!! দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট হতে গতকাল বুধবার ৭ সেপ্টেম্বর ৪ টি অভিযোগের বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে এবং ১ টি দপ্তরে অভিযান পরিচালনা করা সহ ৩ টি দপ্তরে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে !!
নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ কুমিল্লা রেল স্টেশনে ট্রেনের টিকেট কালোবাজারে অতিরিক্ত মূল্যে বিক্রয় করার অভিযোগ যাচাইয়ে গতকাল বুধবার ৭ সেপ্টেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশন, কুমিল্লার সহকারী পরিচালক রাফী মোঃ নাজমুস্ সা’দাৎ ও উপ-সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আতিকুর রহমান সমন্বয়ে গঠিত টিম কর্তৃক একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালিত হয়েছে।
ছদ্মবেশে টিকেট কালোবাজারীদের সন্ধান করতে টিমের সদস্যগণ যাত্রী সেজে রেল স্টেশন প্ল্যাটফরমে টিকেট বিক্রয় চেষ্টাকারী কয়েকজন দালাল/কালোবাজারীর উপস্থিতি লক্ষ্য করে।
পরবর্তীতে টিম সুমন মিয়া নামের একজন দালালকে আটক করে তার নিকটে থাকা টিকেট সহ স্টেশন মাস্টারের কক্ষে রেলওয়ে পুলিশের নিকট হস্তান্তর করে। অভিযানের সংবাদ ছড়িয়ে পড়ায় অন্যান্য কালোবাজারী/দালাল দ্রুত সটকে পড়ে।
এছাড়া প্ল্যাটফরম সংলগ্ন আল-আমিন টেলিকম নামীয় দোকানে অতিরিক্ত মূল্যে ট্রেনের টিকেট পাওয়া যায় মর্মে টিম জানতে পারে তাবে দালাল গ্রেফতার ও টিকেট উদ্ধারের খবরে দোকানদার ঘর বন্ধ করে পালিয়ে যায়। উল্লেখ্য, কুমিল্লা রেল স্টেশন দিয়ে প্রতিদিন ২০টি ট্রেন যাতায়াত করে এবং এর কাউন্টার থেকে দৈনিক ৯৪৫ টি টিকেট বিক্রয় হয়ে থাকে। অভিযান পরিচালনা কালে স্টেশন মাস্টার এই স্টেশনে টিকেট কালোবাজারি বন্ধে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার ও দালালমুক্ত ব্যবস্থা নিশ্চিতের প্রতিশ্রুতি দেন।
এছাড়াও দুদক অভিযোগ কেন্দ্রে (হটলাইন-১০৬) আগত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক কমিশনকে অবহিত করার জন্য ৩ টি দপ্তরে দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট হতে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে।
