আতঙ্ক সব জায়গায় ফাঁসছে অনেকে

অপরাধ আইন ও আদালত এইমাত্র

মাইরের আগেই সব বলে দিল খালেদ


বিজ্ঞাপন

*ক্ষমতাসীন দল ও অঙ্গ সংগঠন
*প্রশাসনেও চলবে শুদ্ধি অভিযান

 

মহসীন আহমেদ স্বপন : আওয়ামী লীগের নাম বিক্রি করে দলের সেসব নেতাকর্মী চাঁদাবাজি, দুর্নীতি, অপকর্ম করেছেন তাদের পাশাপাশি তাদের প্রশ্রয়দানকারী প্রশাসনের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেও আসছে শুদ্ধি অভিযান। সরকারের যেসব প্রকল্পে বড় বড় দুর্নীতি হয়েছে, বার বার প্রকল্প ব্যয় বাড়লেও কাজের অগ্রগতি হয়নি, কাজের উদ্বোধনের পরপরই যা নষ্ট হয়েছে গেছে এসব দুর্নীতির সঙ্গে সরকারের যেসব কর্মকর্তারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালিত হবে। এ যেন ওয়ান ইলেভেনের পুররাবৃত্তি। ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি ক্ষমতার পালাবদলের পর দুর্নীতি বিরোধী অভিযানে রাজনীতিক, প্রশাসনের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা, চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজসহ বিতর্কিতদের মধ্যে যে গ্রেফতার ভীতি সৃষ্টি হয়; দল ক্ষমতায় থাকার পরও সেই ভীতির মধ্যে পড়েছেন আওয়ামী লীগ ও দলটির অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের বিতর্কিত নেতারা। পরিবহন নেতা, দখলদার, প্রশ্নপত্র ফাঁসের হোতা, ইয়াবা ব্যবসায়ী, কোচিং বাণিজ্যের হোকা, মন্ত্রী-এমপিদের বিতর্কিত স্বজন সবার মধ্যেই এখন গ্রেফতার আতঙ্ক।
প্রশাসনে শুদ্ধি অভিযানের মাধ্যমে ফ্রেস ব্লাড সরবরাহ করতে চাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। যেন আগামীতে কেউ দলের নাম ভাঙিয়ে অপকর্ম করতে না পারে। কর্মকর্তাদের দুর্নীতিবাজদের দুর্নীতি, অপকর্ম ও সম্পদের হিসাব প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে। এছাড়া আইন-শৃঙ্খলা প্রশাসনের দুর্নীতিবাজদের কারণে দলের নাম বিক্রি করে অনেক অপকর্মকারী সম্পদের পাহাড় গড়েছেন আর দলের দুর্নাম তৈরি করেছে। নেতাদের নানা অপকর্ম যখন দলের ভাবমর্যাদা ও অর্জন নষ্ট করে ম্লান করছে ঠিক তখনই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় সিদ্ধান্তে সকল অপরাধের মূল উৎপাটন শুরু হয়েছে।
গ্রেপ্তারের পর জেরার মুখে যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া গড়গড় করে গোয়েন্দা পুলিশকে বলেছেন স্যার, ধরা যখন পড়েছি, তখন আর চুপ থেকে ফায়দা কী। আমি সব বলব। কিন্তু আমার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার কইরেন না। আমি একাই দোষী নই। সম্রাট ছাড়া কিভাবে ক্যাসিনো ব্যবসা হয়? কাউসার ও সাঈদও আমার সহযোগী। জি কে শামীমও এই কারবারে জড়িত। ক্যাসিনো মানে জুয়া খেলা। এখানে কাঁচা টাকা। শত শত কোটি টাকার খেলা। কাঁচা টাকা পেলে তহন সবাই হাত পাইতা দেয়। এই টাকার ভাগ পুলিশকে দিছি। পুলিশের বড় বড় স্যাররা নিছে। আমি যুবলীগের নেতা ছিলাম। সবার সঙ্গেই আমার সম্পর্ক ছিল। তাঁদের ধরেন। দেখবেন দেশে আর কেউ ক্যাসিনো কারবার করতে পারবে না…।
খালেদের এই স্বীকারোক্তিতে বিব্রতবোধ করছেন জিজ্ঞাসাবাদকারী গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদকারী সূত্র এই তথ্য জানিয়ে বলেছে, এখন পরিস্থিতি এমন জায়গায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে যে খালেদের তথ্যে ফেঁসে যেতে পারেন পুলিশ সদর দপ্তর ও মহানগর সদর দপ্তরের সাবেক ও বর্তমান মিলিয়ে অনেক শীর্ষ কর্তা; মহানগরের মতিঝিল, রমনা, তেজগাঁও, মিরপুর, গুলশান ও উত্তরা বিভাগের অনেক পুলিশ কর্মকর্তাও। জিজ্ঞাসাবাদকারী সূত্র বলছে, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটকেই ক্যাসিনো কারবারের গডফাদার দাবি করেছেন খালেদ। এর বাইরে যুবলীগের শীর্ষস্থানীয় অনেক নেতাসহ ঢাকা সিটি করপোরেশনের অনেকের নাম বলেছেন খালেদ।
জানা গেছে, খালেদের জিজ্ঞাসাবাদের তথ্য মামলার তদারক কর্মকর্তার কাছে জানতে পেরে বিব্রত হয়েছেন ডিএমপি কমিশনার। পরিস্থিতি সামাল দিতে শনিবার বিকেলে অপরাধবিষয়ক বিশেষ সভা ডাকেন তিনি। এই বৈঠকে ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পাশাপাশি বিভিন্ন বিভাগের ডিসি ও থানার ওসিরা উপস্থিত ছিলেন। সেখানে রাজধানীতে আর কোনো ক্যাসিনো কারবার যাতে না চলতে পারে সে সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেই সঙ্গে ক্যাসিনো কারবারিদের কাছ থেকে যেসব পুলিশ সুবিধা নিয়েছেন তাঁদের বিষয়ে কার কাছে কী ধরনের তথ্য আছে তা জানতে চাওয়া হয়েছে বলে বৈঠকে উপস্থিত এক পুলিশ কর্মকর্তা নাম না প্রকাশের শর্তে জানিয়েছেন।
সূত্র জানায়, ডিএমপি কমিশনার বৈঠকে বলেছেন, তিনি দায়িত্ব নেওয়ার আগে থেকে রাজধানীতে ক্যাসিনো কারবার চলেছে। তবে এখন থেকে ঢাকাতে কোনো ক্যাসিনো কারবার বা জুয়ার আসর চলবে না। জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, যেসব মামলা দায়ের করা হয়েছে তার তদন্ত করা হচ্ছে। রাজধানীর ক্যাসিনোগুলো চলার সময় পুলিশের কোনো সহযোগিতা ছিল কি না তা গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। যদি কারো সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২০ জনের গ্রুপ খালেদের : খালেদের অপকর্মের সঙ্গে জড়িত অন্তত ২০ জনের নাম পেয়েছে ডিবি। এরই মধ্য তাঁরা গাঢাকা দিয়েছেন। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদকারী পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, ক্যাসিনো কারবারে তাঁর সাঙ্গোপাঙ্গদের মধ্যে অন্তত ২০ জন ঘনিষ্ঠ ছিলেন। এঁদের মধ্যে রয়েছেন গোড়ান এলাকার কাউন্সিলর আনিসুর রহমান, যুবলীগ দক্ষিণের সদস্য খায়রুল, উজ্জল রাজু, রইসসহ আরো অনেকে। এঁরা তাঁকে মতিঝিলের শাহজাহানপুর এলাকায় চাঁদাবাজির পাশাপাশি টেন্ডার নিয়ন্ত্রণে সহযোগিতা করতেন। ডিবির এক কর্মকর্তা বলেন, খালেদের তথ্যের ভিত্তিতে আমরা তাঁর সাঙ্গোপাঙ্গদের বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া শুরু করেছি। কিন্তু তাঁদের কেউই এলাকায় নেই। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সদ্য বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদকে তিন দিনের জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গোয়েন্দা সূত্র জানিয়েছে, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি সম্রাটই ক্যাসিনোর আসল রূপকার। তাঁর হাত ধরেই ঢাকার মতিঝিল থানার বিভিন্ন এলাকার স্পোর্টস ক্লাবগুলোয় হাউজি আসরকে ক্যাসিনোতে উন্নীত করা হয়। এ কাজে সম্রাটের সহযোগী হিসেবে পরিচিতি পান খালেদ। তাঁর দেওয়া তথ্য মতে, এসব ক্লাবের ক্যাসিনোতে খেলা এবং সেগুলো পরিচালনায় যুক্ত হন আওয়ামী লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রভাবশালী কয়েকজন নেতাও। তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোল্লা মো. আবু কাওছার, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর এ কে এম মোমিনুল হক সাঈদ।
খালেদ জিজ্ঞাসাবাদে জানান, সম্রাটের ঘনিষ্ঠদের মধ্যে ঢাকা মহানগরীর দক্ষিণের যুবলীগ সহসভাপতি আরমান, মতিঝিল এলাকার ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাইদ, সহসভাপতি সোহরাব হোসেন স্বপন, সাংগঠনিক সম্পাদক গাজী সরোয়ার হোসেন বাবু, সাংগঠনিক সম্পাদক জামাল, সাংগঠনিক সম্পাদক মাকসুদ, সহসভাপতি মুরসালিন, মনির হোসেন, মনা, রানা, শফি মনির হোসেন তার ক্যাসিনো কারবারসহ টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ করতেন।
খালেদ আরো জানিয়েছেন, রাজধানীর মতিঝিল, ফকিরাপুল এলাকায় কমপক্ষে ১৭টি ক্লাব নিয়ন্ত্রণ করতেন তিনি। এর মধ্যে ১৬টি ক্লাব নিজের লোকজন দিয়ে আর ফকিরাপুল ইয়ংমেনস ক্লাবটি সরাসরি তিনি পরিচালনা করতেন। বাকিগুলো সম্রাটের নিয়ন্ত্রণে ছিল।
ক্যাসিনোর টাকা বিদেশে কিভাবে পাঠানো হতো সে সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদে খালেদ বলেছেন, সম্রাট গত কয়েক বছরে ক্যাসিনো কারবার ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দিতে নেপাল থেকে এক্সপার্ট এনেছিলেন। তাঁদের মধ্যে ১১ জন ঢাকার ক্যাসিনো কারবার নিয়ন্ত্রণে সহযোগিতা করতেন। সম্রাট সিঙ্গাপুর গিয়ে ক্যাসিনোয় জুয়া খেলায় অংশ নিতেন। সে সময় তিনি দেশের অনেক টাকা পাচার করেছেন। খালেদ জিজ্ঞাসাবাদে বলেছেন, মগবাজার টিঅ্যান্ডটি কলোনির সন্ত্রাসী নাজির আরমান নাদিম ও শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসানের সঙ্গে তাঁর ও সম্রাটের একসময় সুসম্পর্ক ছিল। চাঁদাবাজি ও ক্যাসিনোর টাকা ওমানের মাসকটে থাকা সন্ত্রাসী নাদিমের কাছে পাঠাতেন তাঁরা। সেখান থেকে শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসানও ভাগ পেতেন। জিসান বর্তমানে ভারতের পাসপোর্ট নিয়ে দুবাইয়ে বাস করছেন। জিসানের সঙ্গে জি কে শামীমেরও সম্পর্ক ছিল। তবে একপর্যায়ে জিসানের সঙ্গে তাঁর ও সম্রাটের সম্পর্ক খারাপ হতে থাকে। আর এর জন্য জি কে শামীম দায়ী। কারণ জি কে শামীম তাঁর টেন্ডার কারবার নিয়ন্ত্রণে একসময় জিসানকে হাত করেন। খালেদ জানিয়েছেন, ২০১৬ সাল থেকে ঢাকায় তাঁরা ক্যাসিনো কালচার শুরু করেন।
প্রধানমন্ত্রীর দুর্নীতি দমনে ‘শূন্য সহনশীলতার’ মধ্যেও যুবলীগের সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরীর ‘ঝাঝালো বক্তব্য’ প্রচারের পর ‘ঝড় থেমে যাবে’ কারো কারো এমন প্রত্যাশায় ছিলেন; ২৪ ঘন্টা পর যুবলীগের সভাপতির ১৮০ ডিগ্রী ঘুরে গিয়ে বক্তব্য দেয়ায় ‘ঝড় আরো প্রবল হয়ে আসছে আশঙ্কা থেকে আরো ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছেন। কেউ কেউ ফোন বন্ধ করে রেখেছেন। দিনে নিজেদের বাসায় থাকলে রাখে অন্যত্র ঘুমাচ্ছেন। আবার একে অপরের সঙ্গে নিজেদের কৃতকর্ম, অভিযান কোথায় গিয়ে ঠেকবে, গ্রেফতারের তালিকায় তাদের নাম রয়েছে কিনা সে সব বিষয়ে আলোচনা করছেন; খোঁজ খবর নেয়ার চেষ্টা করছেন। সাংবাদিক দেখলেই ‘অভিযান খবর’ জানতে চাচ্ছেন। পরিবহন সেক্টরে চাঁদাবাজীসহ বিভিন্ন সেক্টরে টেন্ডারবাজী, আধিপত্যবিস্তারকারী, যেসব মন্ত্রী-এমপিদের পুত্র-শ্যালক ইতোমধ্যেই অপকান্ডে বিতর্কিত এবং মিডিয়ায় শিরোনাম হয়েছেন তাদের মধ্যেও গ্রেফতার ভীতি সবচেয়ে বেশি। গ্রেফতার এড়াতে এদের কেউ কেউ এতোমধ্যেই বিদেশে গেছেন বলেও খবর পাওয়া গেছে।
সূত্র জানায়, ১৪ সেপ্টেম্বর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুবলীগের ঢাকা দক্ষিণের দুই নেতা সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করেন। এরপর তাদের নানা অপকর্মের কথা উঠে আসে গণমাধ্যমে। এরপর বিভিন্ন ক্লাবের ক্যাসিনো অভিযান শুরু হয়। গ্রেফতার করা হয় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে। এরপর পরই বিভিন্ন ক্লাবের অভিযানে উঠে আসে আওয়ামী লীগের তৃণমূল থেকে শুরু করে অনেক বড় বড় নেতার নাম। ক্লাবগুলোর পরিচালনা কমিটিতে থাকার কারণে সাবেক মন্ত্রী ও ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোল্লা মো. আবু কাউসার, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, দুদকের আইনজীবী মোশারফ হোসেন কাজলসহ অনেক প্রভাবশালীদের নাম প্রকাশ্যে আসে। এছাড়া এসব ক্যাসিনোর টাকার ভাগ রাজনীতির কোন পর্যায় ও প্রশাসনের কোন পর্যায়ে পর্যন্ত ভাগ বাটোয়ারার টাকা পৌঁছাতে এসকল তথ্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে রিপোর্ট দিয়েছে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো।
রাজনৈতিক নেতাদের পাশাপাশি প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নামও উঠে আসায় চলছে সমালোচনা। মতিঝিল থানার একশো গজের মধ্যে চারটি ক্লাব কী করে ক্যাসিনো চালায় এবং এতোদিন কেনো অভিযান চালানো হয়নি তা নিয়ে উঠে প্রশ্ন। তৃণমূল নেতাদের মন্তব্য দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনৈতিক নেতাদের পাশাপাশি প্রশাসনেও শুদ্ধি অভিযান চালাতে হবে। তা না হলে একজন নেতা গেলে আরেকজন নেতা অপকর্মের পাহাড় গড়ে তুলবে। দলের শুদ্ধি অভিযানকে স্বাগত জানাচ্ছেন নেতারা। দলে যারা অপকর্মকারীদের প্রশ্রয় দিচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধেও প্রতিবাদ উঠছে দলের ভেতর থেকে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *