!! দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট হতে গতকাল ৫টি অভিযোগের বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে এবং ২ টি দপ্তরে অভিযান পরিচালনা করা সহ ৩ টি দপ্তরে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে !!
নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ ঢাকা ওয়াসা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে নিয়োগ প্রদানে অনিয়ম বিষয়ক অভিযোগ সংক্রান্তে গতকাল রবিবার ১৭ জুলাই দুদক প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রনজিৎ কুমার কর্মকারের নেতৃত্বে ও মোঃ জাফর সাদেক শিবলীর সমন্বয়ে গঠিত একটি এনফোর্সমেনন্ট টিম অভিযান পরিচালনা করে। অভিযোগের বিষয়ে ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী তাকসিম এ খান এর বক্তব্য গ্রহণ করা হয়। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন যে, পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষ আইন, ১৯৯৬ এর ২৯ ধারা অনুযায়ী বোর্ড, সরকারের অনুমোদনক্রমে, এক বা একাধিক উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগ করতে পারে এবং তাহাদের পারিশ্রমিক, সুযোগ-সুবিধা ও চাকরীর অন্যান্য শর্তাবলী নির্ধারণ করতে পারেন। উক্ত আইন মেনেই নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে। এক্ষেত্রে আইনের কোন ব্যত্যয় হয়নি। ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পূর্বনির্ধারিত জরুরী মিটিং থাকায় অদ্য অভিযোগ সংশ্লিষ্ট কোন রেকর্ডপত্র সরবরাহ করা হয়নি। তবে এ সপ্তাহের মধ্যে নিয়োগ সংশ্লিষ্ট সকল রেকর্ডপত্র সরবরাহ করা হবে মর্মে এনফোর্সমেন্ট টিমকে তিনি জানিয়েছেন। রেকর্ডপত্র প্রাপ্তি সাপেক্ষে অভিযান বিষয়ে টিম শীঘ্রই কমিশন বরাবর বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করবে।
যশোর জেলার মনিরামপুর উপজেলা সমবায় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গরু পালন কর্মসূচির বরাদ্দকৃত টাকা দেয়ার ক্ষেত্রে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে দুদক, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, যশোর-এর সহকারী পরিচালক মোহাঃ মোশাররফ হোসেন-এর নেতৃত্বে এবং সহকারী পরিচালক মাহমুদুল হাসান শুভ্র, উপ-সহকারী পরিচালক জালাল উদ্দিন এবং সাদিয়া সুলতানা’র সমন্বয়ে গঠিত চার সদস্যের টিম আজ অপর একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করেছে। অভিযান পরিচালনাকালে, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট রের্কডপত্র পর্যালোচনা করা হয়। ২০২১-২২ অর্থ বছরে যশোর জেলার মনিরামপুর উপজেলার হরিহরনগর ইউনিয়নের ১০০ জন প্রান্তিক কৃষককে মাথাপিছু ১,০৫,০০০ (গরু ক্রয়ের জন্য ৮০,০০০ টাকা এবং গরুর খাবার খরচ বাবদ ২৫,০০০ টাকা) টাকা করে ”দুগ্ধ ও মাংস উৎপাদনের মাধ্যমে গ্রামীণ কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে যশোর ও মেহেরপুর জেলায় সমবায় কার্যক্রম বিস্তৃতকরণ” শীর্ষক প্রকল্পে আওতায় সমবায় অফিসের মাধ্যমে বিতরণের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়। সরেজমিনে গিয়ে সুবিধাভোগীদের সাথে কথা বলে জানা যায় যে, প্রকল্পের টাকা বিতরণের সময় সঞ্চয় বাবদ ৫০০ টাকা বাদে অন্য কোন রকম টাকা দাবী করা হয়নি যা সুবিধাভোগীদের সঞ্চয় বহিতে লিপিবদ্ধ রয়েছে। অভিযানে প্রাপ্ত রেকর্ডপত্রসমূহ অধিকতর পর্যালোচনাপূর্বক এনফোর্সমেন্ট টিম এ বিষয়ে শীঘ্রই কমিশন বরাবর প্রতিবেদন দাখিল করবে।
এছাড়াও দুদক অভিযোগ কেন্দ্রে (হটলাইন-১০৬) আগত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক কমিশনকে অবহিত করার জন্য ৩টি দপ্তরে দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট হতে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে।