নড়াইলে প্রতিনীয়ত পুলিশের হাতে আটক হচ্ছে মাদক তবুও থেমে নেই মাদক ও কিশোরগ্যাং এর অত্যাচার

Uncategorized আইন ও আদালত

মো:রফিকুল ইসলাম,নড়াইলঃ
নড়াইলে প্রতিনীয়ত পুলিশের হাতে আটক হচ্ছে মাদক তবুও থেমে নেই মাদক ও কিশোরগ্যাং এর অত্যাচার,বেড়েই চলছে মাদক এবং কিশোরগ্যাং এর অত্যাচারের মাত্রা। প্রতিদিনই নড়াইল জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের হাতে মাদকসহ মাদক ব্যবসায়ী’রা আটক হলেও থেমে নেই মাদকের কালো থাবা। পুলিশ প্রশাসন মাদকসহ মাদক ব্যবসায়ীদের আটক করে জেল হাজতে পেরণ করলেও কিছুদিন জেল খেটে বের হয়ে আবারও শুরু করে মাদকের রমরমা ব্যবসা। এদিকে,কিশোরগ্যাং এর সদস্য’রা হাত বাড়ালেই পাচ্ছে মরন নেশা মাদক,কিশোরগ্যাং এর হাতের নাগালেই রয়েছে মাদক,এ মাদকের নেশায় কিশোরগ্যাং এর অত্যাচার দিন দিন বেড়েই চলেছে।
এ বিষয় নিয়ে ভুক্তভোগী’রা পুলিশে অভিযোগ করলেও পাচ্ছে না তার কোন প্রতিকার। স্থানীয়’রা জানান,
কিশোরগ্যাং এর সদস্য’রা সমাজের প্রভাবশালী হওয়ায় এরা থাকে সব সময় ধরা ছোয়ার বাইরে,এদের নামে পুলিশে অভিযোগ করাও বিপদ,অভিযোগ করতে বের হলেও প্রভাবশালী’রা ভুক্তোভোগীদের পুলিশে অভিযোগ না করতে বিভিন্ন ভয় ভিতি দেখেন,এসব কারনেই পুলিশ পর্যন্ত অভিযোগ পৌছায় না এবং কিছু অভিযোগ পুলিশের কাছে পৌছালেও কোন শুরহা মেলেনা। গুরুত’র অভিযোগ পেয়ে পুলিশ এদের আটক করলেও অদ্রিশ্য কারনে ছাড়া পেয়ে যায় কিশোরগ্যাং এর সদস্য’রা বলেও জানান। নড়াইলের সুশিল সমাজ জানান,পুলিশ যেমন মাদকসহ আসামিদের আটক করে,তেমন পুলিশ এই ছোট্ট জেলায় কারা কি করে এবং কোথায় কোথায় মাদক বিক্রি করে সেটা কি পুলিশের অজানা,না পুলিশ সবই জানে। ছোট্ট জেলা নড়াইল,এই নড়াইলে কখোন কি হচ্ছে,নড়াইলের পুলিশ প্রশাসনের অজানা নয়,কিছু দুষ্কৃতীকারী অফিসারদের জন্য পুলিশের আজ এই অধপতন। নড়াইলে বিগত সময়ে দেখা গেছে পুলিশের শ্রোর্সদা’রা অসহায় মানুষ বিপদে পড়েছে এবং প্রশাসন প্রশাসনের সাথে ঝামেলাসহ মারামারী হয়েছে এই মাদকের জন্য একাধীক বার। দেখা যায়,পুলিশের শ্রোর্সের মধ্যে সবই নেশায় আশক্ত কিছু টাকার জন্য দুষ্কৃতীকারী কিছু অফিসারদের দিয়ে সন্মানী লোকদের অসন্মান করেন,মাদক দিয়ে এবং অসহাদের মাদক দিয়ে ফাসানোর ভয় দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতানোর চেষ্টা করে। গত কয় এক দিন আগে পুলিশের শ্রোর্স পরিচয় দিয়ে এক অসহায় দোকানিকে ৪পিচ ইয়াবা দিয়ে ফাসাতে গিয়ে পুলিশের শ্রোর্স পরিচয়দানকারী নিজেই মাদক নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের সদস্যদের হাতে সাংবাদিক ও জনসাধারণের উপস্থিতিতে ৪পিচ ইয়াবাসহ আটক হলেও মাদক নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের অফিসে নিয়ে সেই পুলিশের শ্রোর্স পরিচয়দানকারীকে ১০ পিচ ইয়াবা দিয়ে চালান দেন,নড়াইল মাদক নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর। এমন অহর অহর ঘটনা’র জন্ম হয়েছে নড়াইল জেলায়। নড়াইল জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশ এর কর্মকর্তাদের এখনি উচিত এ সকল দুষ্কৃতীকারী অফিসারদের চিহ্নিত করে তাদের আইনের আওতায় এনে বিচার করে নড়াইল জেলাকে মাদক ও কিশোরগ্যাং এর অত্যাচারের হাত থেকে রক্ষা করে সুন্দর নড়াইল জেলা উপহার দেয়া।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *