একমাসে অর্ধশতাধিক ব্যাংক হিসাব তলব ও জব্দ

অপরাধ আইন ও আদালত এইমাত্র

ক্যাসিনো কান্ড

 

বিশেষ প্রতিবেদক : ক্যাসিনো কারবারের মাধ্যমে অবৈধভাবে আয় ও কর ফাঁকির অভিযোগে গত এক মাসে ৬০ এর বেশি ব্যক্তির ব্যাংক হিসাব জব্দ ও তলব করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। জব্দ করা হয়েছে তাদের কর ফাইলও। এদিকে নিজেদের নির্দোষ প্রমাণ করতে প্রভাবশালী অনেকেই দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন এনবিআরে। তবে অবৈধভাবে অর্থ উপার্জনকারীদের অধিকাংশই বিদেশে অর্থ পাচার করায় শুধু ব্যাংক হিসাব জব্দ করেই কাজ হবে না বলে মনে করে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-টিআইবি। শুধু জরিমানাসহ কর আদায় করে, নিষ্কৃতি দিলে দুর্নীতি উৎসাহিত হবে বলে মনে করছে সংস্থাটি।
এনবিআরের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, যেসব অপ্রত্যাশিত আয় যদি জরিমানাসহ আদায় হয়, তাহলে আমরা সেগুলিতে আপত্তি করি না। আমরা যদি কাউকে নিষ্কৃতি দিয়ে দিই, তাহলে সেখানে দুদকের আর যাওয়ার প্রয়োজন হয় না। যদি মনে করি মানি লন্ডারিং হয়েছে তাহলে মামলা দিই।
বেআইনীভাবে সম্পদ অর্জনকারীরা অবৈধ আয় লুকিয়ে রাখাতেও পারদর্শী। তাই শুধু ব্যাংক হিসাব জব্দই যথেষ্ট নয় বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।
টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, তারা কিন্তু বিভিন্ন পদ্ধতিতে টাকা পাচার করেন। এখানে নির্ধারিত পদ্ধতি ব্যবহার করে এদের কাছ থেকে পাচারকৃত টাকা ফিরিয়ে আনা সম্ভব।
জড়িতদের আইনের আওতায় না এনে শুধু রাজস্ব আদায় করে দায়মুক্তি দেয়া হলে দুর্নীতি কমবে না বলে করেন তিনি।
ইফতেখারুজ্জামান বলেন, শুধু কর আদায়ের উদ্যেশে যে সম্পদ আটক করা হয়েছে তার বিপরীতে কর দিয়ে মওকুফ করা হবে, সেই পথে গেলে কিন্তু দুর্নীতিকে প্রশয় দেয়া হবে। তারা মনে করবে আমি অনিয়ম দুর্নীতি করবো, ধরা পড়লে করটা দিয়ে দিবো, তারপর আবার একই কাজ করবো। গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটি রিপোর্ট অনুসারে গত ১০ বছরে বাংলাদেশ থেকে প্রায় ছয় লাখ কোটি টাকা পাচার হয়েছে।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *