বয়স্ক ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা ও এতিমের টাকায় সহকারী সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. বাবুল আক্তার ডাবলু নীজের সেবা নিশ্চিত করেছেন

Uncategorized জাতীয়


!! বয়স্ক ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা ও মাদরাসার এতিমদের জন্য বরাদ্দ করা সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ফরিদপুরে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তাদেরই একজন সহকারী সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. বাবুল আক্তার (ডাবলু)। দুদকের সরেজমিন অভিযানে গ্রামের ভেতর ১৫ শতক জমির ওপর তার প্রায় ২ হাজার বর্গফুটের ডুপ্লেক্স বাড়ির সন্ধান পাওয়া গেছে !!


 নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ বয়স্ক ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা ও মাদরাসার এতিমদের জন্য বরাদ্দ করা সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ফরিদপুরে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তাদেরই একজন সহকারী সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. বাবুল আক্তার (ডাবলু)। দুদকের সরেজমিন অভিযানে গ্রামের ভেতর ১৫ শতক জমির ওপর তার প্রায় ২ হাজার বর্গফুটের ডুপ্লেক্স বাড়ির সন্ধান পাওয়া গেছে। গতকাল মঙ্গলবার (১৪ জুন) দুদকের ফরিদপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. বজলুর রহমানের নেতৃত্বে অভিযানে এমন ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়। দুদকের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মোহাম্মদ শফিউল্লাহ অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। দুদক জানায়, ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলা সমাজসেবা অফিসের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বয়স্ক ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা ও মাদরাসার এতিমদের জন্য বরাদ্দ করা সরকারি অর্থ উত্তোলনপূর্বক আত্মসাতের অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করে এনফোর্সমেন্ট টিম। দুদক টিম ফরিদপুর জেলার মধুখালী উপজেলায় সমাজসেবা কার্যালয়ে সরেজমিনে পরিদর্শন করে। পরিদর্শন কালে মো. আইয়ুব আলী, ফুলজান বেগম, আহম্মদ আলীসহ কয়েকজনের বিষয়ে তথ্য চাওয়া হয়। কিন্তু অফিস প্রধান উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা কল্লোল সাহা জেলা সমাজসেবা অফিসে মিটিংয়ে ব্যস্ত থাকায় তথ্য ও কাগজপত্র তাৎক্ষণিক পাওয়া যায়নি। এছাড়া অভিযানে সহকারী সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. বাবুল আক্তারের (ডাবলু) বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায়, তিনি ও তার স্ত্রী মোসা. আকলিমা খাতুন (ইউনিয়ন সমাজকর্মী) বহুদিন ধরে একই কার্যালয়ে কর্মরত আছেন। তাদের সম্পদের বিষয়ে সরেজমিনে খোঁজখবর নিয়ে জানা যায়, মধুখালী উপজেলার শ্রীপুর গ্রামে প্রায় ২০০০ বর্গফুটের একটি ডুপ্লেক্স বাড়ি নির্মাণ করেছেন। বাড়ি নির্মাণ কাজ শেষ পর্যায়ে, বর্তমানে ফিনিশিংয়ের কাজ চলছে।বাড়ির চারদিকে আরসি পিলার ও ভিম দিয়ে বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ করা হয়েছে। বাড়িটি ১৪/১৫ শতক জমির ওপর অবস্থিত এবং নির্মাণ ব্যয় আনুমানিক ৫০ থেকে ৬০ লাখ টাকা। এছাড়া তার স্ত্রী আকলিমা খাতুনের নামে ৬ শতাংশ ও তার নামে ৩৫ শতাংশ জমি এবং তার ও তার ওপর নির্ভরশীল অন্যদের নামে আরও সহায় সম্পদ আছে বলে জানতে পেরেছে দুদক টিম। তাছাড়া প্রাথমিকভাবে সরেজমিন পরিদর্শনে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। অভিযানের প্রেক্ষিতে এনফোর্সমেন্ট টিম কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের সুনির্দিষ্ট সুপারিশসহ কমিশন বরাবর অনুসন্ধান প্রতিবেদন উপস্থাপন করবে বলে জানা গেছে।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *