৯ টি অভিযোগের মধ্যে ৩ টি অভিযান পরিচালনা সহ ৬ টি দপ্তরে পত্র প্রেরণ করেছে দুদক

Uncategorized অপরাধ

বিশেষ প্রতিবেদক ঃ মেঘনা পেট্রোলিয়াম কর্তৃক আহ্বানকৃত দরপত্রের বিপিসি কর্তৃক নির্দেশিত উচ্চমানের মিটার ক্রয়ের নামে অতি নিম্নমানের ব্র্যান্ডকে অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে দরপত্র আহবান করে সরকারি অর্থ লোপাট সংক্রান্ত অভিযোগে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন, ঢাকা’র লিয়াজোঁ অফিসে অভিযান পরিচালনা করেছে দুদক। দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোঃ সাইদুজ্জামান, উপসহকারী পরিচালক মোঃ আলিয়াজ হোসেন ও উপ-সহকারী পরিচালক মোঃ কামিয়াব আফতাহি-উন-নবী-এর সমন্বয়ে গঠিত এনফোর্সমেন্ট টিম বুধবার ২৭ এপ্রিল, এই অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানকালে অভিযোগের ব্যাপারে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন, ঢাকা’র লিয়াজোঁ অফিসের কর্মকর্তাদের সাথে টিম কথা বলে এবং সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র সংগ্রহপূর্বক পর্যালোচনা করে। রেকর্ডপত্র পর্যালোচনাপূর্বক কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করে কমিশনে প্রতিবেদন দাখিল করবে এনফোর্সমেন্ট টিম।

জন্মনিবন্ধন সনদ প্রদান/সংশোধনে সরকার নির্ধারিত ফি’র অতিরিক্ত অর্থ দাবি সংক্রান্তে কুমিল্লা জেলার তিতাস উপজেলাধীন ৭ নং নারান্দিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আরিফুজ্জামান খোকা, ইউপি সচিব মেহেদী হাসান ও ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা জনাব তোফাজ্জল হোসেন খোকা’র বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ যাচাইয়ের নিমিত্ত বুধবার ২৭ এপ্রিল দুদক, সজেকা, কুমিল্লা’র সহকারী পরিচালক রাফী মোঃ নাজমুস্ সা’দাৎ-এর নেতৃত্বে একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানকালে দুদকের টিম কর্তৃক উক্ত ইউনিয়ন পরিষদ সরেজমিন পরিদর্শন করে। এসময় কিছু ভুক্তভোগীর নিকট থেকে জন্মনিবন্ধন সনদ প্রদান/সংশোধনে সরকার নির্ধারিত ফি’র অতিরিক্ত ৩০০-১,০০০ টাকা অর্থ আদায়ের অভিযোগ সঠিক মর্মে স্থানীয়ভাবে জানা যায় যদিও তৎক্ষণাৎ দালিলিকভাবে প্রমাণের সুযোগ নেই। টিম এ বিষয়ে জড়িত ব্যক্তিবর্গের বিরুদ্ধে শীঘ্রই কমিশনের নিকট বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করবে। এছাড়া বিষয়টি উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক নিয়মিত জোরালো মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সুপারিশ করেছে দুদক টিম।

সাতক্ষীরা পৌরসভার কতিপয় কর্মকর্তা-কমচারী, কাউন্সিলর ও মেয়র পরস্পরের যোগসাজশে বিভিন্ন রাস্তা সংস্কারের নামে ভূয়া বিল ভাউচার তৈরী করে প্রায় ৩ কোটি টাকা, বিভিন্ন অনুদানের টাকা এবং ট্রেড লাইসেন্স/পানির বিল/হোল্ডিং কর ছাড় দেওয়া অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুদক, সজেকা, খুলনার সহকারী পরিচালক বিজন কুমার রায় ও মোঃ আল-আমীন এর সমন্বয়ে গঠিত একটি টিম সাতক্ষীরা পৌরসভায় বুধবার বেলা সাড়ে ১১ টায় অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানকালে মেয়র মোঃ তাজকিন আহমেদ অভিযোগের সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিল ভাউচার, রেজিস্ট্রার দেখান। এনফোর্সমেন্ট টিম অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য সরেজমিনে কয়েকটি প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করে। রাস্তা সংস্কারের নামে উত্তোলিত বিলের ভাউচার যাচাইকালে বেশকিছু অসঙ্গতি রয়েছে বলে দুদক টিমের কাছে প্রতীয়মাণ হয়েছে। প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রাপ্ত নথিপত্র যাচাই-বাছাই করে কমিশন বরাবর প্রতিবেদন দাখিল করবে এনফোর্সমেন্ট টিম।
এছাড়াও দুদক অভিযোগ কেন্দ্রে (হটলাইন-১০৬) আগত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক কমিশনকে অবহিত করার জন্য ০৬টি দপ্তরে দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট হতে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে।