্রহীতার উপস্থিতিতে যাচাই করে তাকে লাইসেন্স সরবরাহের তারিখ বলে দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
উপরন্তু সদ্য নিয়ােগপ্রাপ্ত ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মােহাম্মদ ইউসুফ দুদক এনফোর্সমেন্ট টিমকে তাদের বিরুদ্ধে দাবিকৃত অভিযােগ নিরসনে একযােগে কাজ করার অভিমত ব্যক্ত করেন।অভিযান প্রসঙ্গে কমিশন বরাবর প্রতিবেদন দাখিল করবে এনফোর্সমেন্ট টিম।
উচাখিলা ইউনিয়ন ভূমি অফিস, ঈশ্বরগঞ্জ, ময়মনসিংহ-এর তহশিলদারের বিরুদ্ধে ঘুষ না দেওয়ায় গ্রাহকের জমির নামজারি আবেদন বাতিলের অভিযােগে দুদক, সজেকা, ময়মনসিংহের সহকারী পরিচালক বুলু মিয়ার নেতৃত্ব একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনার করা হয়েছে। টিম সরেজমিনে উক্ত দপ্তরে পরিদর্শন করে এবং অভিযোগ সংশ্লিষ্ট নথিপত্র যাচাই-বাছাই করে।
অভিযুক্ত কর্তৃক নামজারির বিষয়ে ঘুষ দাবী পূর্বক হয়রানি করে এবং ঘুষ না পেয়ে নেগেটিভ প্রতিবেদন প্রদানের অভিযোগ প্রাথমিকভাবে সত্যতা পাওয়া যায়।
উক্ত জমির সর্বশেষ দলিল, বায়া দলিল ও বি আর এস খতিয়ান পর্যালোচনায় দেখা যায় জমির পরিমান ঠিক থাকা পরও ঘুষ না পেয়ে খারিজ কেস সম্পাদনের ক্ষেত্র নেগেটিভ রিপোর্ট প্রদান করেন নায়েব মোঃ মিজানুর রহমান।
এ বিষয়ে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশসহ কমিশন বরাবর প্রতিবেদন দাখিল করবে এনফোর্সমেন্ট টিম।
হাজীগঞ্জ খাদ্য গুদাম, হাজীগঞ্জ, চাঁদপুর-এর নিরাপত্তারক্ষীর বিরুদ্ধে গুদামে মজুদকৃত চালের বস্তা হতে চাল চুরি করে খােলা বাজারে বিক্রয়ের অভিযােগে দুদক, সজেকা, কুমিল্লার সহকারী পরিচালক রাফী মোঃ নাজমুস্ সা’দাৎ-এর নেতৃত্বে একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানকালে ৫টি গুদামে রক্ষিত চাল ও গমের পরিমাণ সংক্রান্ত তথ্যাদি সংগ্রহ করা হয়।
এর পাশাপাশি দৈবচয়নের ভিত্তিতে বিভিন্ন খামাল থেকে কয়েকটি বস্তার চাল ও গমের পরিমাণ ওজন করা হয়। এসময় কয়েকটি খামালে যথাযথভাবে বস্তা সংরক্ষণ না করায় ও খামাল কার্ড যথাস্থানে না রাখায় গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে সতর্ক করা হয়।
এছাড়া ১ নং গুদামে পড়ে থাকা কয়েকটি ছিন্ন বস্তা ও চাল যথাযথভাবে রিপ্যাকেটিং করে রাখার জন্য ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেয়া হয়। এনফোর্সমেন্ট টিম এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কমিশন বরাবরে শীঘ্রই প্রতিবেদন দাখিল করবে।
এছাড়াও দুদক অভিযোগ কেন্দ্রে (হটলাইন-১০৬) আগত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক কমিশনকে অবহিত করার জন্য ০৫টি দপ্তরে দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট হতে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে।