সরিষাবাড়ীতে যমুনা সার কারখানায় চাঁদাবাজি ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৩

Uncategorized আইন ও আদালত



সরিষাবাড়ী(জামালপুর) প্রতিনিধি ঃ যমুনা সার কারখানায় আধিপত্য বিস্তার ও চাঁদাবাজিকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় উভয়পক্ষে আহত হয়েছেন অন্তত ১৩ জন। একই ঘটনায় সাবেক ইউপি সদস্যের বাড়িতে হামলা ও লুটতরাজের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

গতকাল রোববার (৩০ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে যমুনা সার কারখানা এলাকায় এ সংঘর্ষ হয়। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন থাকলেও পরিস্থিতি থমথমে রয়েছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, যমুনা সার কারখানায় আধিপত্য বিস্তার ও আমদানি করা সারের পরিবহনে চাঁদাবাজিকে কেন্দ্র করে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম ও পোগলদিঘা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম মানিক গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল।

এরই জেরে রোববার রাত ৯টায় কান্দারপাড়া বাজারে হামলার শিকার হন রফিকুল ইসলাম সমর্থিত রায়হান। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে রফিকুল ইসলামের লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে কারখানার গেটপাড় এলাকায় এলে আশরাফুল আলম মানিক গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।এসময় উভয়পক্ষে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপসহ কয়েক রাউন্ড গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে মিনহাজ, রায়হান, রফিক, মজিদ, রশিদ, লালন, লাল চানসহ উভয়পক্ষের অন্তত ১৩ জন আহত হন। গুরুতর আহত মিনহাজ ও রফিককে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

পোগলদিঘা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম মানিক অভিযোগ করে বলেন, রাতে রায়হানকে কান্দারপাড়ার কিছু লোক মারধর করে। এই ঘটনার দায় আমাদের ওপর চাপিয়ে রফিকের লোকজন উত্তেজিত ও সংঘবদ্ধ হয়ে হামলা চালায়। এসময় রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে কয়েক রাউন্ড গুলি করা হয়।

অপরদিকে গুলি বর্ষণের কথা অস্বীকার করে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বলেন, সরকার যমুনা সার কারখানায় ৩০ হাজার টন ইউরিয়া সার আমদানি করেছে। এগুলো আনলোডের জন্য মেসার্স মাজেদা ট্রেডার্স দায়িত্ব পায়।

এরপর এর সত্ত্বাধিকারী আশরাফুল আলম মানিক প্রতি ট্রাক থেকে ৫০০ টাকা করে চাঁদা আদায় করেন। এ নিয়ে প্রতিবাদ করায় মানিকের লোকজন আমাদের ওপর চড়াও হয়। এর জের ধরে রাতে উভয়পক্ষে সংঘর্ষ হয়।

এদিকে সাবেক ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষের জের ধরে রাত ১১টার দিকে পুলিশের উপস্থিতিতে স্থানীয় ‘ক্যাডার’ মুর্শেদের নির্দেশে তার বাড়িতে হামলা চালিয়ে নগদ টাকা ও মালামাল লুট করা হয়।এছাড়া স্থানীয় বুশরা বাণিজ্যিক সংস্থার ম্যানেজার মো. শাহ আলম জানান, সংঘর্ষে উত্তেজিত লোকজন তার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়েছে। ভাঙচুরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তার প্রতিষ্ঠান।

সরিষাবাড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ মহব্বত কবীর বলেন, যমুনা সার কারখানা এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ক্ষমতাসীন দুটি পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।তবে গুলিবর্ষণের অভিযোগটি ওসি প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত করতে পারেননি।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *