জাফলংয়ে অবৈধ পাথর উত্তোলনকারী সিন্ডিকেটের খুঁটির জোর কোথায়?

অন্যান্য এইমাত্র

অপরাধ প্রতিবেদক ঃ
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার পূর্ব জাফলং ইউনিয়নের জিরো পয়েন্ট পর্যটক কেন্দ্র ইসিএ ঘোষণা করায়। এলাকার ‌সকল পাথর কোয়ারি বন্ধে ঘোষণা হয় ।


বিজ্ঞাপন

প্রশাসনের নাকের ডগায় বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে কিছু দিন পূর্ব থেকে অবৈধ ভাবে পাথর উত্তোলন শুরু করে একটি চক্র‌। এই চক্রটি বিভিন্ন মহল কে
ম্যানেজ করে চালিয়ে যাচ্ছে তাদের কর্মকাণ্ড।

খবর পেয়ে অনুসন্ধান টিম নামে অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে থলের বিড়াল শান্তিনগর গ্ৰামের‌ ছাওার মিয়া,ও হেনরি লামিন‌ ও বকুল, নবম খণ্ড গ্রামের রফিক, এদের পাথর উত্তোলন মহোৎসব চলছে ইসিএ জনু এলাকার মধ্যে এলাকায় মাঝেমধ্যে প্রশাসনের ঘোরাফেরা দেখা গেলেও পাথর উত্তোলন কোনভাবেই বন্ধ হচ্ছে না ।

অথচ ইসিএ এলাকার বাহিরে কিছু এলাকায় দু একটি গর্ত করে পাথর উত্তোলন করলে ও সমস্ত এলাকায় স্থানীয় প্রশাসনের ঘোরাফেরা নজরে পড়ার মতো।

সাহস থাকলে ও কেউ বলতে পারছে না আমরাতো ইসিএ এলাকা থেকে ৩শ থেকে ৫০০,গজ বাহিরে আছি এমনকি ইসিএ কথাটির মূল সারাংশ টা কি এটাও আমরা অনেকেই জানিনা।

যার অর্থ খুজলে পাওয়া যায় ইসিএ বলতে ইকোলজিক্যালি ক্রিটিক্যাল এরিয়া কে বুঝায়, যার পরিশুদ্ধ বাংলা অর্থ আমরা খুঁজে পাই পরিবেশ সংকটাপন্ন এলাকা, স্থানীয় পূর্ব জাফলং এলাকায় ইসিএ জনু লাল নীল এবং সবুজ রঙে বেষ্টিত খুঁটি দ্বারা আবর্তিত। এসব চিহ্নিত করে এলাকায়, কিন্তু এর বাইরে।

যেসব এলাকায় এগুলো আইনের চোখে ইসিএ এলাকার বাহিরে পড়ে, প্রশাসন যে এলাকায় ঘোরাফেরা করবার কথা, প্রশাসন তা না করে ইসি এ জুন এলাকার বাহিরের স্থানে গিয়ে ঘোরাফেরা করে।

এবং মামলা-মোকদ্দমায় জড়িয়ে দেন স্থানীয় এলাকার লোকজনদের, এ বিষয়টি আইনের পরিপন্থী নয় কি? সচেতন মহল এ বিষয়টি নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে রয়েছেন।

সরকার যেখানে জাফলং এলাকাকে পর্যটন ঘোষণা করে পর্যটকদের অবিচল ঘোরাফেরার স্বার্থে জাফলং এলাকায় নদী পথে ১৫,৯৩ বর্গকিলোমিটার জায়গাকে ইসিএ বলে ঘোষণা করেছেন এবং লাল নীল এবং সবুজ রঙের পিলার দিয়ে ইসিএ এলাকা কে নির্দিষ্ট করে রেখেছেন ।‌

উচ্চ আদালতের নির্দেশ মত পর্যটকদের অবাধ বিচরণে এলাকাকে পর্যটক মুখী করবার কথা।

সে জায়গায় প্রশাসন কর্তৃক ঘুরাফিরা অব্যাহত রয়েছে কিন্তু ইসিএ এলাকার বাহিরেও প্রশাসন নজরদারি করায় শ্রমজীবী মানুষের রুটি রুজির পথ বন্ধ করার শামিল হয়ে পড়েছে।

এ বিষয়ে গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার ‌তাহমিলুর রহমানের সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি জানান আমরা ইকোলজিক্যালি ক্রিতিক্যাল এরিয়াকে সমুন্নত রাখতে বিভিন্ন সময় অভিযানে যাই। এলাকায় অবৈধ পাথর উত্তোলন হলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

গোয়ানঘাট থানার‌ অফিসার ইনচার্জ ‌পরিমল চন্দ্র দেব‌ জানান পুলিশ প্রশাসন সর্বদাই ইসিএ এলাকা কে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।

ইসিএ এলাকায় অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনের সংবাদ পেলে সাথে সাথে আমরা তা বন্ধ করে দেই কিছুদিন বন্ধ রাখলেও পরবর্তীতে ফের পাথর উত্তোলন শুরু করে বিষয়টি যেহেতু জেনেছি আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করব।