বিশেষ প্রতিবেদক : জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট এখন শুধু কাগজ-কলমেই। এ নিষ্ক্রিয়তার জন্য জোট নেতারা দুষছেন বিএনপিকে। তাদের অভিযোগ, ভোটে অনিয়ম ছাড়াও বেশকিছু বড় ইস্যুতেও আন্দোলনের উদ্যোগ নেয়নি বড় শরিক দলটি। দায় স্বীকার করে বিএনপি নেতারা বলছেন, ভবিষ্যতে প্রয়োজন হলে আবার সক্রিয় হবে ঐক্যফ্রন্ট। একাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ২০১৮ সালের ১৩ অক্টোবর আত্মপ্রকাশ করে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে বিএনপি ছাড়াও এতে যোগ দেয় ৭টি দল। তবে, এত বড় জোট গড়েও পূরণে আসে ব্যর্থতা।
ভোটের পর অনিয়মের অভিযোগ তুললেও প্রতিবাদে ছিলো না জোরালো আন্দোলন। অবৈধ দাবি করেও সংসদে গেছেন ঐক্যফ্রন্টের জয়ীরা। এতেই দেখা দেয় মতবিরোধ, এরই মধ্যে জোট থেকে বেরিয়ে গেছেন বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী।
আর এ বিষয়ে বিএনপিকেই দুষছেন জোট নেতারা। তারা বলছেন, নির্বাচনের পর আন্দোলন বা ঐক্যফ্রন্ট সক্রিয়ের কোনো উদ্যোগই নেয়নি দলটি। ঘরোয়া বৈঠকে দাবি আদায় সম্ভব নয় বলেও মত তাদের।
নির্বাচন পরবর্তী কর্মসূচি না থাকায় নিজেদের সমালোচনাও করছেন বিএনপির অনেক নেতা। দাবি আদায়ের কর্মসূচি দিলেই জোট সক্রিয় হবে বলেও মনে করেন অনেকে।
আগামীতে ঐক্যফ্রন্ট সক্রিয়ের পাশাপাশি জোটের পরিধি বাড়ানোর কথাও জানাচ্ছেন নেতারা।