সরকারি কাঠামো না থাকায় ইচ্ছেমত ফি নিচ্ছেন চিকিৎসকরা

অপরাধ এইমাত্র জাতীয় স্বাস্থ্য

বিশেষ প্রতিবেদক : চিকিৎসকের ফি নির্ধারণে সরকারি কোন নির্দেশনা না থাকায় ইচ্ছেমত ফি নিচ্ছেন তারা। বিশেষজ্ঞ না হয়েও চিকিৎসকরা পাল্লা দিয়ে বাড়াচ্ছেন ভিজিট ফি। রাজধানীর বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, ৫শ থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত ফি নেয়া হচ্ছে। এদিকে, ফি কাঠামো নির্ধারণের ক্ষেত্রে চরম আপত্তি খোদ চিকিৎসকদেরই। আর এ নিয়ে তেমন মাথাব্যথা নেই স্বাস্থ্য বিভাগের।
চিকিৎসা নিতে এসে এ যেন গোলকধাঁধায় পড়ে যাবার মত অবস্থা। একই যোগ্যতার কোন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নিচ্ছেন ৫০০ টাকা, কেউ নেন এক হাজার কেউবা তারও বেশি। তিন মাসের মাথায় পুরানো রোগী কোন কোন চিকিৎসকের কাছে হয়ে যান নতুন রোগী।
ইচ্ছেমত ফি নিলেও সময় দেবার ক্ষেত্রে অধিকাংশ চিকিৎসক আন্তরিক নন। এমন অভিযোগ প্রায় সব রোগীরই। আবার প্রশ্ন ওঠে বেশি টাকা দিয়ে মানদ- নির্ধারণ হয় চিকিৎসকের যোগ্যতার?
একজন রোগী বলেন, টেস্টগুলোর রিপোর্ট দেখানোর ক্ষেত্রে আমার মনে হয় ভিজিট না নেয়াটাই ভাল। কিন্তু সেখানেও তারা ভিভিট নেন।
ডাক্তারের ফি নিয়ে এই যখন অবস্থা অথচ ফি নির্ধারণে যৌক্তিকতা নিয়ে নানা প্রশ্ন চিকিৎসকদের। ফি অনুযায়ী রোগী দেখার সময় নির্ধারণ করার প্রস্তাবনা দিলেও ফি এর কাঠামো নির্ধারণে আপত্তি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আমার কথা ৫ মিনিট ধরে শুনতে হবে। শরীরের হাত দিয়ে পরীক্ষা করতে হবে। আমার মুখের দিকে তাকিয়ে দুই হাজার টাকা ভিজিট নেবে এটা প্রতারণা।
বিএমডিসি সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লাহ বলেন, দু একজন বাদ দিলে বেশি সংখ্যক ফি গ্রহণযোগ্য।
২০১৭ সালে প্রস্তাবিত স্বাস্থ্যসেবা আইনের খসড়ায়, ডাক্তারদের ফি নির্ধারণে সরকার পদক্ষেপ নেবে উল্লেখ থাকলেও ফি কত হবে বা কবে থেকে নির্ধারণ করা হবে সে বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে কিছুই বলা হয়নি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, বেসরকারি হাসপাতালেও মোটামুটি একটা ভিজিট করাই আছে। তারপরেও এই বিষয়ে আমরা আলোচনার মাধ্যমে ঠিক করবো।
ব্যক্তিগত চেম্বারে রোগী দেখার ক্ষেত্রে কোন নিয়মনীতির মধ্যেই থাকতে চান না চিকিৎসকরা। শৃঙ্খলা তৈরিতে কয়েকদফা চেষ্টা করেও সফল হয়নি সরকার। তবে চিকিৎসকদের পেশাজীবী সংগঠনগুলো আন্তরিক হলে সরকারের পক্ষে সিদ্ধান্ত নেয়া সহজ হতো বলে মত বিশেষজ্ঞদের।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *