নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ হোমিওপ্যাথি, ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। দেশে চলমান চিকিৎসা ব্যবস্থার পাশাপাশি বিকল্প চিকিৎসাসেবার মাধ্যমেই সহজে আরোগ্য লাভ করা যায়।কিন্তু এ তথ্য অনেকেরই অজানা। সরকার এ তিন ধরনের চিকিৎসাসেবার মানোন্নয়নে অনেক কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। চিকিৎসকরাও রোগীদের সাধ্যমতো সেবাদানের চেষ্টা করছেন।
গত বুধবার বেলা ১১টায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পুরাতন ভবনের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক কর্মশালায় এসব কথা বলেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা। দেশে এলোপ্যাথি ভিত্তিক যে চিকিৎসা ব্যবস্থা চালু রয়েছে তার পাশাপাশি ইউনানী, হোমিওপ্যাথি ও আয়ুর্বেদিক চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর মুন্সীগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরের স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের নিয়ে এ কর্মশালার আয়োজন করে।
কর্মশালায় স্লাইড প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে বাংলাদেশের হোমিওপ্যাথি, ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা ব্যবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়।
কর্মশালায় বলা হয়, দেশে ইউনানী, আয়ুর্বেদিক ও হোমিওপ্যাথি চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে অনেক ভেষজ বাগান গড়ে তোলা হয়েছে। যার প্রেক্ষিতে একজন রোগী চিকিৎসকের কাছে গেলে সঠিক চিকিৎসাটা পাবেন।
এই তিন ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতির অনেক সুফল রয়েছে উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, অনেক সময় দেখা যায়, এলোপ্যাথি ওষুধ সেবনে রোগ না সারলে অনেকে হোমিওপ্যাথি দ্বারস্থ হন এবং সুফলও বয়ে আনে এ চিকিৎসা ব্যবস্থায়।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া হোমিও ও দেশজ চিকিৎসা পরিচালক ডা. মো. হাবিবুর রহমান, অল্টারনেটিভ মেডিকেল কেয়ারের লাইন ডিরেক্টর ডা. মো. আবু জাহের, উপ-পরিচালক ডা. মো. নাদিরুল আজিজি ও নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা সাবরিনা সুলতানাসহ স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ডা. আবু বকর সিদ্দিকের সঞ্চালনায় কর্মশালায় ডা. মঈন উদ্দিন, ডা. আহমেদ মামুন, সহকারী পরিচালক ডা. ফারহানা, মুন্সীগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরের বিভিন্ন উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তরা উপস্থিত ছিলেন।