রুশ-ইউক্রেন সাইবার ওয়্যারফেয়ারে বাংলাদেশ

Uncategorized আন্তর্জাতিক

কুটনৈতিক বিশ্লেষক ঃ রাশিয়া এবং ইউক্রেনের যুদ্ধের ডামাডোলে রাশিয়ান এবং ইউক্রেনীয় উভয় দেশের হ্যাকাররাই সাইবার ওয়ারফেয়ারে জড়িয়ে পড়েছে।এরই মধ্যে বিভিন্ন দেশের রাশিয়ান এম্বাসী, রাশিয়ান জাতীয় টেলিভিশন সম্প্রচার সংস্থা,ইন্টালিজেন্স এজেন্সী এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উপর হামলা করেছে ইউক্রেনীয় এবং তাদের সমর্থক পশ্চিমা হ্যাকাররা।

তবে এসব হামলায় ব্যবহার করা হয়েছে বাংলাদেশের আইপি এড্রেস।পালটা হামলা হিসেবে ইউক্রেনীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং পশ্চিমা কয়েকটি প্রিন্ট মিডিয়া হ্যাক করার কথা ঘোষণা করেছে রাশিয়ান হ্যাকাররা।

রুশ সাইবার সিকিউরিটি এজেন্সী এ ব্যপারে বাংলাদেশের সহায়তা চাইলে অনুসন্ধান শুরু করে বাংলাদেশ সাইবার রিসার্চ টিম।অনুসন্ধান শেষে পাওয়া তথ্যমতে,বাংলাদেশের আইপি এড্রেস ব্যবহার করে প্রায় ৯০০ বার রাশিয়ান সাইবার স্পেসে আক্রমণ করা হয়েছে।যার তালিকা রাশিয়াকে দেয়া হয়েছে।

অন্যদিকে,রাশিয়ান হ্যাকাররা বাংলাদেশী এড্রেস ব্যবহার করে প্রায় ৫০০ বার ইউক্রেনে হামলা করেছে,নিজেদের সাইবার স্পেসকে সুরক্ষিত করতে আরো শক্তিশালী ফায়ারওয়াল ব্যবহার এবং গোয়েন্দা বাহিনীকে আরো তৎপর হতে বলেছেন প্রেসিডেন্ট পুতিন।

বাংলাদেশী আইপি এড্রেস ব্যবহৃত হওয়ায় বাংলাদেশের টেলি রেগুলেটরি কমিশন বিটিআরসি ও এ ব্যপারে সতর্ক রয়েছে।মুলত মিসইনফরমেশন,প্রো-পা-গা-ন্ডা,,ব্যালেন্স চুরি,ভিডিও শেয়ারের জন্য এসব আইপি এড্রেস ব্যবহার করা হয়েছে এবং ইউক্রেন-রাশিয়া উভয় দেশের হ্যাকাররাই এই আইপি এড্রেসগুলো ব্যবহার করেছে।

মুলত DDoS এর ভুল ব্যবহার করেই সব সাইটে এক্সেস নিয়েছিল হ্যাকাররা।DDoS সেবার মাধ্যমে ইন্টারনেটে কি তথ্য যাবে কিংবা যাবেনা তা নিয়ন্ত্রণ করা হয়..তবে এক্ষেত্রে হ্যাকাররা Bangabandhu Satelite -1 কিংবা বাংলাদেশের ডাটা সেন্টারে কোন ইনফিলট্রেশন না করলেও বাংলাদেশের সাইবার সিকিউরিটিকে আরো শক্তিশালী করবার বিকল্প নেই।দেশব্যাপী ক্রিটিক্যাল স্থাপনাগুলোর সাইবার সিকিউরিটি আরো শক্তিশালী করা উচিত।

সাইবার সিকিউরিটি একটি চলমান প্রক্রিয়া হওয়ার প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে চলা এবং এ খাতে বিনিয়োগের বিকল্প নেই।বাংলাদেশের সরকারী সাইটগুলোর সিকিউরিটি সিস্টেম প্রশ্নবিদ্ধ হলেও,মুল প্রতিষ্ঠানগুলোর সিকিউরিটি মনিটরিং এর শক্ত হওয়া প্রয়োজন।উল্লেখ্য,এর আগে উত্তর কোরিয়ান হ্যাকাররা ম্যালওয়্যার ব্যবহারের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সুইফট সিস্টেম ব্যবহার করে টাকা হাতিয়ে নিয়েছিল।ইউরোপ এবং আমেরিকার মত দেশেও কয়েকদিন আগে সাইবার হামলা হয়েছে।এর আগে রাশিয়ান হ্যাকাররা জার্মানীর গ্যাস লাইনের উপরেও নিয়ন্ত্রণ নেয়ার চেষ্টা করেছিল।

বাংলাদেশের আইপি এড্রেস ইউক্রেনীয় এবং রাশিয়ান গভমেন্ট এজেন্সী নাকি হ্যাকাররাই ব্যবহার করেছে তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।


বিজ্ঞাপন