!! দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট হতে গতকাল সোমবার ৬ টি অভিযোগের বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে এবং ৩ টি অভিযান পরিচালনা করা সহ ৬ টি দপ্তরে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে!!
বিশেষ প্রতিবেদক ঃ জেলা কারাগার, কক্সবাজার-এর জেল সুপারের বিরুদ্ধে জেলা কারা হাসপাতালে অর্থের বিনিময়ে সুস্থ ব্যক্তিদের বসবাসের সুযোগ প্রদান, দৈনিক ৮০ হাজার টাকার বিনিময়ে সরকারি মোবাইল ফোন ভাড়া দেওয়া এবং ক্যান্টিনের জন্য মাসে ২৫ লাখ টাকা ভাড়া ও অধিক মূল্যে পণ্য বিক্রির অভিযোগ যাচাইয়ের নিমিত্ত অত্র কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন এর নেতৃত্বে গঠিত একটি টিম গতকাল সোমবার ১৩ জুন এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করেছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অত্র কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক তাপছির বিল্লাহ, পার্থ চন্দ্র পাল এবং জনাব মোঃ রয়েল হোসেন। অভিযান পরিচালনা কালে কারা হাসপাতাল, কারাগারের ক্যান্টিন সরেজমিনে পরিদর্শন করা হয়। এছাড়া কারা হাসপাতালের রেজিস্ট্রার, ক্যান্টিনের আয়-ব্যয় এর রেজিস্ট্রার, মোবাইল ব্যবহারের রেজিস্ট্রারসহ বিভিন্ন রেকর্ড পত্র পর্যালোচনা পূর্বক বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়েছে। অভিযোগ সংশ্লিষ্ট জেল সুপার মোঃ নেছার আলম কে জিজ্ঞাসাবাদপূর্বক তার বক্তব্য রেকর্ড করা হয়েছে। অভিযোগের বিষয়ে বন্দিদের নিকট হতে কিছু তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়েছে। অভিযানের বিষয়ে শীঘ্রই এনফোর্সমেন্ট প্রতিবেদন কমিশনে দাখিল করবে দুদক টিম।
লালমনিরহাটের পাটগ্রামে বুড়িমারী শুল্ক স্টেশনে ঘুষ না দিলে কাজ না হওয়া এবং পণ্যবাহী আমদানি রপ্তানি ট্রাকের অতিরিক্ত ওজন টেম্পারিং করে বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক টাকার বিনিময়ে পারাপারসহ অন্যান্য অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট কর্তৃক প্রাপ্ত অভিযোগের ভিত্তিতে দুদক, সজেকা, রংপুরের উপ-পরিচালক আবু হেনা আশিকুর রহমান এর নেতৃত্বে এবং উপ-সহকারী পরিচালক মমিন উদ্দিন ও মোঃ রুবেল হোসেনের সমন্বয়ে একটি টিম গতকাল অপর একটি এনফোর্সমেন্ট পরিচালনা করা হয়েছে। অভিযান পরিচালনা কালে সি এন্ড এফ প্রতিনিধি, কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট, স্থল শুল্ক স্টেশন, বুড়িমারীর সহকারী কমিশনার জে এম আলী আহসান এবং বাংলাদেশ স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষের সহকারী পরিচালক (ট্রাফিক) মোহাম্মদ রুহুল আমিন এর উপস্থিতিতে ওয়েট মেশিন পরীক্ষা করা হয়। এসময় সি এন্ড এফ প্রতিনিধিকে রেকর্ডপত্র সরবরাহের জন্য নির্দেশনা প্রদান করেছে টিম। পরবর্তীতে সংগৃহীত নমুনা ও রেকর্ডপত্রের আলোকে কমিশন বরাবর বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রেরণ করবে এনফোর্সমেন্ট টিম।
মাদারীপুর জেলার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস কার্যালয়ে নতুন পাসপোর্ট প্রদান, পাসপোর্ট নবায়ন সেবা প্রদানে দালালদের মাধ্যমে ঘুষ লেনদেনের অভিযোগের ভিত্তিতে দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয় মাদারীপুরের উপ-পরিচালক জনাব মোঃ আতিকুর রমানের নেতৃত্বে এবং জেলা প্রশাসক কার্যালয় মাদারীপুরের নির্বাহী মেজিস্ট্রেট মোঃ এ বি এম সারোয়ার রাব্বী এর উপস্থিতিতে একটি অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান পরিচালনাকালে নতুন পাসপোর্ট প্রদান এবং পাসপোর্ট নবায়নে সরকার নির্ধারিত ফি এর অতিরিক্ত ফি গ্রহণে সরাসরি দালালদের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায় এবং ঘটনাস্থল থেকে পারভেজ মোল্লা, আব্দুর রব ব্যাপারী, নন্দ সরকার ও রাজু খান নামে ৪ (চার) জন দালালকে হাতে নাতে গ্রেফতার করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদলতের মাধ্যমে গ্রেফতারকৃত ৪ (চার) জনকে ১ (এক) মাসের জেল ও ৫০০ (পাচ শত) টাকা করে জরিমানা করা হয়। দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয় মাদারীপুর এর উপ-পরিচালক মোঃ আতিকুর রহমান, আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক সুমনা শারমিন শাওন কে দালালদের তালিকা তৈরি পূর্বক প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য যাবতীয় নির্দেশ প্রদান করেন। একই সাথে পাসপোর্ট অফিসের দায়িত্বরত আনসার সদস্য শাহজাহান-কে প্রত্যাহারের জন্য নির্দেশ প্রদান করে।এছাড়া এনফোর্সমেন্ট টিম উপস্থিত বেশ কয়েকজন সেবা গ্রহীতার পাসপোর্ট সেবা নিশ্চিত করে। অভিযান প্রসঙ্গে বিস্তারিত প্রতিবেদন কমিশনে উপস্থাপন করবে এনফোর্সমেন্ট টিম।
এছাড়াও দুদক অভিযোগ কেন্দ্রে (হটলাইন-১০৬) আগত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক কমিশনকে অবহিত করার জন্য ০৩টি দপ্তরে দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট হতে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে।