নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ চট্টগ্রামে নৌবাহিনীর ঈসা খাঁ ঘাঁটির ভেতর মসজিদে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় ৫ জঙ্গি সদস্যের মৃত্যুদণ্ডের রায় দেওয়া হয়েছে।
২০১৫ সালের ১৮ ডিসেম্বর জুমার নামাজের পরে চট্টগ্রামে নৌবাহিনীর ঈশা খাঁ ঘাঁটির ভেতরের দুটি মসজিদে ১০ মিনিটের ব্যবধানে বোমা হামলা হয়।ওই মসজিদগুলোতে শুক্রবার স্থানীয়রাও নামাজ পড়তে আসতেন, বিস্ফোরণে সামরিক-বেসামরিক মিলিয়ে মোট ২৪ জন আহত হন।
এতে আসামি করা হয় নৌবাহিনীর সাবেক সদস্য এম সাখাওয়াত হোসেন, বলকিপার আবদুল মান্নান ও রমজান আলী এবং বাবুল রহমান ওরফে রনি। এম সাখাওয়াত হোসেন ঘটনার পরপরই পালিয়ে যায়। ধারণা করা হয় সে প্রথমে ভারত পরবর্তীতে যুদ্ধকবলিত মধ্যপ্রাচ্যের কোন দেশে অবস্থান করছে। তাকে ট্র্যাস করার জন্যে এখনো চেষ্টা চলছে।
জে#এম#বির চট্টগ্রাম অঞ্চলের প্রধান সমন্বয়ক রাইসুল ইসলাম খান নোমান ওরফে নাফিস ওরফে ফারদিনের নেতৃত্বে নৌ ঘাঁটির মসজিদে ওই আত্মঘাতী বোমা হামলা চালানো হয় বলে মামলার এজাহারে বলা হয়।ফারদিন ২০১৬ সালের ৩ এপ্রিল বগুড়ার শেরপুরে নিজ আস্তানায় গ্রেনেড বানাতে গিয়ে বিস্ফোরণে নিহত হন বলে খবর প্রকাশিত হয় । এ কারণে তার নাম এ মামলার আসামি তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়।
২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে নৌঘাঁটিতে হামলার ৯ দিন পর ২৭ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার আমান বাজারে ফারদিনের ভাড়া বাসায় অভিযান চালিয়ে সেনা পোশাক, র্যাংক ব্যাজসহ অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করে গোয়েন্দারা।