পিরোজপুর প্রতিনিধি : সরকারি গাছ বিক্রির মহা উৎসবে পরিণত হচ্ছে বলদিয়া ইউনিয়নের ঝিলবাড়ী এলাকায়। সাবেক বিএনপির চুনোপুটি নেতা আর বর্তমানে সরকার দলীয় হোমরা ছোমরা নেতাদের বিরুদ্ধে সরকারি জায়গায় গাছ বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় সূত্র জানায় গত কয়েক বছর ধরে এই চক্র ঝিলবাড়ী এলাকায় অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে ব্যাক্তি স্বার্থ হাসিলে ব্যাস্ত। সরকারী গাছ বিক্রির নেপথ্যে এলাকার প্রবীণ সুবিধাবাদী নেতা বড় মনুসহ বর্তমান স্থানীয় মেম্বার মো. সুমন, পল্লী চিকিৎসক মহসিন, কবির হোসেন, ছিদ্দিকুর রহমানের জড়িত থাকার সত্যতা রয়েছে। এ চক্র ঈদগাহের গাছ দাবী করে বিক্রির পায়তারা চালায়। অথচ বলদিয়া ইউনিয়নে জিলনাড়ীতে সরকারি কৃষি সিড রয়েছে। স্বাধীনতা যুদ্ধের আগে ৮৩০ দাগে ৩৩ শতাংশ সম্পত্তি রয়েছে। অথচ এলাকার একটি সঙ্গবদ্ধচক্র ঝিলবাড়ী এলালায় সরকারি সম্পত্তি বেআইনি ভাবে ভোগদখলে তৎপর। তাছাড়া কৃর্ষি সম্পত্তি ছাড়াও সরকারি সম্পত্তির উপর দোকান ঘর তৈরি করে জায়গা দখল করে রেখেছে একটি অসৎচক্র। সরকারি নিযম অনুযায়ী কোন রকম লিজও নেওয়া হয়নি।
এদিকে এলাকার সচেতন লোকজন মনে করেন, ডিসিআর না কাটানোর কারণে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে স্থানীয় ভাবে। পাশাপাশি বেদখল হচ্ছে সরকারি সম্পত্তি। বিগত বিএনপির সময়ে বেদখলের যাত্রা শুরু হয় স্বরূপকাঠী উপজেলায়। ১৯৯১ হতে সরকারি ভূমির উপর নজর পড়ে তৎকালীন সময়ে জিলবাড়ী এলাকার বিএনপির সুবিধাবাদী নেতা মনু মিয়াসহ জাতীয় পার্টির নেতা পাতি নেতাদের। চলতি সময়ে এই চক্র ঈদগাহের জায়গার নাম বলে সরকারি গাছ বিক্রির নীল নকশা করে। অবশ্য বেশ কয়েকজন সাংবাদিক স্থানীয় ভাবে সাদামনের মানুষের মাধ্যমে গাছ বিক্রির মিশনের কথা জানতে পারে। গত পরশু সরেজমিনে জিলবাড়ী এলাকায় যান আসল ঘটনার সত্যতা যাছাই বাছাই করতে। বাস্তবে গাছ বিক্রির জন্য অগ্রীম টাকা নেওয়ার সঠিক লিখতে তথ্য পাওয়া যায়। স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক মো. মহসিনের ফার্মেসিতে বসে ২৪,০০০/টাকা নেন। গাছ কাটার সময়ে বাকী টাকা পরিশোধ করার অঙ্গীকার করেছেন ক্রেতা। মিডিয়ার সকল প্রশ্নের সঠিক উত্তর দেন মহসিন। তবে কুটকৌশলের আশ্রয় নেন প্রবীণ নেতা মনু মিয়া। আর স্থানীয় মেম্বার সাবেক বিএনপির ক্যাডার ও বাইক চালক সুমন সব কিছু অস্বীকার করেন। এদিকে সুমনের বিরুদ্ধে বিগত সময়ে প্রাইমারী স্কুলের গাছ বিক্রিতেও জড়িত ছিল। তবে মজার বিষয় বর্তমান সময়ে মেম্বার আওয়ামী লীগের একজন বিশাল মাপের নেতা। কথায় আছে, দুই দিনের বৈরাগি ভাতেরে বলে অন্ন। আর সুমন মেম্বারের অবস্থা তাই। চলতি সময়ে শুধু সরকারি গাছ বিক্রির নীল নকশা করেই ক্ষ্যান্ত হয়নি। এলাকায় বাল্যবিবাহ বন্ধের পরিবর্তে বরং বাল্য বিবাহ দেওয়ার অন্যতম উৎসাহদাতা।
এই ব্যাপারে বলদিয়া এলাকার সুশীল সমাজের লোকজন গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, আসলে শিক্ষার একটা বিষয় কিন্তু আছে। আমাদের এলাকার মেম্বার লেখাপড়ায় ঠনঠন। তাই ভালো কিছু আশা করাও আমাদের বোকামি। আমাদের মধ্যে সচেতন বোধ জাগ্রত না হওয়া পর্যন্ত গাছ বিক্রির কথা বলেন আর বাল্য বিবাহের কথাই বলেন, শিক্ষার সাথে সাথে নৈতিক বোধ জাগ্রত হয়। তবে প্রকৃত শিক্ষা ছাড়া সমাজে সব কিছুই অচল। তবে এলাকার চেয়ারম্যান একটু ভিন্নকথা বলেছেন। আসলে লোভী চিরকালই লোভী। এদের কোন দল নেই। তবে এটাও সত্য, ঝিলবাড়ী এলাকায় সরকারের সম্পত্তির সঠিক হিসাব নিকাশ থাকা দরকার। সর্বশেষ কৃষি কর্মকর্তা ও এসি ল্যান্ডের প্রচেষ্টার গাছ কাটা বন্ধ হয়। পাশাপাশি মনু মিয়াসহ মেম্বর সুমন, মহসিন গংদের থানায় হাজির হওয়ার নির্দেশ প্রদান করেন।