চিতলমারী প্রতিনিধি ঃ
বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি দেবাশীষ বিশ্বাসের উপর হামলার ঘটনার ৫ দিনেও মামলা হয়নি। আতঙ্কে রয়েছেন স্থানীয় সংবাদকর্মী ও দেবাশীষ বিশ্বাসের পরিবার।
এই অবস্থায় অতিদ্রুত সময়ে হামলাকারীদের গ্রেফতারপূর্বক আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় সংবাদকর্মীরা।
অন্যদিকে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক সোসাইটি বিএমএসএস এর পক্ষ থেকে উক্ত হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে হামলাকারীদের বিচার দাবি করেছেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান খন্দকার আছিফুর রহমান, মহাসচিব মো: সুমন সরদার সহ সকল কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
চিতলমারী প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি সেলিম সুলতান সাগর বলেন, একটি সংবাদ প্রকাশকে নিয়ে উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি দেবাশীষ বিশ্বাসের উপর হামলার করেছে একটি প্রভাবশালী মহল। হামলার তিন দিনেও পুলিশ হামলাকারীদের আটক করতে পারেনি। উপরন্তু হামলাকারীরা আমাকেসহ চিতলমারীর আরও কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মীকে মারধরের হুমকি দিচ্ছে। আমরা খুবই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সাংবাদিক দেবাশীষ বিশ্বাস বলেন, বাজার থেকে এক লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা নিয়ে ব্যাংকে জমা দেওয়ার জন্য যাচ্ছিলাম।
পথিমধ্যে থানার সামনের সড়কে পৌঁছালে চিতলমারী উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক নজরুল ইসলামের ভাতিজা ফেরদাউসের নেতৃত্বে ৭-৮জন লোক আমার উপর অতর্কিত হামলা করে।
আমার কাছে থাকা টাকা ছিনিয়ে নেয়। আমার শরীরের অবস্থা অনেক নাজুক। এখন তারা আমার পরিবার ও অন্য সহকর্মীদেরও মারধরের হুমকী দিচ্ছে। আমি হামলাকারীদের বিচার চাই।
দেবাশীষ আরও বলেন, সম্প্রতি চিতলমারী উপজেলা যুবলীগের আহবায়কের মদ্যপান সংক্রান্ত একটি ছবি ভাইরাল হয়।
এই বিষয়টি নিয়ে তিনি সহ বাগেরহাট ও চিতলমারীর বেশকিছু গণমাধ্যমকর্মী সংবাদ পরিবেশন করেছিলেন ।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক নজরুল ইসলাম তাঁর ভাতিজাকে দিয়ে আমার উপর হামলা করিয়েছেন। দেবাশীষের স্ত্রী সুজাতা বাওয়ালী বলেন, আমার স্বামীর উপর এত বড় হামলা করল।
আমার স্বামীর অবস্থা খুবই খারাপ, হাসপাতালে ভর্তি। এখন আবার আমাদেরকে হুমকী দিচ্ছে। আমরা কি বিচার পাব না এই বলে কান্নায় ভেঙে পড়েন সুজাতা।