এনামুল হক আরমানের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুদক

Uncategorized আইন ও আদালত

!! তদন্ত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ক্যাসিনো সংক্রান্ত মামলায় অভিযুক্ত আসামি মো. এনামুল হক (আরমান) কর্তৃক বিভিন্ন অবৈধ পন্থায় জ্ঞাত আয়ের সহিত অসঙ্গতিপূর্ণ ১২ কোটি ৪২ লাখ ৫৪ হাজার ৪২৮ টাকার অস্থাবর সম্পদ অর্জন করেছেন। অর্জিত অর্থের মধ্যে ১০ লাখ ৬৯ হাজার ৫১৪ সিঙ্গাপুর ডলার বা ৬ কোটি ৫৬ লাখ ২৫ হাজার ৩৭৯ টাকা সিঙ্গাপুরে পাচার করেছেন। অবৈধ উপায়ে সিঙ্গাপুরে নিয়ে ওই অর্থ ব্যয় করে মানিলন্ডারিং করার অপরাধ দুদকের প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে!!
 


বিজ্ঞাপন

নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ সাড়ে ১২ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সম্রাটের ক্যাশিয়ার হিসেবে পরিচিত ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সহ-সভাপতি এনামুল হক আরমানের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সোমবার (৯ মে) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চার্জশিট অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তা ও দুদকের উপপরিচালক মো. সালাহউদ্দিন শিগগিরই আদালতে চার্জশিট দাখিল করবেন বলে জানা গেছে। দুদকের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মদ আরিফ সাদেক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর আরমানের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। ওই মামলায় তার বিরুদ্ধে ২ কোটি ৫ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়। যদিও চার্জশিটে অবৈধ সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে ৬ গুণেরও বেশি।

তদন্ত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ক্যাসিনো সংক্রান্ত মামলায় অভিযুক্ত আসামি মো. এনামুল হক (আরমান) কর্তৃক বিভিন্ন অবৈধ পন্থায় জ্ঞাত আয়ের সহিত অসঙ্গতিপূর্ণ ১২ কোটি ৪২ লাখ ৫৪ হাজার ৪২৮ টাকার অস্থাবর সম্পদ অর্জন করেছেন। অর্জিত অর্থের মধ্যে ১০ লাখ ৬৯ হাজার ৫১৪ সিঙ্গাপুর ডলার বা ৬ কোটি ৫৬ লাখ ২৫ হাজার ৩৭৯ টাকা সিঙ্গাপুরে পাচার করেছেন। অবৈধ উপায়ে সিঙ্গাপুরে নিয়ে ওই অর্থ ব্যয় করে মানিলন্ডারিং করার অপরাধ দুদকের প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে।
তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪ (২), ৪(৩) ধারায় অভিযোগপত্র (চার্জশীট) দাখিলের সুপারিশ করে তদন্তকারী কর্মকর্তা৷ যার পরিপ্রেক্ষিতে কমিশন আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিলের অনুমোদন দেয়।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণে যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের সহযোগী আরমান। ক্যাসিনো, চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজির টাকার বড় অংশ আরমানের কাছে রাখতেন সম্রাট। ‘লাগেজ পার্টি’ থেকে যুবলীগ, ক্যাসিনো ও সিনেমা প্রযোজক হয়ে আরমান দাপিয়ে বেড়িয়েছেন সবখানে।

নব্বইয়ের দশকে বিদেশ থেকে ‘লাগেজ পার্টির’ আনা ইলেকট্রনিক পণ্য বায়তুল মোকাররম এলাকার দোকানে দোকানে বিক্রি করতেন। পরে নিজেই লাগেজ পার্টির কারবারে যুক্ত হন। ২০১৩ সালে যুবলীগের পদ পেয়ে অল্প সময়ে গড়ে তোলেন বিত্ত-বৈভব। জুয়া-ক্যাসিনোর টাকায় নামেন সিনেমা প্রযোজনায়।

সম্রাটের সঙ্গে ব্যক্তিগত যোগাযোগের সুবাদে ২০১৩ সালে যুবলীগের মহানগর দক্ষিণের সহ-সভাপতির পদ পান আরমান। সম্রাটের ছত্রছায়ায় ক্লাবপাড়ার ক্যাসিনো ও জুয়া-বাণিজ্যের অন্যতম নিয়ন্ত্রকে পরিণত হন আরমান। তিনিই সম্রাটকে ক্যাসিনো ব্যবসায় আগ্রহী করেন বলে প্রচার রয়েছে। সম্রাটের হয়ে পুরো ক্যাসিনো ব্যবসা দেখভালের দায়িত্ব পালন করতেন আরমান। ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর কুমিল্লা থেকে সম্রাটের সঙ্গে গ্রেপ্তার হন তিনি।