জাকির হোসেন রনি ঃ ফিজিশিয়ান স্যাম্পল বর্তমানে বিক্রয় নিষিদ্ধ ঔষধ, কিন্তু এর চাহিদা এতো কেন? আর কেনইবা দোকানদাররা বিক্রয় করে থাকেন।
এই ঔষধ কিন্তু নকল না আবার এর মোড়কে যে নকল হচ্ছেনা তাও না। কিন্তু যে নকল করবে সে স্যাম্পল না করে কমার্শিয়াল ঔষধ নকল করলে তার লাভ বেশি। এবার আসি স্যাম্পল এর বাজারে। আমরা প্রায়ই শুনি ডাক্তার সাহেবরা স্যাম্পল বাইরে বিক্রি করে দেন।
রহস্য হলো, ঔষধ কোম্পানি ঔষধ বাজারজাত করতে বিভিন্ন ধরণের কৌশল অবলম্বন করে থাকে তার অন্যতম হলো স্যাম্পল দিয়ে সুবিধা দেয়া। ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির মার্কেটিং রিপ্রেজ্ন্টেটিভরা ঔষধ বিক্রয় করতে টার্গেট পেয়ে থাকে যা পূরণ করতে হয়।
প্রতি মাসে কমার্শিয়াল ঔষধের সাথে তাদের প্রচুর পরিমানে স্যাম্পল ঔষধ দেয়া হয় যা আসলে দরিদ্র রোগীদের জন্য ডাক্তার সাহেবরা পাওয়ার কথা। কিন্তু কোম্পানির মার্কেটিং রেপ্রেজেন্টেটিভরা তা ঔষধের দোকানদারদের দিয়ে দেয় যা থেকে দুপক্ষই সুবিধা নেয়।
এখন প্রশ্ন হলো যদি কোম্পানি স্যাম্পল উৎপাদন করে আর কমার্শিয়াল ঔষধ বাজারজাত করতে তা কাজে লাগে তবে স্যাম্পল তো বাজারে আসবেই এবং কম দামের কারণে তা বিক্রিও হচ্ছে। আর এতো স্যাম্পল উৎপাদন হলে বিক্রয় কোনো দিন বন্ধ হবেনা ফল স্বরূপ একটি মার্কেটে অভিযান ও ৭০ লক্ষ টাকা জরিমানা, কারণ ড্রাগ লাইসেন্সে স্যাম্পল বিক্রয় নিষেধ।
এখন কথা হচ্ছে সব কোম্পানি স্যাম্পল উৎপাদন করে কী না? উত্তর হচ্ছে না। সব কোম্পানি স্যাম্পল উৎপাদন করে না। তাহলে যারা করেনা তাদের ঔষধ কী চলেনা ?
উত্তর হচ্ছে চলে, খুব ভালো চলে। তাহলে যারা উৎপাদন করে তারা স্যাম্পল উৎপাদন না করলে হবেনা?
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর স্যাম্পল বিক্রয় করতে নিষেধ করেছে, কিন্তু কোম্পানির বিপুল পরিমান স্যাম্পল এর লোভ সামলাতে না পেরে জরিমানা গুনে চোখের সামনে পথে বসে গেলো বেশ কিছু ঔষধের দোকানদার। আমরা নকল-ভেজাল ঔষধ মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে কাজ করে যাচ্ছি।
পাশাপাশি ঔষধের ৩৫% বাজার স্যাম্পল ঔষধের হাত থেকে বাঁচাতে স্যাম্পল ঔষধ উৎপাদন বন্ধ করার দাবি জানাচ্ছি। নিশ্চই আমরা নকল-ভেজাল সহ সকল নিষিদ্ধ ঔষধের বিপক্ষে।