পুলিশ স্পেশাল ট্রেনিং স্কুলে টিআরসি ১৩তম ব্যাচের সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত

Uncategorized অন্যান্য


নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ অ্যাডিশনাল আইজি, এটিইউ মোঃ কামরুল আহসান বিপিএম (বার) গতকাল বৃহস্পতিবার ৩০ জুন রাঙ্গামাটি জেলার বেতবুনিয়ায় অবস্থিত পুলিশ স্পেশাল ট্রেনিং স্কুলে টিআরসি ১৩তম ব্যাচের সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অভিবাদন গ্রহণ করেন।

পিএসটিএস, বেতবুনিয়া, রাঙ্গামাটিতে ১৩তম ব্যাচের ২৫৯ জন টিআরসি ৬ মাস মেয়াদী মৌলিক প্রশিক্ষণ সমাপনান্তে বাংলাদেশ পুলিশের নিয়মিত সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হতে যাওয়ায় তিনি কমান্ড্যান্ট ও পিএসটিএস, বেতবুনিয়া, রাঙ্গামাটির প্রশিক্ষক ও প্রশিক্ষণার্থীসহ সকলকে অভিনন্দন জানান।

তিনি তাঁর বক্তব্যে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি, স্বাধীনতার স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।

তিনি ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শাহাদাত বরণকারী বঙ্গমাতা সহ বঙ্গবন্ধুর পরিবারের অন্যান্য সদস্য,শাহাদাত বরণকারী জাতীয় চার নেতা, ত্রিশ লক্ষ শহীদ, সম্ভ্রম হারানো দুই লক্ষ মা বোনের স্মৃতি গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করেন।

২০২০ সালে করোনা অতিমারিতে দেশ ও জনগণের সেবায় যে ১০৬ জন পুলিশ সদস্য তাদের জীবন উৎসর্গ করেছেন তিনি তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
তিনি দৃষ্টিনন্দন ও মনোমুগ্ধকর প্যারেডের প্রশংসা করেন।

প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন চাকরি নয়, সেবা – এই শ্লোগানকে বুকে ধারণ করে জীবন বাজি রেখে দেশ সেবার প্রত্যয় নিয়ে বাংলাদেশ পুলিশে আপনারা যোগদান করেছেন। দেশ মাতৃকার শান্তি প্রতিষ্ঠায় আপনারা অবদান রাখবেন বলে আমার বিশ্বাস। আপনারা মেধাবী, আপনারা যোগ্য, আপনারা বাছাইকৃত, আপনারা নিজেদের যোগ্যতায় পুলিশে এসেছেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশ এবং ভিশন-২০৪১ বাস্তবায়নে সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে আমৃত কাজ করে যাবেন।

তিনি আরো বলেন, কোন একটি দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখা, আইনের শাসন ও মানবধিকার প্রতিষ্ঠায় পুলিশ অগ্রণী ভূমিকা পালন করে।

আজ থেকেই আপনাদের উপর অর্পিত হতে যাচ্ছে দেশের আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখার মতো মহান ও গুরু দায়িত্ব। দেশের প্রধান আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একজন গর্বিত সদস্য হিসেবে আপনাদের সর্বদা পেশাগত দক্ষতা, নিরপেক্ষতা, স্বচ্ছতা, মানবিকতা ও জবাবদিহিতার সাথে দায়িত্ব পালন করতে হবে।

২০৪১ সালের উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে আধুনিক ও দক্ষ পুলিশ বাহিনী গড়ে তুলতে নিয়োগ পদ্ধতিতে ব্যাপক পরিবর্তন আনা হয়েছে।

পরিবর্তিত নতুন নিয়োগ পদ্ধতিতে কনস্টেবল নিয়োগে শিক্ষাগত যোগ্যতার পাশাপাশি শারীরিক ও মানসিক যোগ্যতার প্রতিও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে- স্বচ্ছতা, মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে জব মার্কেট থেকে ’বেস্ট অব দি বেস্ট’ প্রার্থী নিয়োগ দেয়া হয়েছে, প্রশিক্ষণের জন্য সিলেবাসকে করা হয়েছে প্রায়োগিক। লক্ষ্য একটাই- সততা, যোগ্যতা ও মেধাকে ব্যবহার করে জনগণকে বৈষম্যহীন সেবা প্রদান করতে হবে। সমাজ ও রাষ্ট্র পরিবর্তনের সাথে সাথে উন্নত বিশ্বের আধুনিক পুলিশিং ব্যবস্থার সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশ পুলিশে যোগ্য, মেধাবী, প্রযুক্তিজ্ঞান সম্পন্ন, শারীরিকভাবে সক্ষম প্রার্থীদেরকে কনস্টেবল হিসেবে নিবার্চন করা হয়েছে।

উল্লেখ্য ২০২১ সালে কনস্টেবল পদে মোট আবেদন করেছিল ৩,৩৮,৫৩৪ জন। এর মধ্যে সাতটি পর্যায় সফলভাবে অতিক্রম করে মোট ৩,০০০ জনকে প্রশিক্ষণের জন্য নির্বাচিত করা হয়।

তিনি অভ্যাগত সুধী মণ্ডলীকে প্রশিক্ষণার্থীদের সমাপনী কুচকাওয়াজে উপস্থিত হয়ে নবীন পুলিশ সদস্যদের উৎসাহ ও প্রেরণা যোগানোর জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
তিনি সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী সকল সদস্যদের জীবনের সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *