কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট এর সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা এবং কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের অভিযান

Uncategorized আইন ও আদালত

!! দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট হতে বুধবার ৫ টি অভিযোগের বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে এবং ২ টি দপ্তরে অভিযান পরিচালনা করা সহ ৩ টি দপ্তরে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে !!



নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ মো: রফিকুল ইসলাম, সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা, কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, আরমানীটোলা, ঢাকা এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের নিকট হতে ভ্যাট আদায়ের ক্ষেত্রে ঘুষের বিনিময়ে নির্ধারিত পরিমাণের কম ভ্যাট আদায় করে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগের প্রেক্ষিতে আফরোজা হক খান, সহকারী পরিচালক, প্রধান কার্যালয়, ঢাকা এর নেতৃত্বে ০৫ সদস্যের একটি এনফোর্সমেন্ট টিম বুধবার ১০ আগস্ট উক্ত অফিসে অভিযান পরিচালনা করেছে। এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা কালে জানা যায়, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি মো: রফিকুল ইসলাম, সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা গত ২৭ জুলাই থেকে চট্রগ্রামে প্রশিক্ষণে আছেন কিন্তু ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত না করেই প্রতি শনিবার ঢাকার উক্ত অফিসে অফিস করেন। তাকে না পেয়ে এনফোর্সমেন্ট টিমের দুইজন সদস্য ব্যবসায়ীর ছদ্মবেশে উক্ত অফিসের আরেকজন সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মো: মাঈন উদ্দিন আরমান এর কাছে ভ্যাট সংক্রান্ত সেবা নিতে যায়। তখন সে তাদেরকে ঘুষের বিনিময়ে অনৈতিক সুবিধা দিতে রাজি হন। যা রেকর্ড করা হয়েছে। এই বিষয়টি রাজস্ব কর্মকর্তা সুদীপ্ত শেখর দাসকে অবগত করা হলে তিনি অসহযোগিতামূলক আচরণ করেন। এমতাবস্থায়, পুরো বিষয়টি বিভাগীয় কর্মকর্তাকে অবগত করা হয় এবং তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনকে অবহিত করার সুপারিশ করা হয়। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে যথাযোগ্য ব্যবস্থা নিবেন বলে এনফোর্সমেন্ট টিমকে অবহিত করেন। অভিযান প্রসঙ্গে বিস্তারিত প্রতিবেদন কমিশন বরাবর উপস্থাপন করবে এনফোর্সমেন্ট টিম।

জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিস, কুষ্টিয়া-এর কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিএমইটি কার্ডের ফিঙ্গার প্রিন্ট গ্রহণ বাবদ গ্রাহকদের নিকট হতে ঘুষ দাবির অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন, জেলা কার্যালয়, কুষ্টিয়ার সহকারী পরিচালক নীল কমল পাল এর নেতৃত্বে সহকারী পরিচালক চৌধুরী বিশ্বনাথন আনন্দ, রকিবুল ইসলাম ও উপ-সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আশিকুর রহমান এবং মোহাম্মদ আবু তালহা এর সমন্বয়ে গঠিত এনফোর্সমেন্ট টিম আজ জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো, কুষ্টিয়াতে অভিযান পরিচালনা করেছে। অভিযান পরিচালনা কালে সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায়, কম্বোডিয়া, সিঙ্গাপুর, ওমান দেশে শ্রমিক ভিসায় আগ্রহী ব্যক্তিদের নীতিমালা অনুসারে সংশ্লিষ্ট দেশের দূতাবাস কর্তৃক ইস্যুকৃত ভিসার সত্যায়ন কপি প্রাপ্তি সাপেক্ষে স্ব স্ব জেলার জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো কার্যালয়ে ফিঙ্গার প্রিন্ট গ্রহণের বিধান রয়েছে। মোহাম্মদ মশফিকুর রহমান, সহকারী পরিচালক, বিএমইটি, কুষ্টিয়া জেলা কার্যালয় উক্ত নীতিমালার তোয়াক্কা না করে ভিসার সত্যায়ন ছাড়াই ক্ষমতার অপব্যবহার করে অসৎ উদ্দেশ্যে ফিঙ্গার প্রিন্ট গ্রহণ করত বিদেশগামীদের বিএমইটি কার্ড প্রদান করেছেন।
উক্ত কার্যক্রমের ফলে অনুমোদিত ভিসাধারী শ্রমিক বিদেশে গমন করায় হয়রানির স্বীকারসহ বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়াও সরেজমিনে পরিদর্শনকালে অফিসের কর্মচারীদের বাইরেও বহিরাগতদের দৌরাত্ম্য দৃষ্টিগোচর হয়েছে। সুবিধাভোগীদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, সহকারী পরিচালক মোঃ মশফিকুর রহমান দালাল ছাড়া কোন কাজ করেন না এবং সরকারি ফি’র অতিরিক্ত অর্থ না দিলে নানারকম হয়রানির স্বীকার হতে হয়। এ প্রসঙ্গে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশসহ বিস্তারিত প্রতিবেদন কমিশন দাখিল করবে এনফোর্সমেন্ট টিম।

এছাড়াও দুদক অভিযোগ কেন্দ্রে (হটলাইন-১০৬) আগত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক কমিশনকে অবহিত করার জন্য ০৩টি দপ্তরে দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট হতে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *