দেশের উন্নয়নে এক বছরে ৮ ট্রিলিয়ন রাজস্ব আদায় চায় আই এম এফ

Uncategorized জাতীয়

কুটনৈতিক বিশ্লেষক ঃ নিত্যপন্যের দাম বৃদ্ধি,ডলারের বিপরীতে মুল্য পতন,জিডিপির প্রবৃদ্ধির ঋনাত্নক হওয়া,,এ কথাগুলো যেকোন দেশের জন্যই ভয়াবহ। শ্রীলংকা, নেপালের পর স্মরণকালের ভয়াবহতম অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক দৈন্যদশা পার করছে পাকিস্তান।

এরই মধ্যে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে পাকিস্তানের ন্যাশন্যাল বোর্ড অব রেভিনিউ কে ৮ ট্রিলিয়ন রুপি রাজস্ব আদায়ের জন্য বলছে আই এম এফ।অন্যদিকে অর্থনীতি বাচাতে ১২ বিলিয়ন ডলার তাৎক্ষনিক সাহায্য চাইছে পাকিস্তান। ডলারের বিরুদ্ধে ক্রমাগত ছন্দপতনের ফলে রুপির মান আরো কমেছে।সয়াবিন তেলের দাম ছাড়িয়েছে ৪০০ রুপি।বর্তমানে যা ৪৩০-৪৬০ রুপি প্রতি লিটার।

এরই মধ্যে পাকিস্তানের ইতিহাসে সবচাইতে বড় লোডশেডিং এর সময় পার করছে পাকিস্তান। আরব দেশ থেকে ফান্ডিং সত্বেও চীন এবং আরব দেশগুলোর কাছে আরো অর্থ চাইছে পাকিস্তান।

এরই মধ্যে পাকিস্তানের কিছু গুরুত্বপূর্ণ সড়ক,সেতুর টোল আদায় এবং মালিকানা আরব দেশ এবং তাদের প্রতিষ্ঠানের কাছে প্রদান করেছে পাকিস্তান।
অর্থনীতির স্বার্থে বার এবং ক্যাসিনো চালুর ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত সত্বেও পাকিস্তানের অর্থনীতির অবস্থা ভাল নয়।
এত কিছু সত্বেও চীনা নাগরিকদের উপর হামলা,বেলুচ স্বাধীনতাকামীদের আক্রমণে নাস্তানাবুদ পাকিস্তান আর্মি আরো সমরাস্ত্রের বাজেট চেয়েছে।

ইমরান খান সরকার পতনের উপর পাকিস্তানের রাজনীতিতে সামরিক ছায়া আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। পাকিস্তানের জনগনের এখন একটাই প্রশ্ন,”তবে কি পাকিস্তান শ্রীলংকা হয়ে যাচ্ছে” ?

অবশ্য পাকিস্তানী অর্থনীতিবিদরা তা মানতে নারাজ। তাদের ভাষায়, শ্রীলংকার পরিস্থিতি আর পাকিস্তানের পরিস্থিতি যথেষ্ট আলাদা,এবং পাকিস্তানের ইকোনমি নানাভাবে পাশ্ববর্তী দেশ ভারত কিংবা বাংলাদেশ থেকে পিছিয়ে থাকলেও এতে শ্রীলংকার মত আচড় পড়বার কোন সম্ভাবনাই নেই।

পাকিস্তান এখনো স্বল্প সুদে কিংবা সুদ ছাড়াই আরব দেশ থেকে ”অনুদান” সোজা ভাষায় ”ভি-ক্ষা” হিসেবে পায়,এছাড়া রেমিটেন্স,ক্ষুদ্র শিল্প,জাহাজ ভাংগা শিল্প এসব পাকিস্তানের জন্য আরেকটি প্লাস পয়েন্ট।তাই ৮ ট্রিলিয়ন রুপি রাজস্ব কিংবা ১২-১৩ বিলিয়ন ডলার এমন কোন ব্যপার নয় পাকিস্তানের জন্য। তবে,পাকিস্তানের অর্থনীতি ভারতের মত না হলেও বাংলাদেশের মত হওয়া উচিত ছিল বলে মতামত পাকিস্তানী অর্থনীতিবিদদের।তাদের ভাষায়,২ টাকার বাংলাদেশ এগিয়ে কেন গেল তা নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে,কিন্তু তারা এখনো জানেনা বাংলাদেশ শ্রীলংকা হয়ে গিয়েছে!!জানলে তাদের মতামত হয়ত অন্য রকম হতো। উল্লেখ্য,এত অভাব সত্বেও ইসলামাবাদের ৪ কিমি রাস্তাকে আলোকিত করার জন্য ২৪ মিলিয়ন রুপির সোডিয়াম বাতি কিনতে যাচ্ছে ইসলামাবাদ সিডিএ।যা নিয়ে সমালোচনা হলেও ইসলামাবাদ সি ডি এ বলছে,উন্নয়নের জন্য ব্যয় করতে হবে আর তার জন্য কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ করে অভিজ্ঞতা নেয়া এবং অর্থ ব্যয়ের কোন বিকল্প নেই।


বিজ্ঞাপন