কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : কুষ্টিয়া শহরের আব্দুর রহিম সড়কে (পিটিআই রোড) বুয়েটের ইলেক্ট্রিক ও ইলেক্ট্রনিক্স বিভাগের ছাত্র আবরার ফাহাদের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম।
আবরারের শোকার্ত মা রোকেয়া খাতুন আহাজারি করে বলেন, ছেলেটা ঢাকা মেডিকেল, ঢাবি আর বুয়েটে চান্স পেয়েছিল। সব বিসর্জন দিয়ে ভর্তি হয় বুয়েটে ইঞ্জিনিয়ার হবে বলে! আজ ছেলেটা লাশ!
তিনি বলেন, তাকে মেডিকেলে পড়তে বলেছিলাম, সে পড়ে নাই; ছেলেটা আজ মেডিকেলের মর্গে!!
রোকেয়া খাতুন বলেন, আবরার ছুটিতে বাড়িতে এসে ১০দিন ছিল। আগামী ২০তারিখ থেকে পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা। তাই রোববার সকালে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। কে বা কারা কি কারণে ছেলে ফাহাদকে নৃশংস হত্যা করেছে তার কিছুই জানেন না তিনি। যারাই এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত তাদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেন তিনি।
পারিবারিক সূত্র জানায়, বরকত উল্লাহর ছেলে বড় ছেলে আবরার ফাহাদ ২০১৫ সালে কুষ্টিয়া জেলা স্কুল বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এসএসসি পরীক্ষায় গোল্ডেন এ পেয়ে উত্তীর্ণ হন। পরে এইচ এসসি বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হন ঢাকা নটরডেম কলেজে। সেখান থেকে ২০১৭ সালে এইচ এসসি পরীক্ষাতেও গোল্ডেন এ প্লাসসহ উত্তীর্ণ হন। পরে বুয়েটের ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিকস বিভাগে ২০১৭-২০১৮ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হন। ফাহাদ সেখানে শেরে বাংলা হলের ১০১১ নং কক্ষের আবাসিক ছাত্র ছিলেন।
কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়নের রায়ডাঙ্গায় আবরারদের গ্রামের বাড়ি। তবে কুষ্টিয়া শহরে তার বাবা-মা ও ভাই থাকেন।
আবরারের বাবা বরকতুল্লাহ বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের নিরীক্ষক কর্মকর্তা ছিলেন। মা রোকেয়া খাতুন একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুলের শিক্ষক। দুই ভাইয়ের মধ্যে আবরার ফাহাদ বড়। ছোট ভাই আবরার ফায়াজ ঢাকা কলেজের উচ্চমাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। সেও ঢাকা কলেজের হোস্টেলে থাকে। বুয়েটের শের-ই-বাংলা হলের কাছেই তার হোস্টেল।