নড়াইলে মাইক বাঁধা ও তবারক বিতরণকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে আহত ৫,জনমনে নিন্দার ঝড়

Uncategorized রাজনীতি

মো:রফিকুল ইসলাম,নড়াইলঃ
নড়াইল জেলা আওয়ামী-লীগ কার্যালয়ে মাইক বাঁধা ও তবারককে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে আহত ৫,জনমনে নিন্দার ঝড়। জানা যায়,সাবেক নেতা সিদ্দিক আহম্মেদ এর ২য় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভা শেষে আওয়ামী-লীগের কার্যালয়ে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে এ সংঘর্ষের ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত পাঁচজন আহত হন। আহতদের মধ্যে চারজনকে নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ও অপর আহত জেলা আওয়ামী-লীগের উপদপ্তর সম্পাদক শেখ বোরহান আহম্মেদ যশোরের একটি বেসরকারী ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শী ও আওয়ামী-লীগের কয়েকজন নেতা জানান,জেলা আওয়ামী-লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিক আহম্মেদ এর ২য় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণসভার আয়োজন করে,জেলা স্বেচ্ছাসেবক-লীগ। দলীয় কার্যালয়ে মঙ্গলবার বিকেলে ওই স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়। স্মরণসভা শেষে তবারক বিতরণের সময়ে জেলা আওয়ামী-লীগের উপদপ্তর সম্পাদক শেখ বোরহান আহমেদের সঙ্গে পৌর স্বেচ্ছাসেবক-লীগের ৫ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি রিয়াজ আহম্মেদ (৩৫) এর সাথে তর্ক হয়,একপর্যায়ে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। অধিকাংশ নেতাকর্মী তখন চলে গেলেও প্রয়াত সিদ্দিক আহম্মেদ’র স্ত্রী নড়াইল পৌর-মেয়র আঞ্জুমান আরা,জেলা স্বেচ্ছাসেবক-লীগের সভাপতি তারিকুল ইসলাম উজ্বল ও সাধারণ সম্পাদক এস এম পলাশ,জেলা আওয়ামী-লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক আলমগীর সিদ্দিকী,নড়াইল পৌর আওয়ামী-লীগের সভাপতি মলয় কুমার কুণ্ডুসহ কয়েকজন নেতা কার্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন। এ ঘটনায় শেখ বোরহান আহম্মেদ ও রিয়াজ আহম্মেদ ছাড়াও আহত হয়েছেন স্বেচ্ছাসেবক-লীগের কর্মী তওহিদুর রহমান (৪০), ফারুক হোসেন (৪০) ও নাহিদুজ্জামান (৩৫)। নাহিদুজ্জামানের বাড়ি পৌর এলাকার চরেরঘাট,অন্য’রা শহরের ভওয়াখালী এলাকার বাসিন্দা। আহত রিয়াজ আহম্মেদ ও তওহিদুর রহমান বলেন,শেখ বোরহান আহম্মেদের কাছে তবারক ছিল,তা বিতরণ করা নিয়ে আমাদের সঙ্গে তাঁর তর্ক হয়। একপর্যায়ে বোরহানের লোকজন আমাদের ওপর ছুরি ও লাঠি নিয়ে হামলা করে,এতে আমরা চাঁরজন আহত হয়। শেখ বোরহান আহম্মেদ জানান,আমি জেলা আওয়ামী-লীগের উপদপ্তর সম্পাদক,
আওয়ামী-লীগ কার্যালয়ে কোন প্রগ্রাম করতে হলে আগে থেকে নোটিশের মাধ্যমে কার্যলয়ে প্রগ্রাম করতে অনুমতি নিতে হয়,কিন্তু কেউ অনুমতি নেই নি,এজন্য আমি তাদের বলি খালি খালি মাইক বাঁধার দরকার নাই কারন কার্যালয়ে তো কোন প্রগ্রাম নাই,তাহলে মাইক বাঁধার কি আছে,আমি এ কথা বলার পর থেকেই আমার সাথে অসভ্য আচারন করা সুরু করে এবং যোঁর করে মাইক বাঁধে,পরে দোয়া মাহ্ফিল শেষে আমাকে আওয়ামী-লীগ কার্যালয় থেকে মারতে মারতে নিচে নামিয়ে আনে এবং কার্যালয়ের চেয়ার টেবিল ও কার্যালয়ের সিড়ি ভাংচুর করে বলেও জানান। সংঘর্ষের সময় উপস্থিত থাকা নাম পরিচয় জানাতে অনিচ্ছুক বলেন,বোরহানকে মারতে মারতে আওয়ামী-লীগ কার্যালয়ের নিচে নিয়ে যান। এ সময়ে বোরহানের পক্ষের কিছু ছেলেপেলে ওই চাঁরজনকে মারধর করে।
জেলা স্বেচ্ছাসেবক-লীগের সভাপতি তারিকুল ইসলাম উজ্বল বলেন,তুচ্ছ একটি ঘটনা,আমার প্রগ্রামের সময় তো কোন ঘটনা ঘটেনি,ঘটনা ঘটেছে স্মরণসভার আধাঁঘন্টা পরে এ ঘটনা,পূর্বের কোন ঝামেলা রয়েছে তাদের মধ্যে বলেও জানান। পৌর মেয়র আঞ্জুমান আরা বলেন,কার্যালয়ের নিচে শোরগোল শুনে সেখানে যাই এবং মারামারি ঠেকিয়ে দেই। নড়াইল জেলা আওয়ামী-লীগের দপ্তর সম্পাদক,ইঞ্জিঃ খশরুল আলম পলাশ জানান,আমি বেক্তীগত কাজে বাইরে থাকি এবং কার্যালয়ে প্রগ্রামের কোন লিখিত কাগজ কেউ দেইনি আমাকে বা বোরহানকে। বোরহানকে আমি দায়ীত্ব দিয়ে যায় এবং বোরহান মাইক বাঁধতে নিষেধ করলে তাদের সাথে কথা কাটাকাটি হয় এবং পরে কার্যালয়ে কাজের লোক কে খাবার দেয়ার জন্য বোরহান খাবার চাইলে তর্কে জড়িয়ে পড়লে এ সংঘর্ষ বাঁধে এবং সংঘর্ষের সময় কার্যালয়ের চেয়ার ও সিড়ির হাতল ভাংচুর করে হামলাকারী’রা বলেও জানান। নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: মাহমুদুর রহমান বলেন,স্মরণসভা শেষে খাবার বিতরণ নিয়ে তর্কের একপর্যায়ে মারামারি হয় বলে তাৎখণিক জানা যায়,এতে এক পক্ষের একজন,অন্য পক্ষের চাঁরজন আহত হন। পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে,অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *