গডফাদাররা অধরা

অপরাধ আইন ও আদালত এইমাত্র জাতীয় জীবন-যাপন রাজধানী রাজনীতি

সম্রাট ঢাকায়, আছেন চাপে

মহসীন আহমেদ স্বপন : রাজধানীসহ সারাদেশের ক্লাবগুলোতে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান চলছে। র‌্যাব-পুলিশের এ অভিযানে ক্যাসিনোগুলো বন্ধের পাশাপাশি এরসঙ্গে যারা যুক্ত রয়েছেন তাদের ধরা হচ্ছে। ফলে আটক হয়েছেন বড় বড় প্রভাবশালীরাও। এ ছাড়া নজরদারিতেও রয়েছেন অনেকে। ৯০ ভাগ মুসলমানের দেশ এবং বিশ্বদরবারে মসজিদের শহর হিসেবে পরিচিত ঢাকায় ক্যাসিনো খেলা চলেছে প্রকাশ্যে। ক্ষমতাসীন দলের অঙ্গসংগঠনের রথি-মহারথিরা এই খেলায় যুক্ত থাকায় কেউ প্রতিবাদ করতে পারেনি। কারা ক্যাসিনোর স¤্রাট, কারা কারা ক্যাসিনো খেলা আমদানি করেছেন, কারা টাকার ভাগ পেতেন তা এখন ওপেন সিক্রেট। সব তথ্য-উপাত্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে। তারপরও ক্যাসিনোর গডফাদাররা অধরা। রাজধানীর বিভিন্ন ক্যাসিনোতে র‌্যাব-পুলিশের একের পর এক অভিযানে যুবলীগ, কৃষক লীগের কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়। উদ্ধার হচ্ছে কোটি কোটি টাকা। অভিযান চলছে, কিন্তু যারা ক্যাসিনোর মূল হোতা সেই খলনায়করা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে।
অভিযানে ইতোমধ্যে গ্রেফতার হয়েছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ হোসেন ভূঁইয়া। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও রাজনৈতিক অঙ্গনের লোকেরা মনে করেন, ঢাকায় ক্যাসিনো ব্যবসার অন্যতম নিয়ন্ত্রক ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট। এ অভিযান শুরুর পর যুবলীগ, কৃষক লীগ ও আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা র‌্যাব ও পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন। কিন্তু সম্রাট এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে। অভিযান শুরুর প্রথম তিন দিন তিনি দৃশ্যমান ছিলেন। ফোনও ধরতেন। কিন্তু এখন তিনি কোথায় আছেন, তা তার সংগঠনের কেউ সুনির্দিষ্ট করে বলতে পারছেন না। অভিযান শুরুর পর কয়েক দিন কাকরাইলের ভূঁইয়া ম্যানশনে তার ব্যক্তিগত কার্যালয়ে অবস্থানের পর অন্য স্থানে চলে গেছেন সম্রাট। তিনি কোথায় গেছেন, সে সম্পর্কে কেউ কিছু বলতে পারছেন না।
ভূঁইয়া ম্যানশনের ব্যক্তিগত কার্যালয়ে সম্রাট অবস্থানকালে শতাধিক যুবক তাকে পাহারা দিয়ে রাখছিলেন। সেখানেই সবার খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এক পদস্থ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সম্রাট পুলিশের নজরদারিতে রয়েছেন। তিনি ঢাকাতেই আছেন। সম্রাটের বিরুদ্ধে আদৌ কোনো ব্যবস্থা নেয়া হবে কি না? জানতে চাইলে ওই কর্মকর্তা বলেন, সবাই সবুজ সংকেতের অপেক্ষায় আছেন।
যুবলীগের একজন দায়িত্বশীল নেতা বলেন, সম্রাট কিছুটা চাপে আছেন। তাকে শেষ পর্যন্ত গ্রেফতার করা হবে কি না, বিষয়টি এখনো তিনি নিশ্চিত নন। তবে তাকে গ্রেফতারের ব্যাপারে চাপ বাড়ছে। এ কারণে নিজেকে আড়ালে রেখেছেন তিনি।
ক্যাসিনোকা-ে অভিযুক্ত সম্রাটের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। গত রোববার এ সংক্রান্ত একটি আদেশ দেশের বিমানবন্দর ও স্থলবন্দরে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া সম্রাটের ব্যাংক হিসাব তলব করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
গডফাদাররা অধরা : ৯০ ভাগ মুসলমানের দেশ এবং বিশ্বদরবারে মসজিদের শহর হিসেবে পরিচিত ঢাকায় ক্যাসিনো খেলা চলেছে প্রকাশ্যে। ক্ষমতাসীন দলের অঙ্গসংগঠনের রথি-মহারথিরা এই খেলায় যুক্ত থাকায় কেউ প্রতিবাদ করতে পারেনি। কারা ক্যাসিনোর স¤্রাট, কারা কারা ক্যাসিনো খেলা আমদানি করেছেন, কারা টাকার ভাগ পেতেন তা এখন ওপেন সিক্রেট। সব তথ্য-উপাত্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে। তারপরও ক্যাসিনোর গডফাদাররা অধরা। রাজধানীর বিভিন্ন ক্যাসিনোতে র‌্যাব-পুলিশের একের পর এক অভিযানে যুবলীগ, কৃষক লীগের কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়। উদ্ধার হচ্ছে কোটি কোটি টাকা। অভিযান চলছে, কিন্তু যারা ক্যাসিনোর মূল হোতা সেই খলনায়করা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে। ফলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে এই শুদ্ধি অভিযান কি দুদকের মতোই একচোখা হবে, নাকি অভিযান চলবে। অবশ্য আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরে এলেই রাঘব বোয়ালদের গ্রেফতারের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত। শুধু ঢাকায় নয়, সারাদেশে তথা সুনামগঞ্জ থেকে সুন্দরবন পর্যন্ত অভিযান শুরু হবে।
মতিঝিলের ক্লাবগুলোর ক্যাসিনোতে কারা যান সে তথ্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে। ক্যাসিনো খেলার ভিডিও ফুটেজে অনেক চেহারাই ভেসে উঠেছে। এ ছাড়া অভিযানের সময় র‌্যাব ও পুলিশ ক্লাবগুলো থেকে যে কাগজপত্র জব্দ করেছেন, তাতেও অনেকের নাম রয়েছে। মিডিয়ায় এমন খবরও প্রকাশ হয়েছে, গ্রেফতার এড়াতে ক্যাসিনোর খলনায়করা শত শত নেতাকর্মীর প্রহরায় দুই-তিন দিন অফিসে অবস্থান করেন। পরবর্তী খবর দিরুদ্দেশ!
ক্যাসিনো খলনায়ক হিসেবে যাদের নাম এসেছে, তাদের মধ্যে মতিঝিলের ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মমিনুল হক সাঈদসহ কয়েকজন দেশের বাইরে গেছেন। অভিযান শুরুর কারণে তারা দেশে ফিরছেন না। মমিনুল ওয়ান্ডারার্সসহ অন্তত চারটি ক্লাবের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। তিনি দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল হোসেন স¤্রাটের আস্থাভাজন। ইসমাইল হোসেন সম্রাট ও খালেদ ছাড়াও কাউন্সিলর আনিসুর রহমান, যুবলীগ নেতা মেহরাব হোসেন স্বপন, গাজী সারওয়ার হোসেন বাবু, খায়রুল, উজ্জ্বল, জামান, মুরসালিন, মনির হোসেন, রানা, শাহাদাত হোসেন, ৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হাসান উদ্দিন জামাল, ইমরান, তসলিম, জসীম উদ্দিন, গোলাম কিবরিয়ার বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন ক্লাবে ক্যাসিনো নিয়ন্ত্রণের অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর কাছে জমা দেয়া ভিডিওতে অনেক ক্যাসিনো ম্যানের নাম রয়েছে। আরো ক্যাসিনো এক্সপার্ট হিসেবে নেপালের দীনেশ মানালী, রাজকুমার বিনোদ মানালী, অজয় পাকরাল, হিলমিসহ অর্ধশত বিদেশির নাম রয়েছে। তারা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে।
গ্রেফতার অতঃপর আদালতের মাধ্যমে রিমান্ডে নেয়ার পর জিজ্ঞাসাবাদে ইয়ংমেন্স ক্লাবের ক্যাসিনোর খলনায়ক যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া গোয়েন্দা পুলিশের কাছে ক্যাসিনোর আদ্যোপান্তের বর্ণনা দিয়েছেন। রাজধানীর ক্লাবগুলোর ক্যাসিনো কারবারির চিত্র তুলে ধরে খালেদ বলেন, স্যার, ধরা যখন পড়েছি, তখন আর চুপ থেকে ফায়দা কী। আমি সব বলব। কিন্তু আমার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার কইরেন না। আমি একা দোষী নই। ইসমাইল হোসেন চৌধুরী স¤্রাট ছাড়া কিভাবে ক্যাসিনো ব্যবসা হয়? কাউসার ও সাঈদও আমার সহযোগী। জি কে শামীমও এই কারবারে জড়িত। ক্যাসিনো মানে জুয়া খেলা। এখানে কাঁচা টাকা। শত শত কোটি টাকার খেলা। কাঁচা টাকা পেলে তহন (তখন) সবাই হাত পাইতা দেয়। এই টাকার ভাগ পুলিশকে দিছি। পুলিশের বড় বড় স্যাররা নিছে। আমি যুবলীগের নেতা ছিলাম। সবার সঙ্গেই আমার সম্পর্ক ছিল। তাদের ধরেন। দেখবেন দেশে আর কেউ ক্যাসিনো কারবার করতে পারবে না।
খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার এই স্বীকারোক্তিতে বিব্রতবোধ করছেন জিজ্ঞাসাবাদকারী গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। তাকে জিজ্ঞাসাবাদকারী সূত্র এই তথ্য জানিয়ে বলেছে, এখন পরিস্থিতি এমন জায়গায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে যে, খালেদের তথ্যে ফেঁসে যেতে পারেন পুলিশ সদর দপ্তর ও মহানগর সদর দপ্তরের সাবেক ও বর্তমান মিলিয়ে অনেক শীর্ষ কর্তা। মহানগরের মতিঝিল, রমনা, তেজগাঁও, মিরপুর, গুলশান ও উত্তরা বিভাগের অনেক পুলিশ কর্মকর্তাও ফেঁসে যেতে পারেন।
যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার অপকর্মের সঙ্গে জড়িত অন্তত ২০ জনের নাম পেয়েছে ডিবি। এরই মধ্য তারা গা-ঢাকা দিয়েছেন। খালেদকে জিজ্ঞাসাবাদকারী পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘ক্যাসিনো কারবারে তার সাঙ্গোপাঙ্গদের মধ্যে অন্তত ২০ জন ঘনিষ্ঠ ছিলেন। এদের মধ্যে রয়েছেন গোড়ান এলাকার কাউন্সিলর আনিসুর রহমান, যুবলীগ দক্ষিণের সদস্য খায়রুল, উজ্জ্বল রাজু, রইসসহ আরো অনেকে। এরা তাকে মতিঝিলের শাহজাহানপুর এলাকায় চাঁদাবাজির পাশাপাশি টেন্ডার নিয়ন্ত্রণে সহযোগিতা করতেন।
ডিবির এক কর্মকর্তা বলেন, খালেদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে আমরা তার সাঙ্গোপাঙ্গদের বিষয়ে খোঁজখবর নেয়া শুরু করেছি। কিন্তু তাদের কেউই এলাকায় নেই।
খালেদ জিজ্ঞাসাবাদে বলেছেন, মগবাজার টিঅ্যান্ডটি কলোনির সন্ত্রাসী নাজির আরমান নাদিম ও শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসানের সঙ্গে তার ও স¤্রাটের একসময় সুসম্পর্ক ছিল। চাঁদাবাজি ও ক্যাসিনোর টাকা ওমানের মাসকটে থাকা সন্ত্রাসী নাদিমের কাছে পাঠাতেন তারা। সেখান থেকে শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসানও ভাগ পেত। জিসান বর্তমানে ভারতের পাসপোর্ট নিয়ে দুবাইয়ে বাস করছে। জিসানের সঙ্গে জি কে শামীমেরও সম্পর্ক ছিল। তবে একপর্যায়ে জিসানের সঙ্গে তার ও স¤্রাটের সম্পর্ক খারাপ হতে থাকে। আর এর জন্য জি কে শামীম দায়ী। কারণ জি কে শামীম তার টেন্ডার কারবার নিয়ন্ত্রণে এক সময় জিসানকে হাত করেন। খালেদ জানিয়েছেন, ২০১৬ সাল থেকে ঢাকায় তারা ক্যাসিনো কালচার শুরু করেন।
জব্দ টাকা যাবে কোথায়? : ক্যাসিনো কেলেঙ্কারিতে একের পর এক প্রভাবশালীরা ধরা পড়ছেন। সঙ্গে বেড়িয়ে আসছে তাদের সংরক্ষণে থাকা প্রচুর টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার। সম্প্রতি র‌্যাবের অভিযানে যুবলীগ নেতা জি কে শামীম ও খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে আটক করা হয়। এ সময় জি কে শামীমের বাড়ি ও অফিস থেকে নগদ প্রায় পৌনে দুই কোটি টাকা এবং ১৬৫ কোটি টাকার এফডিআর বা আমানতপত্র জব্দ করা হয়েছে।
এ ছাড়া রাজধানীর গেন্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এনামুল হক ও সাধারণ সম্পাদক রুপন ভূঁইয়ার বাসা থেকে বিপুল টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার করেছে র‌্যাব। তারা ক্যাসিনোর লাভের টাকা বাসায় নিয়ে রাখতেন বলে জানিয়েছে র‌্যাব।
সূত্রাপুরে তাদের বাড়িতে থাকা তিনটি ভল্ট থেকে এক কোটি পাঁচ লাখ টাকা ও আট কেজি (৭৩০ ভরি) স্বর্ণ পাওয়া যায়। এর পরে এনামুল হকের কর্মচারী আবুল কালাম আজাদের বাসায় অভিযান চালিয়ে একটি ভল্ট থেকে এক হাজার টাকার অনেকগুলো বান্ডিল পাওয়া যায়। তাতে প্রায় দুই কোটি টাকা রয়েছে বলে জানায় র‌্যাব। পরে রাজধানীর নারিন্দায় এনামুল হকের এক বন্ধুর বাসা থেকে দুই কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়।
বিপুল অঙ্কের টাকা পাওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ- সিপিডির গবেষণা কর্মকর্তা খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, বাজেট প্রণয়নের সময় একটি নির্দিষ্ট অঙ্কের জরিমানা দিয়ে অপ্রদর্শিত অর্থ সাদা করার সুযোগ দেয় সরকার।
সে সময় তিনি আরো বলেন, দেরিতে হলেও ভালো যে, সম্প্রতি অবৈধ উপার্জন বা অর্থের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে সরকার। এসব অভিযানে যেসব অপ্রদর্শিত অর্থ পাওয়া যাচ্ছে, সেগুলোর মালিক বৈধ উৎস দেখাতে না পারলে তা সরকারের কোষাগারেই জমা হবে। তবে অভিযান সঠিকভাবে পরিচালিত হলে টাকার অঙ্ক ভাবনার বাইরে হতে পারে বলেও অভিমত ব্যক্ত করেন এ গবেষক। এদিকে এসব অবৈধ অর্থের বিষয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অবৈধ অর্থ অর্জনকারীদের কাছ থেকে টাকা আদায় করতে হবে। তাদের আগে নোটিশ দিতে হবে। এ টাকা কোথায় পেয়েছে সেটা জিজ্ঞাসা করতে হবে। সঠিক জবাব দিতে না পারলে অন্য ব্যবস্থা। আর দিতে পারলে তাদের আয়ের সঙ্গে যোগ করে আয়কর আদায় করা হবে।
অন্যদিকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, গত কয়েকদিনে পুলিশ র‌্যাবের অভিযানে গ্রেফতার হওয়া দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদে যাদের নাম এসেছে, তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের ব্যাপারে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। সন্দেহভাজনদের আয়ের উৎস দেখার জন্য এ তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানান তিনি। মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া আরো বলেন, দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিদের কাছে যে অর্থ পাওয়া গেছে, তাদের ট্যাক্স ফাইল খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আর এ করের বিষয় যাচাই করার জন্য সন্দেহভাজনদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট তলব করা হয়েছে যাতে তারা টাকা সরিয়ে নিতে না পারে।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *