আজকের দেশ ডেস্ক ঃ প্রথমে করোনাভাইরাসের আক্রমণ। তারপর ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন। এই দুইয়ের ফলে বিশ্ব এখন হাঁসফাঁস করছে। দেশে দেশে দেখা দিয়েছে মুদ্রাস্ফীতি। বৈদেশিক রিজার্ভে হাত পড়েছে। জনগণের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। জীবনের পরোয়া করছেন না তারা। এ পরিস্থিতির প্রমাণ হয়ে গেছে পাশের দেশ শ্রীলঙ্কায়।
সেখানে মানুষ বন্দুকের ভয় করছে না। গুলির ভয় করছে না। বিক্ষোভ হয়েছে আরও অনেক দেশে। মুদ্রাস্ফীতির ফলে তারা অসহায়। বাড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসগুলোর দাম।
কিন্তু বাড়ছে না আয়। এমনকি সারাবিশ্বেকরোনা মহামারির সময় থেকেই বিপুল পরিমাণ মানুষ কর্মহীন। সারাজীবন তারা যা জমিয়েছিলেন ভবিষ্যতের জন্য, তা ভেঙে খেয়েছেন অথবা তা শেষ হয়ে গেছে, বা শেষ হওয়ার পথে। তাদের হাতে আর কোনো বিকল্প নেই।
এমন অবস্থা ঠাহর করতে পেরে দু’দিন আগেই সুদের হার বাড়িয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া ও নিউজিল্যান্ড। এখন নতুন করে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে মুদ্রাস্ফীতির আশঙ্কা জোরালো হয়েছে।
এরই প্রেক্ষিতে মনিটারি পলিসি বা অর্থ সংক্রান্ত নীতি কঠোর করেছে সিঙ্গাপুর ও ফিলিপাইন। তাদের এমন উদ্যোগ বিস্ময়কর। ফিলিপাইনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ব্যাংকো সেন্টাল এনজি ফিলিপাইন (বিএসপি) গতকাল থেকে সুদের হার শতকরা ০.৭৫ ভাগ বৃদ্ধি করেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক আরও বলেছে, তারা মুদ্রাস্ফীতি মোকাবিলার জন্য আরও পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত। সুদের হারের এই বৃদ্ধিতে রাতারাতি ঋণের হার শতকরা ৩.২৫ ভাগে নিয়ে যায়।