টাঙ্গাইলের বাণিজ্যিক কেন্দ্র করটিয়া হাটে ৫৮৫ টাকার ভিটি লক্ষ্যাধিক টাকায় ব্যাবসায়ীদের বরাদ্দ ও পাবনার কে.জে.বি ডিগ্রি কলেজ এর সহকারী অধ্যাপকের বিরুদ্ধে দ্বায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ

Uncategorized আইন ও আদালত

!! দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট হতে রবিবার ৫ টি অভিযোগের বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে এবং ২ দপ্তরে অভিযান পরিচালনা করা সহ ৩টি দপ্তরে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে !!



নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ টাঙ্গাইল সদর উপজেলাধীন বাণিজ্যিক কেন্দ্র করটিয়া হাটে ৫৮৫ টাকার একটি ভিটি সরকারের কাছ থেকে বরাদ্দ নিয়ে লক্ষাধিক টাকায় ব্যবসায়ীদের বরাদ্দ দেওয়ার অভিযোগের প্রেক্ষিতে রবিবার ১৪ আগস্ট দুদক জেলা কার্যালয় টাঙ্গাইলের সহকারী পরিচালক ফেরদৌস রহমান ও কোর্ট পরিদশর্ক জাহিদুল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত একটি এনফোর্সমেন্ট টিম টাঙ্গাইল সদর উপজেলার করটিয়া হাটে অভিযান পরিচালনা করেছে। দুদক টিম সরেজমিনে উক্ত এলাকা পরিদর্শন করে অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে। অভিযান পরিচালনা কালে দেখা যায়, স্থানীয় প্রভাবশালী একটি মহল নিজের এবং নিজেদের পরিবারের সদস্যদের নামে সরকারের কাছ থেকে একাধিক ভিটি বরাদ্দ নিয়ে অন্য ব্যবসায়ীদের কাছে কয়েক হাজার টাকা থেকে শুরু লক্ষাধিক টাকায় ভাড়া দিয়ে থাকেন। নিয়ম অনুযায়ী একজন ব্যবসায়ী সরকারি ৫৮৫ টাকা ফি পরিশোধ করে এক বছরের জন্য একটি ভিটি বরাদ্দ পাবেন। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায় কেউ কেউ নিজের এবং পরিবারের সদস্যদের নামে ৮-১০ টি ভিটি বরাদ্দ নিয়েছেন। পজিশন ভেদে এসব ভিটি কয়েক হাজার থেকে লক্ষাধিক টাকায় তারা ভাড়া দিয়েছেন। ফলে প্রকৃত ব্যবসায়ীরা ভিটি বরাদ্দ না পেয়ে চড়ামূল্যে ভিটি ভাড়া নিতে বাধ্য হচ্ছেন। ফলশ্রুতিতে কাপড়ের মূল্য বাড়িয়ে অতিরিক্ত খরচ সমন্বয় করছেন। ফলে ভুক্তভোগী হচ্ছেন সাধারণ ক্রেতাগণ। প্রকৃত ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন তারা বহুবার আবেদন করেও ভিটি বরাদ্দ পাননি, কিন্তু সরকারি চাকরিজীবী, স্থানীয় প্রভাবশালী নেতারা ভিটি বরাদ্দ পেয়েছে। অভিযোগের বিষয়ে বিস্তারিত রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করে এনফোর্সমেন্ট টিম কমিশন বরাবরে দ্রুত প্রতিবেদন দাখিল করবে।


পাবনা জেলার বেড়া উপজেলাধীন মাশুন্দিয়া ভবানীপুর কে.জে.বি ডিগ্রি কলেজ, বেড়া, পাবনা এর সহকারী অধ্যাপক বিশ্বনাথ দত্ত এর বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন যাবত কলেজে দায়িত্ব পালন না করে পরিবারসহ ভারতে বসবাস করলেও অন্য জনের মাধ্যমে নিয়মিত বেতন-ভাতা উত্তোলনপূর্বক সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করার অভিযোগ এর ভিত্তিতে দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, পাবনার উপ-সহকারী পরিচালক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান এর নেতৃত্বে উপ-সহকারী পরিচালক মোঃ মনোয়ার হোসেন, মোঃ ফেরদৌস রায়হান বকসী ও মোঃ মোক্তার হোসেন এর সমন্বয়ে গঠিত এনফোর্সমেন্ট টিম কর্তৃক সরেজমিনে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। অভিযান পরিচালনা কালে উক্ত কলেজে রক্ষিত বিভিন্ন রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে অভিযোগ এর বিষয়টি এনফোর্সমেন্ট টিমের নিকট সত্য বলে প্রতীয়মান হয়েছে। রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশসহ বিস্তারিত প্রতিবেদন শীঘ্রই কমিশন বরাবর দাখিল করবে এনফোর্সমেন্ট টিম।

এছাড়াও দুদক অভিযোগ কেন্দ্রে (হটলাইন-১০৬) আগত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক কমিশনকে অবহিত করার জন্য ০৩টি দপ্তরে দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট হতে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *